আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি কি ১০০ বছর বাঁচতে চান?

চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! আপনি চাইলেই ১শ’ বছর আয়ু পেতে পারেন। নির্ভর করছে আপনি তা চান কি-না। যদি সত্যিই বয়সের সেঞ্চুরি করতে চান, তবে আপনার জন্য গবেষকদের কাছে রয়েছে সুখবর। আর এজন্য আপনাকে বহু নিয়ম মেনে চলতে হবে না। মাত্র দুটি নিয়মই দিতে পারে ফুরফুরে ১০০টি বছর।

এর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় ঘুম ও অপরটি খাদ্যাভ্যাস উন্নত করা। আর আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হলো, সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ও আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা বা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। ১শ’ বছর বয়সী ও ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্মলাভকারী ব্যক্তিদের দুটি দলে ভাগ করে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের নতুন এক গবেষণা পরিচালিত হয়। ১শ’ বছর বয়সীদের কাছ থেকে তাদের দীর্ঘায়ু লাভের গোপন কৌশলগুলো জানতে চাওয়া হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলটি দীর্ঘায়ু লাভে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো মেনে চলছেন কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়।

এতে দেখা যায়, ১শ’ বছর বয়সী প্রবীণদের ৭১ শতাংশ বা ১০ জনে ৭ জনই বলছেন, তারা রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা বা আরও বেশি ঘুমিয়ে থাকেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলটির মাত্র ৩৮ শতাংশ এ নিয়ম অনুসরণ করেন। এদিকে শতায়ু প্রবীণদের খাদ্যাভ্যাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে ৮ জন বা ৮০ শতাংশই বয়স অনুযায়ী সুষম খাদ্যনীতি অনুসরণ করেন। সেখানে দ্বিতীয় দলটির মাত্র ৬৮ শতাংশ সুষম খাদ্যনীতি মেনে চলেন। ২০১০ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৭২ হাজার শতায়ু ব্যক্তি রয়েছেন।

২০৫০ সালের মধ্যে সে সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলটির ১০ হাজার প্রতিনিধি আগামী দশকে ৬৫ বছরে পা দেবেন নির্বিঘেœ। এমনটাই আশা করছেন গবেষকরা। এদিকে প্রায় ৯০ শতাংশ শতায়ু ব্যক্তি বলছেন, তারা নিয়মিত পরিবারের কোন সদস্য, বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন, তারা নিয়মিত ধর্মীয় অনুশাসন মেনে প্রার্থনা করেন, মেডিটেশন বা আধ্যাত্মিক কোন কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিজেদের ব্যস্ত রাখেন।

আর ৫১ শতাংশ শতায়ু প্রবীণ বলছেন, তারা প্রায় প্রতিদিনই নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন। দ্বিতীয় দলটির বেশির ভাগই যোগাযোগ রক্ষা করা, ব্যায়াম করা, ধর্মীয় অনুশাসন পালন বা আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার বিষয়গুলো মেনে চলেন। তবে যাই হোক না কেন, গবেষকরা বলছেন দুটি প্রধান নিয়ম মেনে চললেই আয়ু ১শ’ বছর হতে পারে। এর একটি ঘুম, অপরটি বয়স অনুযায়ী সুষম খাদ্যাভ্যাস। তবে ব্যায়াম, সামাজিক অনুষঙ্গ, আধ্যাত্মিকতার চর্চা অবশ্যই মনকে রাখবে প্রফুল্ল, সতেজ ও প্রাণবন্ত।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।