আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন আমি নিঃসঙ্গ?

আমিত্বকে ভালবাসি............. শৈশব থেকে আমি সবাইকে ভালোবাসতে চেয়েছি এবং সবার ভালোবাসা পেতে চেয়েছি। অনেককে আমি ভালোবেসেছি, কিন্তু কারো ভালোবাসা পাইনি। নিঃসঙ্গতার বেদনার মধ্যেই বয়ে গেছে আমার জীবনের দিন-রাত ও সকাল-সন্ধ্যা। কত প্রতীক্ষা করেছি একজন বন্ধুর, একজন অন্তরঙ্গ মানুষের, যার কাছে পাবো একটু সঙ্গসুখ! ভালো- বাসার একটু উষ্ণ স্পর্শ! কিন্তু মানুষের হৃদয় বড় নির্দয়! জীবনের পথে স্বার্থ ছাড়া কেউ কারো সঙ্গী হতে চায় না। বিষয়চিন্তা ছাড়া কেউ কাউকে সঙ্গ দিতে চায় না।

কেন এমন হয়? কেন মানুষ সবকিছুকে স্বার্থের নিক্তিতে মাপে? আমার জীবনে কেন এলো না কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু, যার সঙ্গসুখে আমি ভুলে যাবো এত দিনের নিঃসঙ্গতার সব বেদনা? *** বাগানে কত ফুল দেখেছি! কোনদিন ভাবিনি ফুলের কথা! সেই ফুল একদিন আমার ভুল ভেঙ্গে দিলো। ফুল কারো সঙ্গ কামনা করে না, শুধু ফুল হয়ে ফুটে থাকে। তবু মানুষ পেতে চায় ফুলের সঙ্গ। ফুল দিয়ে মানুষ মালা গাঁথে, ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখে। কারণ ফুলের পাপড়িতে সুবাস আছে, ফুলের গায়ে সৌন্দর্য আছে।

ফুলের সুবাস ও সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে এবং ফুলকে মানুষ ভালোবাসে, ফুলের জন্য মানুষ কবিতা লেখে। *** কত পূর্ণিমায় আকাশে চাঁদ দেখেছি! কোনদিন ভাবিনি চাঁদের কথা! সেই চাঁদ একদিন আমার ভুল ভেঙ্গে দিলো। পৃথিবী থেকে কত দূরে আকাশের চাঁদ! কে আছে চাঁদের মত নিঃসঙ্গ! চাঁদ তো কারো সঙ্গ কামনা করে না, শুধু পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে পৃথিবীতে জোসনা ছড়ায়। তবু মানুষ এত দূর থেকেও পেতে চায় চাঁদের সঙ্গ। জোসনা রাতে মানুষ চাঁদের পানে তাকিয়ে থাকে, জলের দর্পণে মানুষ চাঁদের ছবি দেখে, মুগ্ধ হয়।

কারণ চাঁদের সৌন্দর্য আছে এবং আছে মিষ্টি জোসনা। চাঁদের আলো ও সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে এবং চাঁদকে মানুষ ভালোবাসে, চাঁদের জন্য মানুষ কবিতা লেখে। আমার জীবন এখন অন্যরকম। এখন আমি বাগানে ফুলের কাছে যাই, আর ফুল আমাকে বলে, ‘মানব-উদ্যানে’ তুমি শুধু ফুল হয়ে ফুটে থাকো; তোমার সুবাসে, তোমার সৌন্দর্যে মানুষ তোমাকে ভালোবাসবে। ’ জোসনা রাতে এখন আমি চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি, আর চাঁদ আমাকে বলে, ‘মানবের হৃদয়াকাশে তুমি শুধু চাঁদ হয়ে আলো দান করো, তোমার স্ণিগ্ধতায়, তোমার সৌন্দর্যে মানুষ তোমাকে ভালোবাসবে।

(বাংলা সাহিত্য পত্রিকা আল কলমে প্রকাশিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।