আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল-রাস্তা

বোধ করি বাহনটা সঠিক-ই ছিল। মানে পথের পরিমাপে প্রয়োজনীয় গতি সাপেক্ষে। আমি সর্বান্তকরণে চালক বলিতে নমঃ নমঃ। চালক-আরোহীর ক্ষিপ্রতায় পথ ক্রমাগত সরে যায়। ছায়া-বীথির মাঝ বরাবর,কখনও মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে ,ফুরফুরে বাতাস লাগিয়ে ধেয়ে যাচ্ছি।

আহা! পথের আনন্দ যে এত মধুর জীবনে কল্পনাও করিনি। অবশ্য পথ বলতে নির্দিষ্ট পথ -চেনা পথ ,একেবারে মুখস্ত পথ। বেশ মুশকিলে পরা গেল । যত অগ্রসর হই ততই ধাঁধা লাগে। পথ-সংক্রান্ত পরস্পরের সংশয় জাগে।

ভুল পথে আসিনিত? পরক্ষনেই সংশয়ের পাতলা মেঘ কেটে গিয়ে বিশ্বাসের দৃড়তা ঘোষিত হয়- ভুল হতেই পারে না। এটাই সঠিক পথ-একমাত্র পথ। অগ্রসরতাই বিচক্ষনতা কিন্তু একি! সরলরেখা বরাবর রাস্তা শেষ হতেই যে বাড়িগুলো নজরে পরছে কোনটাই চেনা মনে হচ্ছে না। জীবনে যেন এই প্রথম এরকম অদ্ভুদ আলাদারকম সুন্দর বাড়ি দেখা হল। যে বাড়িগুলো সাধারণতঃ পটে প্রদর্শিত হয়।

নগর-বন্দর,কোলাহল,চেনা সমস্ত কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন । যেন একগুচ্ছ পরিত্যাক্ত আবাস কিন্তু পরিত্যাক্ত নয়। কখন যে রিদয়-তন্ত্রিতে ঝংকৃত সুরের মুর্ছনা স্তব্ধ হয়েছিল কেউ বুঝতেও পারিনি। তবে এটা বেশ বুঝতে পারছি- দুজনের-ই বুকের মাঝখান থেকে ভীষন ক্ষীন অনেকটা নৈশব্দের মত ডিপ ডিপ শব্দের ভ্রণ প্রকাশের চেষ্টা করছে। দুজনেই দাঁত-মুখ খিচিয়ে আছি যেন কার বিহবলতা প্রকাশ না পায়।

প্রাণপন চেষ্টা করছি- শব্দের ভ্রুণ যুগলকে শীতল করবার জন্য যাতে অনুনাদ সৃষ্টি না হয়। সকল যুক্তি-বিশ্বাসকে ভেংচি কেটে পথ স্পষ্ট করল যে আমরা পথভ্রস্ট। নাহ! আসলে পথ হারিয়েছি। কিন্তু হারানোর একি ছিরি। সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত,অপ্রত্যাশিত এক্তি ভুতুড়ে পথে এসে পরলাম।

সম্মুখে ধাবিত হওয়া ছাড়া কোন গতি নাই। পিছনের সকল রাস্তা অবরুদ্ধ। অবরুদ্ধ মানে অবশ্য প্রাচির বেষ্টিত ন্য। আমাদের বাহনের জন্য সম্পূর্ণ অনপযোগী। এও হতে পারে পশ্চাদপদ সম্পর্কিত সকল নথি মস্তিস্ক হারিয়ে ফেলেছে।

আশ্চার্যজনক হলেও সত্যি যে বাধাহীনভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আশ্চার্য হব নাই বা কেন!সদর রাস্তা বলে কন রাস্তা নাই, এজমালি রাস্তা বলে কোন কিছু নাই। যে পথ মাড়িয়ে চলেছি সবটাই কারো না কারো বহির্বাটি। তবে সবকিছুরই একটা সীমা থাকে। বাধাহীনও বাধাগ্রস্ত হয়।

এবং থিক তাই হল। কে বা কাহারা,কি রুপ বা বর্ণ কিছুই বলতে পারবনা। তবে শ্বাসরুদ্ধকর কোন কিছু একটা সম্মুখেই দাড়াল। আত্মারাম খাঁচার মধ্যে স্বস্তি পাচ্ছে না,ছতফট করছে যেন বের হয়ে মুক্ত হবে। অথবা হৃদযন্ত্রটা প্রচন্ড ঘূর্নির মধ্যে পড়ে অসংখ্যবার মোচড় খেয়ে ছিড়ে পড়তে পড়তে পড়লনা।

দোলকের মত ঢং ঢং করে দুলতে লাগল। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।