আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড় গল্পঃ প্রায়শ্চিত্ত (পর্ব ১)

কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!! Prologue Part of chapter 13 “আপনি ঘোষণা দিয়েছেন এটাই আপনার শেষ উপন্যাস”। “হ্যাঁ”। “কেন জানতে পারি?” ১ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের লেকচারার সামিয়া ফেরদৌস একটা বই নিয়ে বিছানায় বসে আছেন। তার সামনে ক্লান্ত চোখে শ্রান্ত মুখে এক বালক হাঁটু মুড়ে বসে আছে। বালকের চোখ ক্লান্তিতে বারবার মুদে আসছে, সামিয়া ফেরদৌস আলতো ধাক্কায় আবার তার তন্দ্রাভাব কাটিয়ে দিচ্ছেন।

এখন বাজে রাত এগারোটা। উল্লেখিত বালকের নাম জাহিদ। ভালো নাম জাহিদ ফেরদৌস। সামিয়া তার মা। জাহিদ পড়ে ক্লাস সিক্সে।

তার স্কুল রাইফেলস পাবলিক। সে তার ক্লাসের ফার্স্ট বয়। জাহিদের ফার্স্ট বয় হবার পিছনে জাহিদের যতটা না অবদান, জাহিদের ধারণা, সামিয়ার অবদান তার থেকে বেশি। মাঝে মাঝে যখন মায়ের মুড ভালো থাকে, তখন জাহিদ মা-কে বলে বসে, “মা, পরীক্ষায় আমি একশতে নব্বই পেলে তার মধ্যে সত্তরই তো তোমাকে দিয়ে দেয়া উচিৎ”। সামিয়া চোখ মটকে বলেন, “তাহলে বাকি বিশ কি দোষ করল?” অতঃপর তারা দুজনেই ফেটে পড়েন স্বল্পকালীন হাসিতে।

হাসিটা আগে জাহিদই শেষ করে, কারণ মা সেই ছোটবেলা থেকেই তার কাছে এক নিদারুণ আতঙ্ক এবং যুগপৎ ভালবাসার নাম। জাহিদ ক্লাস টুতে থাকতে যখন বার্ষিক পরীক্ষায় থার্ড হয়ে বসল, সামিয়া তখন তাকে পুরো ছয় ঘণ্টা বাথরুমে আটকে রাখলেন। ক্লাস থ্রির দিকে সহপাঠীর সাথে মারামারি করার জন্য সামিয়াকে যেদিন স্কুলে ডাকা হল, সেদিন রাতে সামিয়া জাহিদের পিঠে দুটো ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট ভেঙ্গেছিলেন। জাহিদ সামান্য ভুল করলেই সামিয়া চোখ মটকে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন, সেই দৃষ্টি জাহিদের কচি হৃদয়ে সৃষ্টি করে ভয়াবহ আতঙ্কের। এ সমস্ত কারণেই পারতপক্ষে মা-কে কখনও রাগাতে চায় না জাহিদ, কখনও মা-র কুনজরে পড়তে চায় না সে।

এজন্যেই সে বাধ্য ছেলের মত মায়ের আদেশে পড়ালেখা করে, আজেবাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। সামিয়া এ মুহূর্তে যেটা করছেন, তিনি ছেলেকে সমাজ পড়াচ্ছেন। ক্লাস সিক্সের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে সমাজ নিঃসন্দেহে একটা চরম বিরক্তিকর সাবজেক্ট, কিন্তু ক্লাসের ফার্স্ট বয়দের কখনই কোন সাবজেক্টকে কম গুরুত্ব দিলে চলে না, তাদের মায়েদের তো নয়ই। সামিয়া প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ছেলেকে পড়াতে বসেন। তার এবং ছেলের দুজনেরই ধারণা ক্লাস সিক্সের যেটুকু সিলেবাস এ পর্যন্ত জাহিদকে পড়াতে হয়েছে সেটুকু মা-র ঠোঁটস্থ, কারণ সামিয়া আগে নিজে পড়ে ছেলের পড়া মুখস্থ করেন, তারপর ছেলেকে বারবার পুরোটা বুঝিয়ে পড়িয়ে মুখস্থ করিয়ে দেন।

