আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই রকমের ঘটনা এর আগেও বহুবার শুনেছি...কেন এমন হয়...? নিশ্চই আল্লাহই এর ভালো জানেন... الله أكبر 14

কি বলব কুড়িগ্রামে বছির উদ্দিন (ঘুঘু মুন্সী) নামের এক ব্যক্তির লাশ দাফনের ৩২ বছর পর অক্ষত অবস্থায় কবর থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। এ সময় কাফনের কাপড়ও অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী জানায়, ধরলা নদীর ভাঙনে কবর ভেঙে গেলে এলাকাবাসী ভাঙা কবর থেকে বছির উদ্দিন মুন্সীর লাশ উদ্ধার করে সোমবার বিকালে ফের কবরস্থ করেছে। এ আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর গ্রামে। এর ৮ বছর আগেও ধরলার ভাঙনের মুখে তার লাশ অক্ষত অবস্থায় কবর থেকে বের হলে গ্রামবাসী কৃষ্ণপুর ঈদগাহ কবরস্থানে দাফন করে।

এবারও কবরস্থানটি ভাঙনের কবলে পড়ে লাশ বের হয়ে এলে গ্রামবাসী উদ্ধার করে ধরলা নদীর পূর্ব প্রান্তের চরমাধবরাম গ্রামের ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো দাফন করে। এদিকে ৩২ বছর পর লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে এমন খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এ সময় কুড়িগ্রামসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ লাশটি একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। তবে ইসলামী শরিয়ায় বাধ্যবাধকতা থাকায় লাশের মুখ কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি। ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আবুল হাসান আনছারী বলেন, লাশের শরির ও মুখ দেখে মনে হয় মানুষটি এই বুঝি ঘুমিয়ে গেলেন।

ঘুঘু মুন্সীর ছেলে হজরত আলী ও আশরাফ আলী জানান, ৩২ বছর আগে তার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন গ্রামের মসজিদে ইমামতী করেছেন। এছাড়াও তিনি চরমোনাইর পীর সৈয়দ এসহাক (রহ.) ও সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.)-এর মুরীদ থাকার সুবাদে সর্বদা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি ও জিকির-আসকারে লিপ্ত থাকতেন। সংশিল্গষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য তৈয়ব আলী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ফের দাফন করা হয়েছে। লাশ দাফনের সময় ঘটনাস্থলে আসা সদর থানার এসআই আবদুল হাই জানান, লাশের ওয়ারিশদের এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ দাফনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

লাশ দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, পৌর মেয়র নুর ইসলাম নুরু, সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, জেলা মুজাহিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক প্রমুখ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।