আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিএস সহ সরকারি চাকুরিতে অযৌক্তিক কোটা প্রসঙ্গে এক অধমের কিছু কথা………………রিপোস্ট

ভাদা,পাদা, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী মুক্ত বাংলাদেশ চাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকুরি বিসিএস সহ সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বণ্টন এইরূপঃ মুক্তিযোদ্ধা কোটা-৩০%,জেলা কোটা-১০%,নারি কোটা-১০%,উপজাতি কোটা-৫% এবং অবশিষ্ট ৪৫% মেধার ভিত্তিতে। আবার এই মেধার ৪৫% এর মধ্য রয়েছে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি,দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দানের অশুভ প্রতিযোগিতা । বিগত দশ বসরের বিসিএসের নিয়োগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মেধা তালিকায় ২০০ বা ৩০০ এর মধ্য থাকা স্বত্ত্বেও অনেক মেধাবি ক্যাডার পায়নি যেখানে ২০০০ বা ৩০০০ বা তদূর্ধ্ব তালিকায় থেকেও শুধু কোটার জোরে অনেক অমেধাবিরা চাকরি হাতিয়ে নিয়েছে। মেধাবিদের এই বঞ্ছনার বিরুদ্ধে কোনও বুদ্ধিজীবী বা রাজনিতিবিদ কেউই কোনও প্রতিবাদ করেননা। বিষয়টিকে খুবই সেনসিটিভ মনে করে কোনও প্রতিবাদ করেননা বলে শিকার করেছেন কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ।

কোটার বিরুদ্ধে কথা বললেই রাজাকার,যুদ্ধাপরাধী,নব্য রাজাকার বলে গালিগালাজ হজম করতে হয়। পৃথিবীর কোনও সভ্য দেশেই কোটার এই অতিরঞ্জন নেই। ডঃ আকবর আলি খান একটি গবেষণায় ৫৫% কোটাকে অমানবিক উল্লেখ করে এর যৌক্তিকইকরনের কথা বললেও পিএসসি এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি । কোটা গুলোর মধ্য সবচেয়ে অমানবিক হল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের অনাগত সিলসিলাদের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ৩০% কোটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা। যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বৈষম্য নিরসনের জন্য পাক হানাদার বাহিণীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন আজ তারাই কোটার মাধ্যমে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করে চলেছেন।

অবশ্য এ জন্য শালার রাজনীতিবিদরাই দায়ি। কিছুদিন আগে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’ নামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটি সংগঠন দাবি করে ‘মুক্তিযোদ্ধার বংশধরদের জন্য বিশেষ বিসিএস আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে , তাই হবে তাদের প্রতি যোগ্য সম্মান জানানো’। আর আমরা পাছা মারা দেওয়ার জন্য এই স্বাধীন দেশে বসবাস করি? মুক্তিযুদ্ধে তারাই যদি শুধু অংশ গ্রহন করে থাকে তাহলে সারা দেশের মানুষ কি তখন বাল ছিড়েছে? রাজাকার ছাড়া ঐ সময়ের সব মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং তাদের জন্য ৩০% বিশেষ কোটা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল । মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের তথ্য মতে দেশে নিবন্ধিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১লাখ ৬০হাজার।

যা মোট জনসংখ্যার .২%ও নয় । সুতরাং তাদের জন্য ৩০% কোটা অযৌক্তিক। নারি আর আদিবাসি কোটা নিয়ে তেমন আপত্তি নাই। জেলা কোটা বিলুপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধার জন্য সরবচ্চ ১০% কোটা রেখে অন্তত ৭৫% মেধাবিদের জন্য বরাদ্দ রাখলে দেশ মেধাবিদের সেবা পেত। আসুন আমরা কোটার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.