আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুল উপস্থাপনাঃ একটি সচেতনতা মূলক পোষ্ট: কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও মিল-মুহব্বত রাখার ভয়াবহ পরিনতি সম্পর্কে জানুন

লেখাটি এই লিংকে লেখাটির কমেন্ট মডারেটেড, তাই আলাদা করে লিখলাম। লিংকের লেখাটি এমনভাবে এসেছে যে তাতে মনে হচ্ছে মুসলিম কমিউনিটির বাইরে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই এবং অমুসলিমদের সাথে মেশা, তাদের সুখে দুখে পাশে থাকা বা তাদের সাথে সদাচরণ করা যাবেনা। তবে প্রকৃত ইসলাম তা নয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ইসলামের ইতিহাসে এমন কখনও হয়নি যে তারা অমুসলিমদের থেকে দূরে অবস্থান করে নিজেদের একঘরে করে রেখেছেন। বরং অবস্থা ছিলো তার বিপরীত।

অমুসলিমরা নিজেদের মূল্যবান সম্পদ আর গোপনতম কথা রাসুলুল্লাহ সাঃ কিংবা তাদের মুসলিম সাথীদের কাছে আমানত রাখতো। তারা জানতো যে, এ আমানত লোকটি আমৃত্যু রক্ষা করবে। রাসুল সাঃ অমুসলিমদের সাথে মিশেছেন, তাদের সুখে দুখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ঘরে খেয়েছেন এবং নিজেও খাইয়েছেন। মদীনায় রাসুল সাঃএর ঘরে একটি ইহুদী ছেলে স্বেচ্ছায় তাঁর খাদিম হিসাবে কাজ করত। তিনি কখনও ছেলেটিকে ইসলাম গ্রহণের জন্য জোর করেননি।

ছেলেটি একবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় উপনীত হয়। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে সে রাসুল সাঃ কে একটিবার দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিনি তার বাড়ীতে ছুটে আসেন। ছেলেটির মাথার পাশে বসে তিনি তাকে বলেন, "ব্যাটা, ইসলাম গ্রহণ কর"। ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছেলেটি ভয়ে তার বাবার দিকে তাকালো।

তার বাবা বললেন, "আবুল কাশিম (রাসুলের উপনাম) যা বলছে তা করো"। এবার ছেলেটি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র সাক্ষ্য দিলো এবং এর পরই সে মারা গিয়েছিলো। সহীহ বুখারীতে জারীর রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, "আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করিনি তখন যতবারই আমার রাসুলের সাথে দেখা হয়েছে, তিনি আমাকে দেখে মুচকি হেসেছেন"। প্রতিবেশীর যে অনবদ্য অধিকার ইসলাম দিয়েছে, তা কেবল মুসলিম প্রতিবেশীই নয়, বরং তা অমুসলিম প্রতিবেশীর সমানভাবে প্রযোজ্য। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইতিহাসে যতগুলো যুদ্ধে কোন অমুসলিম যুদ্ধবন্দী হিসাবে মুসলিমদের হাতে এসেছে, তাদের কারো সাথে কোন অসদাচরণ করা হয়নি, বরং এমন যুদ্ধবন্দী খুবই কম ছিলো যারা ছাড়া পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি।

রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর সাহাবীগন যখন পারস্য ও রোম বিজয় করলেন, তখন সেখানকার কিশোর ও তরুন সমাজ-যাদের বাবা-চাচাদের বিরুদ্ধে সাহাবাগণ যুদ্ধ করেছিলেন, তারাই সে সাহাবাদের চরিত্র, জীবন প্রণালী ও পরাজিত জনপদের মানুষের সাথে সদাচারণ দেখে স্বেচ্ছায় এসে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছিলো। ইয়াহুদী, নাসারা আর মুশরিকদের এমন কোন চাল-চলন, আদর্শ বা মত যা আল্লাহর আদেশের বিপরীতে যায় তা কোনভাবেই গ্রহণ করা যাবেনা যদিও তা কারো দৃষ্টতে শোভনীয় বা পছন্দনীয় হয়, আর আল্লাহ মূলতঃ তাই বলেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের ইতিহাস এমন একটা সময় পার করেছে যখন অমুসলিম দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ খৃষ্টান ও অন্যান্য অমুসলিম গোষ্ঠী সুধুমাত্র জিজিয়া করের বিনিময়ে ইসলামের ভূমিতে মাইগ্রেট করেছে নিজেদের ধর্মকে নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য। মুসলিমদের অনন্য সাধারণ আমানতদারী, ইনসাফ আর সদাচার ছিলো এর পেছনের কারণ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।