আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাঈদী'র প্রতিঃ এবার অন্তত একটু উপলব্ধি করে স্বীকার করে নিন

ধরায়ে দেবানি... জনাব সাঈদী, আপনার ছেলেটা আজকে আপনার ১৯৭১ সালের কৃতকর্মের বিচার দেখতে এসে গত হয়েছেন। আমি একজন পিতা না হলেও পিতার এই যন্ত্রনা বুঝতে চেষ্টা করি। ছোটো বেলা থেকেই আমরা একটা কথা জানি, "পূত্রের লাশ পিতার কাঁধে সবচাইতে কঠিন বোঝা"। আপনি আপনার জীবদ্দশাতেই এই কঠিন বোঝার ভার বইলেন। আমি মনে করি এটা আপনার নিয়তি।

কেননা আমি ফেইট বা নিয়তিকে খুব বিশ্বাস করি, মানি। আপনি যেই অসংখ্য মানুষকে ১৯৭১ সালে হত্যা করেছেন, হত্যা করতে প্ররোচিত করেছেন, অসংখ্য হিন্দুকে আপনি জোর করে ধর্মান্তরিত করেছেন তা থেকে কি আপনি শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারলেন। এম্পি হয়েছেন, নেতা হয়েছেন, অর্থের মালিক হয়েছেন কিন্তু শেষ বেলাতে এসে ঠিকি আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হোলো। কথায় বলে "আল্লাহর মাইর, কল্পনার বাইর"। আর এই বিচার কার্যক্রম দেখেই আপনার পূত্রধন মারা গেলো।

এই কষ্ট আপনি কোথায় রাখবেন জনাব সাঈদী? আপনি এতই অভিশপ্ত যে পূত্রের জন্য ঠিক মত শোকটাও পালন করতে পারবেন না। কারন আপনার বিচারের জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনি একজন মোমিন মুসলমান আর আল্লাহ আপনাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে তবে আপনি তা ভাবতে পারেন। এই অধিকার আপনার আছে। কিন্তু আমরা যারা সারাটা জীবন আপনাকে অভিশাপ দিয়েছি তারা জানি, এইটা আপনাকে পরীক্ষা করা না।

বিধাতা আপনাকে জীবিত রেখে আমার জাতি কূল কে নির্যাতন আর হত্যা করার শাস্তি দিচ্ছে। আমাদের বাবা-বোনরা যারা আপনার বাহিনী ও আপনার মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছি তারা সকলেই জানি আপনি এখন অভিশপ্ত। বিধাতা এখন আপনাকে অল্প অল্প করে খুন করবে, হত্যা করবে। আপনার চ্যালা চামুন্ডারা গত এক বছর ধরেই ব্লগ, ফেসবুকে ছড়াচ্ছে যে আপনাকে গালি দেয়ার কারনে হারাধনের রক্ত উঠেছে মুখে, মধু সূদন ঘরামি অনেক আগের থেকেই মুমূর্ষ ছিলো। অথচ তার মৃত্যুতে আপনার চ্যালা চামুন্ডারা ছড়িয়েছে যে আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবার কারনেই নাকি তার মৃত্যু হয়েছে।

তারা এভাবে আরো অনেক কিছুই ছড়িয়েছে, ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ভেতর আতংক তৈরী করেছে সেই ইসলামকেই বেচে। ইস্লামের নাম ভাঙ্গিয়ে। কি লাভ হোলো সাঈদী সাহেব? ওস্তাদ কিন্তু শেষ রাতেই মেরে দিলো আপনাকে। কয়দিন আগে মাকে হারিয়েছেন, এখন হারালেন ছেলেকে। আপনি কি এখনো টের পান নি কিছুই? আপনি যেই কৃতকর্ম করেছেন ৭১ সালে, তার বিচার হোলো ৪১ বছর পর আর সেই বিচার দেখতে এসেই ছেলের মৃত্যু, আপনার বিচারের কথা চিন্তা করতে করতেই তিনি হার্টফেল করেছেন।

আপনার মা এই বিচারের কথা শুনেই অসুস্থ হয়ে যান এবং আরো দূর্বল হয়ে মারা যান। এর পরেও কি কিছু বুঝতে পারছেন না সাঈদী? এখনো সময় আছে সাঈদী সাহেব। আদালতের কাছে আপনার সকল দোষ স্বীকার করে শাস্তি মাথায় পেতে নেন। তা না হলে দেখা যাবে কালকে আপনার আরেক মেয়ে বা ছেলে বিচার দেখতে এসে হার্টফেল করে মারা যাচ্ছে। এভাবে আপনি সব হারিয়ে ফাঁসিতে ঝুলবেন সাঈদী।

প্লিজ, দয়া করে সব দোষ স্বীকার করে নেন আল্লাহর কাছে এবং বিচারকের কাছে। মৃত্যুর আগে এটলিস্ট মানুষ আপনার এই সত্যতার প্রশংসা করবে। সারা জীবনে তো মানুষের ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পান নি। নিজে ঘৃণা পেয়েছেন আর পরিবারের সবাইকেও ঘৃণা দিয়েছেন সাধারন পাব্লিকের হাতে। এটলিস্ট এবার একটু উপলব্ধি করুন।

একটি বারের জন্য মানুষ হন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.