আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত শিশুর মাংস থেকে ক্যাপসুল তৈরি করছে চীন

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম মৃত শিশুর দেহের মাংস থেকে শক্তিবর্ধক ক্যাপসুল তৈরি করছে চীনের একটি অপরাধী চক্র। সম্প্রতি চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চোরাই পথে আসা এমন ক্যাপসুলের কয়েকটি চালান আটক করেছে সেখানকার কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এসব ক্যাপসুলের ৯৯ দশমিক সাত শতাংশই পাউডার করা মানব শিশুর দেহ। দ্য সান সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর দেহকে পাউডারে রূপান্তরিত করে সেগুলো ক্যাপসুল হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। পরীক্ষায় এ তথ্য প্রমাণিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সান ফ্রান্সিসকো টাইমস।

দক্ষিণ কোরিয়ার কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ বারে ১৭ হাজারের বেশি ক্যাপসুল চোরাচালানের ঘটনা ঘটেছে। পাচারকারীরা লাগেজ কিংবা আন্তর্জাতিক ডাকে এ ধরনের ক্যাপসুল পাচার করে থাকে। একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত কোরিয়ান নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী এবং অন্য কোরীয়-চীনাদের মাঝে এসব ক্যাপসুল ব্যবহার করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অথচ এসব ক্যাপসুলে সুপার ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক পাচারকারিদের দাবি, ক্যাপসুলের উপাদান কিংবা এগুলোর উত্পাদন পদ্ধতি সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না।

সূত্র মতে, মূলত গর্ভপাতের ফলে পরিত্যক্ত শিশুরাই এ ধরনের অমানবিকতার শিকার। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার নিকটবর্তী জিলিন অঞ্চলকে এসব মানব শিশু প্রাপ্তির প্রধান উত্স হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেশ কয়েকটি চীনা সংবাদপত্র। গর্ভপাতের পর এসব মাংসপিণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার আগ পর্যন্ত বাসার ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবসায়ীরা এগুলো সংগ্রহ করে মেডিক্যাল ড্রাইং মাইক্রোওয়েভে শুকিয়ে ফেলে। পরে শুকনো মাংসকে পাউডারে রূপান্তরিত করে অন্যান্য ঔষধি উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ক্যাপসুল তৈরি করা হয়।

চীনা কর্তৃপক্ষ এসব ক্যাপসুলের চোরাচালান বন্ধের চেষ্টা করলেও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্য দিয়ে এসব ক্যাপসুলের হাজার হাজার প্যাকেট পাচার হয়ে যাচ্ছে। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।