কোন পরীক্ষায় জাহিদ ভুল করলে সামিয়া সাথে সাথে বলে ওঠেন “আরে এটার উত্তর তো এই”, সেটা শুনে জাহিদ প্রায় সময়েই অবাক হয়ে যায়। মা-র তো আর পরীক্ষা নেই, মা কেন তার পড়া এত মনোযোগ দিয়ে পড়ে? এখন বাজে এগারোটা চল্লিশ। রাতের খাওয়া আগেই শেষ হয়েছে। জাহিদের পড়া শেষ হবে ঠিক বারোটায়, তারপর সামিয়া বিছানা ঝাড় দেবেন, জাহিদ মশারির কোনাগুলো ধরে রাখবে, সামিয়া লাগিয়ে দেবেন। বারোটা দশের সময় লাইট বন্ধ হবে, সামিয়া জাহিদের কপালে একটা চুমু দিয়ে আরেকটা ঘরে চলে যাবেন।

সেই ঘর থেকে আলো আসবে, সেই আলোর সাহায্যে গল্পে পড়া ভুত পেত্নি আর অশরীরী সত্ত্বার প্রতি অর্থহীন ভয়ের সাথে যুদ্ধ করতে করতে জাহিদ ঘুমিয়ে পড়বে। জাহিদ ঘুমিয়ে যাবার পর সামিয়া কিছুক্ষণ একটা ফ্রেমের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। মূলত ফ্রেম নয়, ফ্রেমের কাঁচের নিচে দুটো হাস্যোজ্জ্বল মুখের একটা যুগল ছবির দিকে কিছুক্ষণ চোখ আটকে থাকবে তার। রাতের এই সময়টুকু সামিয়ার নিজস্ব, এই সময়টা তিনি কাটান নিজস্ব স্মৃতিবিলাসে, এই সময়টায় তার মনে ভর করে অজস্র অভিমান, এই সময়টায় তার বুকের মাঝে জমে ওঠে এক দলা কান্না। সামিয়া কাঁদেন না।

ক্লাস সিক্সে পড়া বাচ্চা নিয়ে একজন বিধবা স্বাধীন নারীর চোখে কান্না মানায় না। ঐ চোখে মানায় প্রত্যয়। সেটা সামিয়ার যথেষ্টই আছে। এরপরে সামিয়া যাবেন ড্রয়িং রুমে। এই সময়টা তার পড়াশোনার সময়, কলেজের কাজ বাকি থাকলে বা পরের দিন লেকচার থাকলে মূলত এই সময়টায় তা শেষ করেন তিনি।

কাল অবশ্য ক্লাস নেই। সেক্ষেত্রে কলেজে যেতে হবে দশটার মধ্যে। নাহলে ডিপার্টমেন্টাল হেড ম্যাডাম কাউকাউ শুরু করবেন। সামিয়া কিছুক্ষণ বেনেট ব্রাউন নামের একটা মাঝারি সাইজের ফার্মাকোলজি বই নাড়াচাড়া করে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। কালকে ক্লাস নেই, কি দরকার অনর্থক পড়ার? এমনিতেই মেডিকেলে ঢুকে সারাজীবনই হাজার হাজার পাতা সিলেবাসের নিচে আচ্ছন্ন হয়ে পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছিলেন ছিলেন তিনি ও তার মত আরও অজস্র মেডিকেল স্টুডেন্ট।

সেই কথা মনে পড়লেই আর বই খুলে বসতে ইচ্ছা করে না তার। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হল, জাহিদ তখন পূর্ণ ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলেও, মা বিছানায় আসার পর সে কিভাবে যেন টের পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে আবার গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। সামিয়া হাসলেন। মেডিকেলে একটা টার্ম আছে, Conditioned reflex. ধরুন আপনি প্রতিদিন দুপুর একটার সময় লাঞ্চ করেন, এটা আপনার অভ্যাস অনেক দিন ধরেই। এখন যদি হঠাৎ একদিন আপনার অফিসের ঘড়িটা আধা ঘণ্টা ফাস্ট করে দেয়া যায়, তাহলে আপনি আসল সাড়ে বারোটার সময় ঘড়িতে দেখবেন একটা বাজে।

তখন আপনার ক্ষুধা লেগে যাবে। অথচ এমনিতে সাড়ে বারোটার সময় আপনার ক্ষুধা লাগে না। জাহিদেরও তাই হয়েছে। মা-কে সে প্রচণ্ড ভয় পেলেও আগে সে সচেতন অবস্থায় মা-কে জড়িয়ে ধরার পর ঘুমাত। আর এখন মা পাশে আসলেই তার শরীর কিভাবে যেন টের পেয়ে যায়।

তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলেও তার শরীরের একটা অংশ সচল হয়ে উঠে মা-কে জড়িয়ে ধরে। সামিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বিছানার খালি অংশের দিকে তাকিয়ে তার দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘতর হয়। এখানে আজ একজনের থাকার কথা ছিল। আজ সে নেই।

বড় কষ্ট সামিয়ার মনে। বড় কষ্ট। ২ ক্লাস নাইন। জাহিদের বন্ধুরা সব ঠিক করে ফেলেছে, তারা কেউ বায়োলজি নিবে না। সবাই কম্পিউটার নিবে।

কম্পিউটার নাকি অত্যন্ত সহজ সাবজেক্ট, এটায় নাকি চোখ বুজেই পঁচানব্বই তোলা যায়। সেদিক থেকে বায়োলজি হল খাইস্টা সাবজেক্ট। হাজার হাজার ছবি, একগাদা বিরক্তিকর সিলেবাস, নাম্বার ওঠে অত্যন্ত কম। নেহায়েত ডাক্তার না হতে চাইলে বা ভার্সিটির নির্দিষ্ট কয়েকটা সাবজেক্টে পড়তে না চাইলে কারো বায়োলজি নেবার কোন যৌক্তিকতাই নাই। জাহিদ বাসায় এসে গোসল করে কিছুক্ষণ গেমস খেলল।

বিকালটা তার খেলার টাইম, ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে তার সব খেলার বরাদ্দ সময় এটাই। একটু পরে ক্রিকেট খেলতে জাহিদের বাসার নিচে পোলাপান আসবে। এমনিতে জাহিদ ক্রিকেট খারাপ খেলে না, বলটা একদম করতে না পারলেও ড্যাশিং ব্যাটসম্যান হিসেবে তার খ্যাতি আছে। স্কুলের মাঠে ত্রিশের উপর তার তিনটা স্কোর আছে, একটা আবার মাত্র সতের বলে তোলা। মা আসবে সন্ধ্যায়।

তখন মা-কে ব্যাপারটা জানাতে হবে। মা অবশ্য সেই ছোটবেলা থেকেই ঘ্যানঘ্যান করছে, তাকে নাকি ডাক্তার হতে হবে। আর ডাক্তার হতে হলে বায়োলজি পড়তে হবে। কি জঘন্য! জাহিদের বন্ধুরা বলেছে, ডাক্তারি পড়তে গেলে নাকি দিনে বিশ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করতে হয়। লাশকাটা ঘরে একা একা লাশ কাটতে হয়।

সেই লাশ দেখে হার্ট অ্যাটাক হয়ে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মেডিকেল স্টুডেন্ট মারা যায়। মানুষের হাড্ডি হাতে নিয়ে নিয়ে পড়ালেখা করতে হয়। সেই হাড্ডি থেকে মাঝে মাঝে রক্ত মাংসের গন্ধ পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে পূর্ণিমা রাতে সেই হাড্ডি নড়ে চড়ে ওঠে, তখন দূরে পেঁচা আর শিয়ালের ডাক শুনতে পাওয়া যায়। আরও কত কি! জাহিদ এতকিছু জানে না। তার মায়ের সাথে ডাক্তারি পড়া কেমন এই বিষয়ে কোন আলাপই কখনও হয় নি তার।

সে শুধু শুনে আসছে, তাকে ডাক্তার হতে হবে। তার মা ভীষণ রাগী, সে-ও মাকে প্রচণ্ড ভয় পায়, আর মায়ের বিপরীতে কোন কথা বলবার সাহস পায় না বলেই জাহিদ কখনও নিজের ইচ্ছার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে নি। জাহিদের অ্যাম্বিশন হচ্ছে, ডাক্তার ফাক্তার না, সে পাইলট হবে। তার ক্লাসের সেকেন্ড বয় মিলনের বড় মামা বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের পাইলট। একবার তাকে দেখেওছিল জাহিদ।

ছয় ফুটের উপর লম্বা, ধবধবে সাদা চেহারা, ছোট করে ছাঁটা চুল। গলায় ঝোলানো রূপালী চেইন। হাসলে তাকে ঠিক ব্র্যাড পিটের মত লাগে। মূলত তাকে দেখেই জাহিদের মনে পাইলট হবার ইচ্ছা জাগ্রত হয়েছে। জাহিদ মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে, সে পাইলট হয়েছে।

