আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বৈরাতন্ত্র বনাম বাপ/জামাইয়ের নাম বেচা গনতন্ত্র !! !! !!

" কেউ তোমার দিকে পাথর ছুড়ে মারলে , তুমি তার দিকে ফুল ছুড়ে মারো...তবে ফুলের সাথে সাথে ফুলের টবটাও ছুড়ে মারতে যেন ভুল না হয় " ফেসবুক পেইজ ঘুরলেই আমরা আওয়ামী সরকারের একচেটিয়া সমালোচনা দেখতে পাই , দেখতে পাই পুলিশ কিভাবে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের অত্যাচার করছে ...তবে সাথে আমরা এও ভুলে যাচ্ছি যারা এই ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন তাদের ৯০% অ্যাডমিন বিগত নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন কিংবা সামনে ভোটার হবেন । পুলিশি নির্যাতন সব সময় সব সরকারের আমলেই বিরোধী দলের প্রতি সমান ভাবেই ছিলো কিন্তু আমাদের সমালোচনার গণ্ডি ঘরের মুরুব্বীদের তর্ক শুনে কিংবা চায়ের দোকানে টেবিল চাপরানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলো। অনেকেই বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ফেসবুকে বসে তাদের এমন সমালোচনার সুযোগ পাইনি ,ব্যাপারটা অনেক নব্য সমালোচক ই মনে রাখেন না। সাথে এটাও আমরা ভুলে যাই নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদ যেমন তৈরি হচ্ছে একটু একটু করে সেই সাথে নতুন প্রজন্মের ভোটার ও সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর। ২ প্রজন্মের ভোটার বাতিল হয়ে যাবে সামনের ভোটার তালিকার সময় সাথে গতবার আর এবার মিলিয়ে ২ প্রজন্মের নতুন ভোটার ও বাংলাদেশ পাবে , যাদের অন্তত চা/বিস্কুট খাইয়ে ভোট বগল দাবা করতে পারবেনা কোন দল ই ।

কিন্তু কথা হচ্ছে এটা আওয়ামী সরকারের দুর্ভাগ্য কিংবা বিএনপি সরকারের সৌভাগ্য যাই বলিনা কেন ফেসবুক নামন একটি উন্মক্ত গণমাধ্যমের কল্যাণে আর আওয়ামীলীগারদের দুর্নীতির দরুন বিগত চল্লিশ বছরের ইতিহাসে যা হয় নি তা এবার হবে । সাধারন জনগন প্রথমবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয় বরং মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়ে( যা অনেক খানি এখন মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারছে )দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে নির্বাচনে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম যা অবশ্যই সীমা ছাড়িয়ে গেছে কিন্তু এই সংবাদটুকু আমাদের কাছ পর্যন্ত কে এনে দিচ্ছে সেটাও আমরা বার বার ভুলে যাই যা বিগত কোন সরকারের আমলেই আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতোনা। এতো কথা বলার পেছনে একটাই কারন শুধু মাত্র শুধু মাত্র আওয়ামী সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে যদি আবারো তাদের সমমনা বিএনপিকেই ক্ষমতা এনে দেয় তাহলে পার্থক্য কোথায় থাকলো ? আপনাদের কি মনে হয় আওয়ামী সরকার বিএনপি নেতা কর্মীদের যেভাবে হেনস্তা করছে ,বিএনপি এলে সেটার শোধ না নিয়ে ছেড়ে দিবে ?? ১/১১ এর পর আমরা দেখেছি কি করে দেশ শাসন করতে হয় ,কিন্তু আফসোস কুকুরের পেটে ঘি হজম না হওয়ার মতো আমরাও সেনাবাহিনীর আপোষহীন নিয়ম কানুন মেনে নিতে পারিনি । স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের জন্য যেমন দুই নেত্রী এক হয়েছিলেন তেমন করেই আবারো মইন ঊ আহমেদ এবং ফখরুদ্দীনের পতনের সময় গিয়েও তারা এক হয়ে যান ! কিন্তু কেন ? এরশাদ এবং মইন এই দুই সেনার অবৈধ শাসন আমলে যতখানি বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হয়েছিলো তার সিকি ভাগ কেন ২ দফা করে পূর্ণকালীন ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামীলীগ/বিএনপি করতে পারেন নি ? ইতিহাস বলছে সেনা সরকার ই একমাত্র বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবে মঙ্গল সাধন করতে পেরেছে এবং সেনা সহযোগিতাই শুধু দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া পরিবর্তন করা সম্ভব।

কৃতজ্ঞতাঃ মিজান ভাই .....  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.