আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ দ্য বডি ওয়ার্ল্ড !!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ খ্রীষ্ট পূর্ব প্রায় ৩৫০০ বছর পূর্বে মিশরীয় রাজ পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর পর মমি করে পিরামিডে রাখা হত। পিরামিড এক প্রকার সমাধি সৌধ। মৃত ব্যাক্তিকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পর কফিন বন্ধি করে পিরামিডে সংরক্ষণ করে রাখা হত। আধুনিক যুগে মানুষকে তেমনি এক প্রকার অমর করে রাখার আধুনিক সংস্করণ নিয়ে এলেন ভন হ্যাগেন। মানুষের মৃত বডি সংগ্রহ করে শুরু করেন তাঁর শিল্প কর্ম (Plastination)।

বডি ওয়ার্ল্ড নামে এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখন আর তাঁর মৃত বডি খুঁজে পেতে কষ্ট হয়না। তাঁর বডি ওয়ার্ল্ড প্রদর্শনীতে এসে উৎসুক দর্শক অনেকেই মৃত্যু পরবর্তী তাঁদের দেহ দান করছেন। মৃত বডিকে পুনর্জীবন (!) দেবার জন্য তাঁকে কম কষ্ট করতে হয় না। প্রথমে শরীরের উপরি ত্বক ছাড়তে হত।

কোন লিগামেন্ট বা পেশী যেন নষ্ট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যেমনটা আমরা কোরবানি পশুর চামড়া ছাড়ার সময় খেয়াল নিয়ে থাকি () । এর পর ক্যামিকেল মিশ্রণে বডিটা কিছু সময় ডুবিয়ে রাখা হয়, তাতে দেহ/মাংশ পেশী থেকে চর্বি ধংশ হয়ে যায়। এরপর, বডি তে দেয়া হয় বিভিন্ন ভঙ্গিমা। চামড়া ব্যাতিত একটি মানুষ দেখতে যেমন, ঠিক সেই রুপেই মৃত ব্যাক্তিকে রিফর্ম করা হয়।

দেখে জীবন্তই মনে হয়। একটি বডি রিফর্ম করতে তাঁর প্রায় ২০০০০ ডলার খরচ হয়। তিনি শুধু মানুষের বডিই নয়, জীব-জন্তুর বডিকেও এ ভাবে সংরক্ষণ করেন। ইউরোপ আমেরিকায় এই বডি প্রদর্শনী করে ভন হ্যাগেন অনেক আলোড়ন তুলেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।