আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগর-রুনি নিয়ে লণ্ডনে মুখ খুললেন ড. মাহফুজ : বললেন, পরকীয়ার বলি

সংবাদ২৪.নেট ডেস্ক : সাগর-রুনি পরকীয়ার বলি এবং সিলেটিরা এখন শিক্ষিত হয়ে ভদ্র হয়েছেন—এমন বক্তব্য দিয়ে লন্ডনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। গত ৩০ মে পূর্ব লন্ডনের ব্লু মুন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলা ইউকের সিইও হাফিজ আলম বক্স, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শামসুল আলম লিটন, নিউজ এডিটর আবদুল হাই সঞ্জু। সংবাদ সম্মেলনে লন্ডনের সাপ্তাহিক নতুন দিন পত্রিকার সাংবাদিক মো. কাওসার তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, শুনেছি আপনি নাকি সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে জড়িত—এ ব্যাপারে কিছু বলবেন প্লিজ? জবাবে ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু মনে করি, সাগর-রুনি পরকীয়ার বলি হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের ছোট্ট শিশু মেঘের দেয়া একটি বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে সিজ করা আছে। প্রয়োজনে আমি এটি প্রচার করব।

তিনি বলেন, আমি যেটুকু শুনেছি, রুনি তার বাসায় প্রায়ই মদের আড্ডা বসাত এবং সেখানে তার কাছের বন্ধুরা যেত। রুনি খুব চঞ্চল এবং প্রাণোচ্ছল প্রকৃতির মেয়ে ছিল—যে কারণে তার অনেক বন্ধুও ছিল। রুনির স্বামী সাংবাদিক সাগর জার্মানি থাকাকালে কোনো এক বন্ধুর সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে আমি শুনেছি। সে কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্যও চলছিল। তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন সকাল ৬টায় বাসায় আসার কথা থাকলেও রাত ২টায় সাগর কাজ ফেলে কেন বাসায় চলে এলেন? নিশ্চয়ই তিনি কিছু বুঝতে পেরেছিলেন।

তিনি ফেসবুকে সাগর-রুনি হত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কোনো দুর্নীতি করার মতো লোক আমি নই। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমি সত্য বলা থেকে পিছপা হইনি, ভবিষতেও হব না। একই সংবাদ সম্মেলনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশে থাকা সিলেটের মানুষ এখন লেখাপড়া শিখে ভদ্র হয়ে গেছেন। তারা সিলেটি ভাষা ছেড়ে দিয়ে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে শিখেছেন। এ কারণে সিলেটি ভাষায় সংবাদ পাঠ করার জন্য কোনো সংবাদ পাঠক পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, দেশে সিলেটি সংবাদপাঠক পাওয়া না গেলেও লন্ডনে সিলেটি ভাষায় বলার মতো লোকের অভাব নেই। বাংলাদেশে যখন সাংবাদিক নির্যাতন ও সাগর-রুনি দম্পতি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকরা মিছিল-সমাবেশ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন এবং এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন, তখন লন্ডনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার ব্রিটেনের দুটি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা সাপ্তাহিক নতুন দিন এবং সাপ্তাহিক বাংলা টাইমসে এ সংক্রান্ত সংবাদটি প্রকাশ হলে মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর এটিএন বাংলা ইউকে কর্তৃপক্ষ তাদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করলেও ড. মাহফুজ তার বক্তব্যে ছিলেন নির্বিকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।