পাইলট হয়ে একটা প্লেন নিয়ে আকাশে ওড়াউড়ি করছে। প্লেনের জানালা দিয়ে তার বাসাটাকে এতটুকু পিঁপড়া সাইজ লাগছে। বাসার ছাদে উঠে মা তার দিকে হাত নাড়াচ্ছে। প্লেন নিয়ে সে চশমা পরা ফার্স্ট গার্ল শর্মীদের বাসার উপর দিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। শর্মী কাপড় নাড়তে ছাদে উঠে তাকে অবাক হয়ে দেখছে।

অঙ্কের জমিরুদ্দিন স্যারের বাসার উপর দিয়ে যাবার সময় বাসাটার উপর একটা বোম নিক্ষেপ করছে সে, ইত্যাদি। মা ফিরে আসে সন্ধ্যার সময়। জাহিদ নিজের সাথে অনেকবার প্রতিজ্ঞা করার পর অনেক সাহস নিয়ে ভয়ে ভয়ে মা-কে বলে, “মা, আজকে সাবজেক্ট চয়েজ করতে দিয়েছিল”। “তা তুই কি কি নিলি?” “এমনিতে তো বাংলা, ইংরেজি, ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, সমাজ, ধর্ম এগুলো আছেই, এর সাথে কম্পালসরি নিলাম হাইয়ার ম্যাথ, আর অপশনাল নিলাম কম...” “হুম, বায়োলজি, না? আমারও বায়োলজি ছিল। বায়োলজি ভালমত না পড়লে মেডিকেলে চান্স হবে না”।

ফাটা বেলুনের মত চুপসে গেল নিজের স্বপ্নে পাইলট হওয়া জাহিদ। সে আর কিছু বলার সাহস পেল না। মায়ের উপর কথা বলার সাহস তার কখনই ছিল না। জাহিদের আর কম্পিউটার নেয়া হল না। ৩ এইচ এস সি শেষ।

জাহিদ একা তুলতে সাহস পায় নি, সে তার তিন বন্ধুকে মিলে গোপনে ১৮০ টাকা দিয়ে এয়ারফোর্স এর ফর্ম তুলে নিয়ে এসেছে। কালকে প্রাইমারি রিটেন। জাহিদ অনেকবার প্ল্যান করল, সে মা-কে ভুজুং ভাজুং দিয়ে পরীক্ষাটা দিয়ে আসবে। এখন আর সে অত ছোট নেই, এখন আর সে ভয় পাবে না। সত্যিই সে প্রাইমারি রিটেন আর মেডিকেল মা-কে ভুজুং ভাজুং দিয়ে দিয়ে আসলো।

ওগুলোতে টিকেও গেল সে। কিন্তু আইএসএসবির আগে সে কিছুতেই মা-কে ধোঁকা দিতে পারল না। কারণ আইএসএসবির স্ক্রিনিং টেস্টে টিকে গেলে চারদিন থাকবে হবে, মোবাইলও ব্যবহার করা যাবে না সেই সময়টায়। সুতরাং এবার মা-কে জানাতেই হবে। “তুই এয়ারফোর্সে পরীক্ষা দিচ্ছিস?” জাহিদ মাথা নাড়াল।

“তুই দুইটা পরীক্ষা দিলি একবার আমাকে জানাবি না?” জাহিদ চুপ। “তোর পাইলট হবার শখ?” জাহিদ নিঃশব্দে মাথা নাড়াল। “আগে বলিস নাই ক্যান?” জাহিদ চুপ। “তোর পরীক্ষা দেয়া লাগবে না। তুই হবি ডাক্তার।

এখন চুপচাপ কোচিং কর। কোচিং এর পড়া পড়েছিস?” জাহিদ না বোধক মাথা নাড়ায়। “এই তিন মাস এক সেকেন্ডও সময় নষ্ট করা যাবে না। যা পড়তে বস। এইসব পাইলট টাইলট হবার ইচ্ছা বাদ দে”।

জাহিদ চুপ। “কি রে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? যা”। জাহিদ নিঃশব্দে তার ঘরে চলে আসে। তার সারা সত্ত্বা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে হুট করেই, কিন্তু পরক্ষণেই আবার ক্লান্ত ভেজা বিহঙ্গের মত চুপসে যায় সে। তার পক্ষে আর সব করা সম্ভব, মায়ের বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব না।

মায়ের সব স্বপ্ন তাকে ঘিরে। এত বড় একটা বোঝা ঘাড়ে নিয়ে স্বেচ্ছাচারী হওয়া খুব কঠিন। খুব কঠিন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।