আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৮ দলের মহাসমাবেশে নাশকতার শঙ্কা গোয়েন্দাদের! নাকি সমাবেশ করতে না দেয়ার অজুহাত

মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ১১ জুনের সমাবেশ উপলক্ষে নাশকতা চালানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে এ ধরনের রিপোর্ট দেয়ার পর বিএনপির ১১ জুনের সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার ব্যাপারে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তারপরও বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি ঠেকাতে রাজধানী ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। রাজধানীতে অন্তত ১৫ হাজার পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থানসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড, র‌্যাব ও পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম ও সোয়াটসহ নারী পুলিশের একাধিক সিভিল টিম আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সরকারের এতো ভয় কিসের? এ মহাসমাবেশ করতে পারলে যেন সরকারের ক্ষমতা উড়ে যাবে? তাই মহাসমাবেশ ঠেকানোর খুড়া যুক্তি দিয়ে ১৮ দলের সমাবেশ বানচালের চেষ্টা! সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ঠেকাতে ১১ জুন মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ (আসল কারণ এটি) যারাই সন্ত্রাস,গুম,খুন ও নৈরাজ্যর মূল হোতা তারাই আবার এগুলো ঠেকানো, ভোতের মুখে রাম রাম!! ইকোনোমিষ্ট যে রিপোট করেছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার একটি জ্বলত্ব উদাহারণ এ মহাসমাবেশ বানচাল করার এ খুড়া যুক্তি। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দমনের নামে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা খুন,গুম,অগ্নিসংযোগ,ভাংচুর চালাবে আর পুলিশ বাদী হয়ে বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা দিয়ে কারাগারে ডুকাবে কি সুন্দর পলিসি শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি সরকারের এ উদ্যোগকে। বর্তমান আওয়ামী সরকার বিরোধী দলগুলোকে শিকাচ্ছেন কিভাবে বিরোধীদের দমন করতে হয়।

আগামীতে এর শিকার আওয়ামী লীগই হবে। এর আগেও এ খুড়া যুক্তি উপস্থাপন করে বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করা হয়েছিল। কিন্তু কেন? সরকারের এতো কিসের ভয়? এতে করে বিরোধী দলের প্রতি জনগনের আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ছে, যা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে জনবিস্ফোরনের ক্ষেত্র তৈরি করতে কাজে লাগবে। প ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।