আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবচেয়ে বড় নাগরিক যন্ত্রণার নাম- ডাচ-বাংলা ব্যাংক!!!

কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়- প্রবাদটির বর্তমান নাগরিক জীবনের প্রেক্ষিতে মনে হয় পাল্টানোর সময় এসেছে। এখন এই প্রবাদটি এভাবে বলা যেতে পারে- যখনই টাকার দরকার হয়, ঠিক তখনই ডাচ-বাংলার বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। ঢাকা শহরে ডাচ-বাংলার হয়ত কয়েকশ বুথ আছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে আপনি টাকা তুলতে চাইলে শতকরা ১০ ভাগ বুথ চালু পাবেন কিনা সন্দেহ! আর এদের FAST TRACK নামের বুথগুলো তো শ্রেফ তামাশা! ১০-১২টি মেশিনের ১০টি থাকে নষ্ট! ১/২টি হয়ত অনেক কষ্টে চালু থাকে! গত প্রায় বছর খানেক ধরেই ডাচ-বাংলার এটিএম সেবার মান দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিকৃষ্ট পর্যায় চলে গেছে! এখন পকেটে শুধু ডাচ-বাংলার কার্ড রেখে ভরসা পাওয়া যায় না- সাথে অন্য ব্যাংকেরও কার্ড রাখা লাগে! আজ জরুরী কিছু কেনাকাটার জন্য নবাবপুরে গিয়েছিলাম। সাথে টাকা ছিল না- জানা ছিল, নবাবপুরে ডাচ-বাংলার শাখার সাথে একটা এটিএম বুথ আছে।

সেখান থেকে টাকা তুলতে পারলাম না। নেটওয়ার্ক নাই। আমার মত অসংখ্য লোক টাকা তুলতে এসে ফেরত চলে গেল। গেলাম সুন্দরবন মার্কেটের পশ্চিমের বুথে। সেখানেও নেটওয়ার্ক নেই।

প্রচন্ড গরমে 'ঘাম-গোসল' হয়ে শেষে গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম ওয়ারী। সেখানে এবি ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে আবার যানজট ঠেলে ঢুকলাম নবাবপুরে। ডাচ-বাংলার বেহাল এটিএম সার্ভিস নিয়ে অনেকদিন থেকেই অনেক অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু ডাচ-বাংলা কর্তৃপক্ষ সেটিকে আদৌ কর্ণপাত করে বলে মনে হয় না। টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক সংখ্যা বাড়াচ্ছে ঠিকই- কিন্তু সেবার মান তার চেয়ে দ্রুতগতিতে নিম্নমুখী হচ্ছে।

এখন সময় আসলে শক্ত প্রতিবাদের। আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হতে পারে এই ব্যাংকটির এটিএম কার্ড পরিত্যাগ করা। খুব দ্রুতই এই ব্যাংকের এটিএম কার্ড ফেরত দিব ভাবছি। আসুন সবাই মিলে ডাচ-বাংলার খামখেয়ালিপনার প্রতিবাদ করি।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.