আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালী পুজার রাত

ভাল ষ্টুডেন্ট হতে চাই । সাহায্য করুন । আমাবর্ষার রাত । ঘুটঘুটে অন্ধকার । এমন অন্ধকার যা কোন আমাবর্ষায় হয় না।

কালী পুজার দিন ছিল সেদিন । গ্রামের মানুষের কুসংস্কার যে আমাবর্ষার রাতে যারা মরে তারা কালীর বেেল ফের মানুষ হতে পারে । সেই গ্রামের দুই বন্ধু ছিল হিতেষ ও মন্ডল । হিতেষ ভুতে বিশ্বাস করত না । হিতেষ এর একতা অসুখ ছিল।

তাই মাঝে মাঝে তার দম বন্ধ হয়ে যায় । বলতে বলতে একদিন হিতেষ মারা গেল । তার বন্ধু মন্ডল শস্ানে মরা পোরাত । তাই মন্ডল শসানে হিতেষকে পুড়িয়ে বাড়ি ফিরছিল । মন্ডল বাড়ি ফেরার সময় খেয়াল করল তার বন্ধু হিতেষ তার সঙ্গে আসিতেছে ।

মন্ডল ভয় পেয়ে দৌড় দিল । হিতেষ ভাবল , তার এত প্রানের বন্ধু মন্ডল তাকে দেখ ভয়ে পালাল কেন ? হিতেষ তখনও বুঝতে পারেনি সে মারা গেছে । সে যেখানে যায় তাকে দেখ সবাই পালিয়ে যায় । তাই মনের দুঃখে হিতেষ একদিন গভীর বনে চলে গেল । সেখানে এক সাধুর দেখা পেল ।

সে সাধুকে মনের সব কথা খুলে বলল । একদিকে ভন্ড সাধুর মনে দুষ্ট বুদ্ধি আসল । সে ভাবল এই আতœাকে যদি কালির নামে উৎসর্গ করি তাহলে আমি মহা শক্তিমান হব । যেই ভবা সেই কাজ । সাধু হিতেষ এর আতœাকে বন্ধি করল ।

এদিকে পরে যখন হিতেষ তের পেল সে একটা ভুত তখন সে ভাবল আমি যদি ভুত হয় তাহলে অন্য ভুতদেও স্বরন করলে তারা আমাকে সাহায্য করবে । হিতেষের ভুত সারা রাত ভুতদের স্বরন করল । ভুতরাও হিতেষকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল । তখন ভতেদের একটা সভা বসল । সভায় আলোচনা হল ।

আমাদের ভুত সমাজের একটা ভুতকে এক দুষ্ট তান্ত্রিক ধরে রেখেছিল তাকে শাস্তি দেওয়া লাগবে । তখন ভুত সমাজ ভবতে লাগল কি করা যায় । তারা বুদ্ধি পেল যে সাধুকে অন্যভাবে শাস্তি দেওয়া হবে । তারা প্লান মতো হিতেষকে সেখানে রেখে এল দ্টু তান্ত্রিক যেখানে হিতেষকে বন্ধি করে রেখেছিল । তান্ত্রিক পরদিন এস দেখল সবকিছু ঠিক আসে ।

সামনের আমাবর্ষায় একে কালির নামে উৎসর্গ করা হবে । সাধু মনে মনে খুব খুশি যে সাধু সামনের আমাবর্ষায় সে সর্বশক্তিমান হবে । কিন্তু যদি এ উৎসর্গ ভেস্তে যায় তবে মহাবিপদ ঘটবে । তান্ত্রিক আর কোন দিন অমর হতে পারবে না । আমাবর্ষা এসে গেছে।

সাধু আজ রাত ১২টার সময় হিতেষের ভুতকে কালির নামে উৎসর্গ করবে । যজ্ঞে সব রেডি করা আছে। কিছুক্ষন পর দুষ্টু তান্ত্রিক যজ্ঞে যাবে । এমন সময় দরজায় তিনটা টোকা শোনা গেল । সাধু জানত যে ভুতেরা তিনবারের বেশি দরজায় টোকা দেয় না ।

তাই সাধু তার গোপন রাস্তা দিয়ে যজ্ঞের স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করল । ততক্ষনে ভুতেরা দরজা ভেঙ্গে দিয়েছে । সাধুর আগে ভুতেরা যঙ্গের স্থানে চলে গেল । সেখানকার যজ্ঞ ভঙ্গ করে দিল । আর কালি রাগ হয়ে দুষ্টু তান্ত্রিককে নরকে যাওয়ার অভিশাপ দিল ।

সাধুর আর অমরতœ পাওয়া হল না । পেল মৃত্যুদন্ড । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.