আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ কেমন জনপ্রিয় দিলীপ বড়ুয়ার

আমি কিন্তু ভালো মানুষ সব নির্বাচনে জামানত হারানো যদি জনপ্রিয়তার নমুনা হতো তবে সে দৌড়ে দিলীপ বড়–য়া মনে হয় প্রথম হতো। একটি দলের শীর্ষ নেতা যদি একটি নির্বাচনী আসন থেকে ৩০৭ভোট পায় তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। বিষয়টা আমি সেভাবে দেখি না। বিষয়টা এমনও হতে পারে গুনির কদর সবাই বোঝে না। যেমনটি বোঝে নি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের লোক জন।

যদি বুঝতো তাহলে কি এত কম ভোট পেতেন তিনি। সমস্যাটা সেখানে না আসল বিষয়টা অন্য জায়গায়। নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও স্যার ফজলে হোসেন আবেদকে রাজনীতিতে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করে কথা বলে মুলত বিপাকে পড়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পেশাগত কারণে খোজ নিয়ে দেখলাম যতবারই দাদা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন প্রতিবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার। শুধু তাই নয় ১৯৯৬ এবং ২০০১সালের দু’টি নির্বাচনেই তার জনপ্রিয়তা ছিল শুণ্যের কোটায়।

৯৬’র নির্বাচনে তার সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শুণ্য দশমিক ৩৭শতাংশ। চট্রগ্রাম-১ আসন থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও ২০০৮ অংশ নেওয়ার সুযোগই পান নি। তবে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হয়েছেন। সংসদ সদস্য তো দুরের কথা এ পর্যš— তিনি যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন প্রত্যেকবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১৯৯৬সালের নির্বাচনে সাম্যবাদী দলের হয়ে চট্রগ্রাম-১ আসন থেকে চেয়ার প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারান তিনি।

মোট ১লাখ ৭৫হাজার৩৪৩জন ভোটারের মধ্যে ১লাখ ৩৭হাজার ৭০৩জন ভোট প্রদান করে। এর মধ্যে দিলীপ বড়–য়া পান মাত্র ৫৭৭ভোট। যা মোট ভোটের শুন্য দশমিক ৩৭শতাংশ। আর ২০০১সালের নির্বাচনে একই আসনে মোট ২লাখ ২৪হাজার ৮৩৬জন ভোটারের মধ্যে ১লাখ ৭২হাজার ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে মাত্র ৩০৭ভোট পাওয়ায় দিলীপ বড়–য়া।

যা মোট ভোটের মাত্র শুন্য দশমিক ১৮শতাংশ। ২০০৮সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের এক প্রার্থীকে তার নির্বাচনী আসনটি ছেড়ে দেন তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। এ কারণে প্রতিদান হিসেবে তাকে দেওয়া হয় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। বাম ধারার একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে সরকারে সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এর বির“দ্ধে দায়সারা গোছের কিছু বক্তব্য দিলে মন্ত্রীত্ব পাওয়ায় দিলীপ বড়–য়া ছিল একেবারেই নিশ্চুপ। সারা জীবন তিনি বূর্জোয়ার বির“দ্ধে গগণ বিদারী শে­াগান দিলেও মন্ত্রী হওয়ার পর পুজিবাদের পইে সাফাই গাইছেন তিনি।

গত ৫মে বাংলাদেশ সফরে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন। তার সঙ্গে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পে মত প্রদান করেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। গত শুক্রবার এক আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকার যদি আপনাদের এতই ভালো লাগে তাহলে আপনারা রাজনীতিতে আসুন, রাজনীতিতে এসে এ নিয়ে কথা বলুন। জনগণকে মোকাবেলা করে জনপ্রিয়তা যাচাই কর“ন। তারপর কথা বলুন।

তিনি আরো বলেন, অš—র্র্বতী সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের বির“দ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সরকারকে টলানো যাবে না। দিলীপ বড়–য়ার এমন বক্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। তার এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেন, আমি তার(শিল্পমন্ত্রী) প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, তিনি ড. ইউনূসের নখের সমান হওয়ার যোগ্যও নন। তার মুখে এমন মš—ব্য মানায় না।

একজন মন্ত্রী যদি এরকম বেকুবের মতো কথা বলেন, তাহলে তার চেয়ে খারাপ আর কিছু হয় না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.