আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোক অব দ্যা ডেঃ এরশাদ কীর্তনসভা’.......বিনুদুনে ভরপুর বাংলাদেশ

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। কবিতা লিখা, গান, মায়া কান্না, নাটকবাজ, মা..বাজী কুনুটা বাকী আছিলো? বাকী আছিলো সিডি বাইর করা। আর ঐটা ও করলেন এরশাদ। এই সিডি বাহির করার অনুষ্ঠানে তার কীর্তন করলেন চামচারা। কে কি কইলেন? মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার দলের প্রধানের আয়ু বাড়ানোর প্রার্থনা করে প্রয়োজনে নিজের আয়ু কমানোর কথা বলেন।

মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, তিনি এরশাদের কবিতা শুনে মুগ্ধ। চেয়ারম্যানের প্রশাংসা করে তিনি বলেন, “হে আল্লাহ আমাদের সবার কাছ থেকে আয়ু নিয়ে নেতার বয়স বাড়িয়ে দাও। ” সিডির মোড়ক উন্মোচনকারী কবি ফজল শাহাবুদ্দিন প্রথমে বক্তব্য দেওয়ার কথা না থাকলেও ঘোষক পরে জানান, এরশাদের কবিতা শুনে কবি বক্তব্য দিতে চেয়েছেন। শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমার মনে হয় এরশাদের এই কবিতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সৃষ্টি। তার কারাবাসের জন্য বাংলা সাহিত্য এ ধরনের সৃষ্টিকর্ম পেল।

” এরশাদের জনসংযোগ ও রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে খুব কাছাকাছি থেকেও আজো বুঝে উঠতে পারিনি তার (এরশাদ) আসল পরিচয় কোনটা? তিনি কি কবি, গীতিকার, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, প্রশাসক না দক্ষ রাষ্ট্র নায়ক?” ধাঁধাঁয় পড়ে যান এরশাদের রাজনৈতিক সচিব। এরশাদের লেখা কবিতা ও গান না শুনলে বিষয়টি বোঝা যাবে না বলে মনে করেন সুনীল এরশাদের লেখা কবিতায় কণ্ঠ দেওয়া আবৃত্তিকার ইসমত তোহা বলেন, “জীবনে অনেক কবিতা আবৃত্তি করেছি। অনেক পুরস্কারও পেয়েছি। কিন্তু তার (এরশাদ) লেখা কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম। ” অনেক কষ্টে সেই আবেগ সংবরণ করে কবিতা আবৃত্তি করেছি,” যোগ করেন তিনি।

আর এরশাদ? কারাবাসের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এরশাদের লেখা একটি কবিতা অনুষ্ঠানে বাজানো হলে বিমর্ষ হয়ে শোনেন তিনি। এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন সাবেক এই সামরিক শাসক। চোখ মুছে আসেন ডায়াসে। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “যখন কবিতাটির আবৃত্তি শুনছিলাম, অতীতের কথা মনে পড়ে চোখ ভিজে উঠেছিল। জেলে ছয়টি বছর চোখের পানি ফেলেছি।

” অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, “তারা আমাকে স্বৈরাচার বলেন। সংবিধানে লেখা আছে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। সেই জনগণের আদালতে বারবার গিয়েছি, জনগণ আমাকে মুক্তি দিয়েছে। আমাকে স্বৈরাচার বলার অধিকার তাদের নেই। ” তিনি বলেন, “আমি ছিলাম স্বৈরাচার, কথা ছিল ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আমাকে নির্বাচন করতে দেবে।

তা না করে জেলে নিয়েছে। আমার মনোনয়ন বাতিল করেছে। রংপুর ডিসির কার্যালয় ঘেরাওয়ের পর নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছি। পাঁচটি আসনেই জয়ী হয়েছি। ” এরশাদ বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমার বিরুদ্ধে অন্যায়-অবিচার করেছে।

আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না, তারা নিরপেক্ষ নয়। ” “নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলাম, সংসদে যেতে পারিনি। এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, এগুলো মনে রাখতে হবে,” বলেন তিনি। “আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সময়মত এর জবাব দিতে হবে,” বলেন এরশাদ।

নিজেকে দেশের সবচেয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ দাবি করে তিনি বলেন, “মামলা মাফ করতে সরকারকে বলিনি, বলবও না। কোর্টে গিয়ে লড়াই করব, আশা করি ফলাফল পক্ষে আসবে। ” সুত্রঃ এইখানে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।