আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শত কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের পুলিশের কোলে এখন বাবর কিন্তু মানুষের জীবন?

বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর দাপটে সাংবাদিকসহ দেশের মানুষ অতিষ্ট । এই বাহিনীকে বিগত জোট সরকারের ৫ বছরে পুলিশ বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে একটি দলীয় বাহিনীতে পরিনত করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি লুৎফুজ্জমান বাবর। নতুন ১৩ হাজার ৮৯টি পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিয়েছিলেন দলীয় লোকজন। শুধু মাঠ পযার্য়ে নয়, পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল পুলিশের শীর্ষে পর্যায়েও। এর মধ্যে অতিরিক্ত আই জি, যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত আইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার প্রায় ৩শ নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়।

এ সব পদে এখনও তার নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা বহাল আছেন। এছাড়া শন্যপদে নিয়োগ করেছিলেন আর ও সাড়ে ১৩ হাজার দলীয় লোক। এসআই পদে নিযোগের মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন কেটি কোটি টাকা। তার আমলে সবচেয়ে আলোচিত ছিল এসআই পদে নিয়োগ বাণিজ্য। অভিযোগ আছে সরকারের একবারে শেষ সময়ে এসআই নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য ছিল এক রকম নাই।

ওপেন সিক্রেট, একটি বিশেষ ভবনকে, ম্যানেজ করে এসআই নিয়োগ বাণিজ্যে বার শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ২০০৪ সালে ১ হাজার ৪০০ এসআই পদের জন্য দরখা¯ আহবান করা হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ হাজার প্রার্থী, কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় পাস করে মাত্র ৩শ জন, এদিকে ২০ মার্চ গ্রেস দিয়ে পাস করানো হয় ১ হাজার ১ জনকে। এদের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৮৩০ জনকে এবং এরপর এদের কাছ থেকে নেয়া হয় ২ থেকে ৫ লাখ টাকার উৎকোচ। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে নতুন এসব এস আই সদস্যের ট্রেনিং পিরিয়ড কমিয়ে এক বছরের স্থলে ৬ মাস করা হয়।

সরকারের একেবারে শেষ সময়ে তাদের নিয়োগ স্থায়ী করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি লুৎফুজ্জমান বাবর। আজ এই বাহিনীর কোলে চড়ে বাবর সাহেব আরাম পেলেও জনগণের জীবন ওষ্ঠাগত; মুক্তি চাই এ অবস্থার। সূত্র : যুগান্তর, ২০ জানুয়ারী ০৭  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।