আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে পথে তারেক

তারেক রহমান দুর্নীতির রাজপুত্র কিংবা বরপুত্র। যার সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট কল্পকথাকেও হার মানিয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার বিদেশে টাকা পাচারসহ অভিযোগের পাহাড় জমে যাচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসাবে বনানীর হাওয়া ভবনে বসে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে নেপথ্য সরকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নগ্নভাবে হ¯ক্ষেপ করেন। এ সময় থেকে তারেক রহমান এবং হাওয়া ভবন ঘিরে দলের তরুণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়। তারেক রহমানের পাশাপাশি সিন্ডিকেটের সদস্যরাও তার নাম ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নেন। প্রাথমিক জীবন: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য সন্তান তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তারিখে। শৈশব থেকেই বখে যাওয়া এই ছেলের স্কুল জীবনেই বদমাইশ বন্ধুবান্ধবের সার্কেল গড়ে ওঠে।

এর অত্যাচারে স্কুলের ছাত্র শিক্ষক সবাই অতিষ্ট ছিল। এমন কি একবার স্কুলের শত অভিযোগ শুনে শুনে তার বাবা স্কুলের ক্লাস রুমে গিয়ে কোমড়ের বেল্ট খুলে ছেলেকে পিটানোর ঘটনাও আছে। এই ছেলে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে কোন রকমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার কথা শোনা গেলেও পরবর্তী পড়াশুনার কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। যদিও বলা হয় পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সন্মান ডিগ্রী লাভ করে, যা তৎকালীন সেশন জটে অসম্ভব। শিক্ষা শেষে এই কুলাংঙ্গার পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নেন।

ব্যবসায় অবতীর্ণ হয়ে তারেক রহমান বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করেন ও স্বল্প সময়ের মাঝে আলাদিনের প্রদীপ পেয়ে ঐ ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেন। পরে তিনি নৌ-যোগাযোগ খাতেও বিনিয়োগ করেন। রাজনীতি: বাবা জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনের যোগ দেয়ার পূর্বেই তারেক রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মায়ের সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।

২০০১ সালের নির্বাচনেও তারেক রহমান মা বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তারেক রহমানের সক্রিয় আগমন ঘটে । ২০০২ সালে ৩৭ বছর বয়সী তারেক রহমানকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তারেক রহমান মহাসমারোহে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে। বাংলাদেশের গরীব জনগণের টাকা মেরে খাওয়া তারেক, লক্ষ মানুষের হক নষ্ট করা তারেক রহমান এত কিছুর পরেও আজ লন্ডনে তার মিলিয়ন পাউন্ডের বাসায় বহাল তবিয়তেই বসে বসে পেপার পড়েন ও মুভি দেখেন। তার বিশ্বস্ত কয়েকজন চামচা আছে যারা চাপরাশির মত তার আশে পাশে সারাটিদিন ব্যয় করেন তাদের বউ-বাচ্চা আর সংসার ফেলে।

শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেটওয়ার্ক: বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নির্দেশে পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর এ নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিত। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জোট সরকারের পক্ষে এ চক্র কাজও করেছে। এছাড়াও শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর ও সুব্রত বাইন ছিলো মামুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সাথে তারেকের যোগাযোগ ওয়ান টু ওয়ান।

দাউদ ইব্রাহিমের সাথে একাধিক বৈঠকের খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বিদেশে থেকেও কলকাঠি নাড়ছেন: তারেকের লন্ডন প্রবাসী এখন অনেকটাই বিলাসিতায় পরিপূর্ণ। সেখানে চিকিৎসার নামে যতরকম আরাম আয়েশ আছে তার সবটাই তিনি ভোগ করছেন। সপ্তাহান্তে সিনেমা দেখা, বারে গিয়ে নাচ-গান; এর সবটাই তিনি করছেন দেশের পাচার করা অর্থে। সেই সাথে এখনও দেশের রাজনীতির কলকাঠি নাড়ছেন তিনি।

বিএনপি’র অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই লন্ডনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তারেকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। আমরা কি এমন নেতা চাই? একজন নেতা হওয়ার যে যে রকম যোগ্যতা প্রয়োজন তার কোনোটাই নেই তারেক রহমানের। যা আছে তা কেবল চৌর্যবিদ্যা। যে বিদ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

প্রশাসনসহ সকল স্তরে সীমাহীন দুর্নীতি করে বাংলাদেশকে পরপর চারবার সেরা দুর্নীগ্রস্ত দেশের তালিকায় নিয়ে গিয়েছেন। তারেকের এই বিদ্যা কখনোই একজন রাজনীতিবিদের গুণ হতে পারে না। তার আদর্শ কখনোই এদেশের তরুণদের অনুরকরণীয় হতে পারে না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।