আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ভন্দু শরীফ উদ্দিন পর্ব:১

ক্লান্ত সদালাপ শরীফ উদ্দিনের সাথে আমার পরিচয় প্রায় ছয় বছর। তখন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছি। নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হচ্ছে। মফস্বল থেকে আসা শরীফ উদ্দিনের সাদামাটা চেহারা দেখে সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে গেল। ঢাকায় মানিয়ে নিতে সমস্যা, জিনিসপত্রের দাম, বাড়ির স্মৃতি এসব শুনে অল্প পরিচয়েই তাকে টিউশনির একটা ছাত্রী (চাচাত বোন) জোগাড় করে দিলাম।

অবশ্য অচিরেই মাস কয়েক বাদে হলের আচার ব্যবহার কায়দা কানুন রপ্ত করতে করতে আমার সাদাসিধে বন্ধুটি ডাকসাইটে তরুণ হয়ে উঠল। ক্লাস ফাকি দেয়া, ডাইনিংএ হাউকাউ করা তার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছিলো। এর চেয়েও বড় সমস্যা তৈরি হল যখন সে 'চোদা' শব্দটাকে আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে ফেলল। কেমন আছিস বাক্যটা কিরে ব্যাটা ক্যামন চুদতেসিছ; ফোনে কথা বলি বাক্যটা ফোনে চুদতেসি, ছেলেমেয়েরা খালি প্রেম করে ক্যান কথাটা পোলামাইয়ারা খালি প্রেম চুদায় ক্যান তার এরকম হাজারটা বাক্যে আমাদের সভ্য কানগুলো অতিষ্ট হতে লাগল। তার হাবভাবে টেকা যায় দায় এমন সময় একদিন বাম গালে তিন কী চার আঙ্গুলের কালচে নীল দাগ নিয়ে সে ক্যান্টিনে উপস্থিত।

কাউকে কারণ জানাতে রাজি না হওয়ায়, আমাদের কিছু বন্ধু ধরে নিল ফাইজলামির কারণে কোনো মেয়ে চড় মেরেছে, কিন্তু আমি যতদূর জানি মেয়েদের হাতে এত শক্তি থাকে না যে চড় মেরে তার স্যান্ডেলের তলা মার্কা গাল নীল করে দেবে। ঘটনা বলার জন্য চাপাচাপি করতে যা শুনলাম তা হল, গতকাল আমার চাচাত বোনকে পড়ানোর সময় তার এক বন্ধু কল করে একটা ছাত্রী পড়াবে কি না জিজ্ঞেস করে। শরীফ উদ্দিন স্বভাবসিদ্ধ উচ্চস্বরে জবাব দেয়, এক ছাত্রীরে চুইদ্যা (পড়াইয়া) টাইম পাইনা আবার আরেক ছাত্রীরে চুদতে (পড়াইতে) হইব?? পাশের ঘর থেকে আমার অফিস ফেরত চাচা একথা শুনে তার গালে চারটি আঙ্গুলের ছাপ উপহার দেন। চলবে.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।