আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশ কেন নীল দেখায় এবং কিছু মেঘ মেঘ মেঘমালার কথামালা

অনেক কিছুতেই নাক গলাই যাহা না গলালেও পারি !! আমরা আকাশের দিকে তাকালেই দেখি নীল রঙে ছেয়ে আছে সারা আকাশ। আমরা সবাই জানি, আকাশের রঙ নীল। কিন্তু কেন আকাশের রঙ নীল? আমাদের পৃথিবী বাতাস দিয়ে ঘেরা। বাতাসের এই ঘেরা আবরণকে বলে ‘বায়ুমণ্ডল’। বায়ুমণ্ডলে থাকে অনেক গ্যাস, ধূলিকণা ও পানিকণা।

সূর্যের আলো এই বায়ুমণ্ডল ভেদ করে আমাদের কাছে আসে। এসব ধূলিকণা পানিকণার ওপর পড়লে এরা চারদিকে আলো ছড়িয়ে দেয়। আমরা তখন চারদিকে আলো দেখতে পাই। সূর্যের আলোয় থাকে ৭টি রং। এগুলো হলো-বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।

পৃথিবীতে আলো আসার সময় বাতাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে বেগুনি, নীল ও আসমানি রঙ বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তবে লাল রঙটা সবচেয়ে কম ছড়ায়। তাই আমরা যখন আকাশের দিকে তাকাই, তখন বেগুনি, নীল, আসমানির আলোগুলো মূলত আমাদের চোখে এসে পড়ে। আর এই তিন রঙ মিশে যে রঙটা হয়, সেটাও দেখতে প্রায় নীল।

আর একারণেই আকাশের রঙটা আমাদের কাছে নীল বলে মনে হয়। মেঘ বলতে পৃথিবী অথবা অন্য কোন গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদির আবহমন্ডলে ভাসমান দৃশ্যমান স্ফটিক অথবা জলকণার সমষ্টিকে বোঝায়। মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে আকৃষ্ট দৃশ্যমান কোন ভরকেও (mass) মেঘ বলা যেতে পারে, যেমন মহাশূণ্যে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারস্টেলার মেঘ এবং নেবুলা। আবহাওয়া বিজ্ঞানের নেফোলজি বা মেঘ বিজ্ঞান শাখায় মেঘ নিয়ে পড়াশুনা এবং গবেষণা করা হয়। আকাশ (ইংরেজি Sky) হল ভূপৃষ্ঠ থেকে দেখতে পাওয়া বায়ুমণ্ডল বা মহাশূন্যের অংশবিশেষ।

দিনের বেলায় সূর্যের আলোর বিক্ষেপণের ফলে আকাশ নীল দেখায়, আর একই কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় এর রঙ হয় লাল। রাতের আকাশ কালো। আকাশ কোন নির্দিষ্ট বস্তু নির্দেশ কর না, কিন্তু বলা হয় আকাশে মেঘ, পাখি ইত্যাদি ঘুরে বেড়ায়। মেঘেদের দুটি বড় শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: স্তরীভূত ও পরিচলনশীল। এই নামগুলো মেঘের আচরণ আলাদা করে।

মেঘকে তার পাদদেশের উচ্চতা দিয়ে শ্রেণীবিভক্ত করা হয়, চূড়ার উচ্চতা দিয়ে নয়। এই ব্যবস্থাটি ১৮০২ সালে লিউক হাওয়ার্ড আস্কেসিয়ান সোসাইটিতে প্রস্তাব করেন। নিচু মেঘ (গোত্র গ) এই মেঘ ২,০০০ মি (৬,৫০০ ফুট) উচ্চতা পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং এই শ্রেণীতে আছে স্ট্রাটাস (ঘন ও ধূসর)। স্ট্রাটাস মাটির সংস্পর্শে আসলে তাকে কুয়াশা বলা হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।