চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের রাজরামপুর গ্রামের একজন ক্ষুদ্র ঘড়ির ব্যবসায়ি গোলাম মো. ফারুক। স্ত্রী এবং তিন মেয়ে সহ ৫ জনের সংসার। বাবার রেখে যাওয়া সামান্য জমি থেকে পাওয়া ফসল এবং সেই সাথে ঘড়ি মেরামত করে প্রতিদিনের অল্প আয়ে কোন মতে ৫ জনের সংসার চলে। কিন্তু মেয়েদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে সেই সামান্য জমিটুকুও বিক্রি করতে হয় ফারুককে। বড় মেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করে রাজধানীর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে দু’মাস আগে।

ইচ্ছে ছিল একটি চাকরি পেলে চাকরির পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা জন্য রাজধানীর কোন ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার। মেজ মেয়ে অষ্টম শ্রেণী এবং ছোটটি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। পড়ালেখার অদম্য ইচ্ছে তাদেরও। কিন্তু গত মার্চে ফারুক বুকে তীব্র ব্যথা হলে স্থানীয় হাসপাতালের যান । ডাক্তার সব কিছু দেখে ফারুককে দ্রুত ঢাকায় গিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।

ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেলের সহযোগি অধ্যাপক ডা. জাফর মোহাম্মদ মাসুদ তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ফুসফুসে ক্যান্সাসের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার করা বলেন। কেমোথেরাপি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য গ্রামে গিয়ে আত্মীয় স্বজনের দারস্থ হন ফারুক। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন সকালে মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। সাথে সাথে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকায় গিয়ে টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন। এবার ধরা পড়ে ব্রেইন টিউমার।

ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, মস্তিস্কে রেডিও থেরাপি দিতে হবে। তারপর ফুসফুসের চিকিৎসা। আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য সামান্য অর্থ সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা শুরুর চিন্তুা করতেই ব্রেইড টিউমারের মত আরেকটি মারাত্মক ব্যধিতে আক্রান্ত ফারুক। এসবের চিকিৎসা করে তিন মেয়ে এবং স্ত্রী সহ ৫ জনের সংসারের আবারও হাল ধরতে চান। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।

যা তার মতো ব্যক্তির পক্ষে অসম্ভব। তাই তার চিকিৎসার জন্য তিনি সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোঃ আব্দুল জব্বার, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- দি সিটি ব্যাংক, ২৮০১২২৮৯৩৯০০১। যোগাযোগ: ০১৭১৮৪৭৩৯২০। সংবাদ লিংক: Click This Link http://www.dailynayadiganta.com/details/46592 ।