আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যারা বলে I Hate Politics তাদের উদ্দেশ্যে দুইডা কথা। মাইন্ড কইরেন না

আজকাল অনেকের ফেসবুক স্ট্যটাসের পলিটিক্যাল ভিউতে দেখা যায় I Hate politics লেখা। অনেক ফেসবুক গ্রুপও আছে এমন। কিন্তু পলিটিক্সকে ঘৃনা করেই কি আমরা দায় এড়াতে পারবো? আমরা প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি করি বা না করি, ভোট কেন্দ্রে যাই বা না যাই কেউই কিন্তু রাজনীতির বাইরে নই। কোন দেশের সকল নাগরিকই ঐ দেশের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত। যারা রাজনীতিকে ঘৃনা করে তারা নিশ্চয়ই নোংরা রাজনীতির কারনে হতাশায় ভোগে এবং একপর্যায়ে রাজনীতিকে খারাপ চোখে দেখে।

কিন্তু রাজনীতি মানে দেশ প্রেম। যদিও বর্তমানের রাজনীতিবিদগন দেশপ্রেমের জায়গা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। এবং এ দায় আমাদের দেশের প্রধান দুই দলের। আমাদের চোখের সামনে অন্যায় হচ্ছে, চুরি করছে রাজনীতিবিদ নামের মহা চোরেরা, আমাদের অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি তার পরেও কি আমরা প্রতিবাদ করবো না। I Hate Politics বললেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু নৌকা আর ধানের শীষেই ভোট দেই আর বারবার প্রতারিত হই।

আওয়ামীলিগ বিএনপির মধ্যে একযায়গায় মিল , তা হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্যায়ে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। যদি ঘৃনা করেও আবার তাদেরই ভোট দেই তাহলে এই ঘৃনা করে কি লাভ। আওয়ামীলিগ চলে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে যদিও মুক্তিযোদ্ধারা এমন বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেননি, আর বিএনপি চলে ভারত বিরোধিতার কথা বলে কিন্তু নিচে নিচে সবাই সমান। আমাদের সবার রাজনীতি, দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত এবং প্রয়োজনে অধিকার আদায়ে ও জনগনের ট্যক্সের টাকার সুষ্ঠু ব্যাবহার নিশ্চিত করার জন্য রাজপথে নামার মানসিকতা থাকা উচিত। আর এই মুহুর্তে জোট মহাজোটের বাইরে বাম বিকল্প শক্তির উত্থান জরুরি মনে করছি।

জোট-মহাজোট , পাচ বছর পর পর শাষক নড়ে কিন্তু শোষন কমেনা; তাই এভাবে আর হতে পারে না। তাই সবাই যেন রাজনীতিকে ঘৃনা করে দূরে না থাকি, পরিবর্তনের দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।