আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন এই বৈষম্য?

এখনও নিজের সম্পর্কে লেখারমতো কিছুই অর্জন করতে পারিনি। চাকরির দুর্মূল্যের বাজারে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে প্রতিনিয়ত বৈষম্য দেখা যায়। প্রথম শ্রেণীর চাকরির বিজ্ঞাপনে যোগ্যতার ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর/ সম্মানসহ চার বছর মেয়াদি স্নাতক চাওয়া হয়। পাসকোর্সে অধ্যয়ন করে একজন শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজিসহ বিভাগ অনুযায়ী আরও তিনটি বিষয়ে পড়ে থাকেন। স্নাতক সম্মান কোর্সের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের প্রায় সিলেবাস স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়ে থাকেন।

আবার চতুর্থ বছরের সিলেবাস স্নাতকোত্তর প্রথম পর্বে অধ্যয়ন করে থাকেন। মাস্টার্স ফাইনাল পর্বে একই প্রশ্নে একই সময়ে অংশ নেন। তবে কেন এই বৈষম্য? পাসকোর্স পড়ে মাস্টার্স ফাইনালে প্রথম শ্রেণী পাওয়া শিক্ষার্থী হয়তো হাতেগোনা কয়েকজন হবে। সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু পায় না। আবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনেকে উত্তীর্ণ হয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিচ্ছে কিংবা নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণীর চাকরির জন্য মনোনীত হচ্ছেন।

আমার প্রশ্ন, বিসিএস পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হলে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেণীর চাকরির বেলায় কেন প্রথম শ্রেণীর স্নাতকোত্তর চাওয়া হয়? প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন সচিব, পিএসসি চেয়ারম্যানের কাছে পাসকোর্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার আবেদন, কলেজে অধ্যাপক বা স্কুলের শিক্ষকতায় অনার্সকে প্রাধান্য দিন, অন্য সব নিয়োগে প্রথম শ্রেণীর স্নাতকোত্তরের স্থলে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর এবং শিক্ষাজীবনে দুটি প্রথম শ্রেণী চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যোগ্যতা যাচাই করুন চাকরির পরীক্ষার মাধ্যমে। দূর করুন পাসকোর্স ও অনার্সের বৈষম্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।