আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেম্পোচলক বন্ধুর মুখে শোনা ‘লাশের হেটে চলা!’ সত্যি অবিশ্বাস্য!!

কাস ২ থেকে সিক্স পর্যন্ত ফারুকের সঙ্গে একত্রে পড়েছি। কাসে বয়সে ও গায় গতরে আমাদের সবার চেয়ে বড় ছিল ও। কাসে পড়া পারতে তাকে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়েনা। কাস ফাইভে ওঠার পর আমরা তাকে ভয় পাওয়া শুরু করেছি। কারণ সে নিয়মিতভাবেই ক্উাকে না কাউকে মারত।

সিক্সের ফাইনাল পরীক্ষার ছয় সাবজেক্টে ফেল করার পর তার দিনমজুর বাবা তার পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়। এর কিছুদিন পর থেকে সে টেম্পোর হেলপারি শুরু করেছে বলে আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, অবশ্য আমি কখনো দেখিনি। বছর তিনেক পর সে টেম্পোর ড্রাইভার হয়েছে বলে শুনেছি। যাহোক আমাদের এসএসসি পরীক্ষার পর সে কিভাবে যেন আমার নিকট বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে পড়ে। সে সূত্র ধরে কিছুদিনের মধ্যে আমারও সে খুব কাছের একজনে পরিণত হয়।

সপ্তাহের শনিবার সে গাড়ি চালানে না। তার ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে শনিবার আমরা সব বন্ধুরা একত্রে আড্ডা দিতাম। অবিশ্¦¦াস্য, অতিমানবীয়, অশরীরি, বৈচিত্র্যময় ও কল্পনাতীত বিভিন্ন্ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে প্রায়ই আমাদের আড্ডার মধ্যমনি হতো সে। কারণ ফারুক একাই এ আড্ডাকে জমিয়ে রাখত। তার সে সব অভিজ্ঞতা ছিল রোমহর্ষক ও অবিশ্বাস্য।

তার অবিশ্বাস্য প্রতিটি অভিজ্ঞতাই কোনো না কোনো ভাবে মোটর লাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফারুকের মুখ থেকে শোনা এমন একটি গল্প ব্লগার ও পড়িয়েদের জন্য এখানে তার জবানিতে তুলে ধরা হলো........সময়টা ২০০৩ সাালের মাঝামাঝি। ঘোর বর্ষাকাল। বারটি ছিল শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা। সাারাদিন টেম্পো চালিয়ে কান্ত আমি ও আমার হেলপার বাতেন গাড়ি জমা দেয়ার জন্য গ্যাারেজে এসেছি।

সাারাদিনভর ধুম বৃষ্টি ছিল। গাড়ির জমা টাাকা বুঝিয়ে দিয়ে আমরা যখন বেরুবো ঠিক তখন দ্ইুজন হিন্দু লোক এসে সকালে মারা যাওয়া এক হিন্দু মহিলার লাশ দাহ করার জন্য কালুরঘাাট থেকে ১৬ কিমি দূূরে বাশখাঁলি (চট্টগ্রাাম) নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া চাাইল। গ্যাারেজে আর কোনো ড্রাইভার উপস্থিত না থাাকায় ম্যানেজার ্আমাকে ট্রিপটি মারার জন্য অনুরোধ করলো। সারাদিনের কান্ত আমি সঙ্গে সঙ্গে পাারবনা বলে জাানিয়ে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ঐ দুই ব্যক্তি আমার পায়ে পড়ে বলল, দাদা ভোরে মারা বৃষ্টির কাারণে কোানো গাড়ি যেতে চায়নি।

তাই গাড়ি ভাড়া করতে পারিনি। তাই লাশ নিয়ে দাহ করতে পাারিনি। সন্ধ্যার দিকে দেখলাম লাশের চোখ পিপড়া খেয়ে ফেলেছে এবং সারা শরীল ও পেট ফুলে বিশাল আকার ধাারণ করেছে। বাাড়ির সবই খুব ভয় পাাচ্ছে। সকাল পর্যন্ত্ কোনোভাবেই লাশ রাখা যাবেনা, ্এরই মধ্যে পচন ধরেছে।

দয়া করে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশটি বহন করুন। এ কথা বলা তারা হ্উা ম্উা করে কান্না জুড়ে দিল। কিন্তু লাশ বহনের অতীত অভিজ্ঞতাার কথা চিন্তা করে আমি সিদ্ধান্তে অনড় রইলাম। কিন্তু লোক দুটি পা ছাড়ছেনা। এ অবস্থা চলল ঘন্টা খাানেক।

পরে গতি না দেখে ম্যানেজার স্¦াভাবিক ভাাড়ার চেয়ে চারগুন ভাড়া দাবি করলো তাদের কাাছে। তারা তাতে রাজি হওয়ায় ম্যানেজাার আমাকে অনুরোধ করে লাশটি নেয়ার ব্যবস্থা করল। যা হোক বাাতেনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে মূল রাস্তা থেকে সাড়ে তিন কিমি গ্রামের ভেতরে গিয়ে লাশটি তুললাম। লাশটি তোলারা সময় আমি ড্রাাইভিং সিট থেকে লক্ষ্য করলাম লাশটির সাইজ স্¦াভাবিক মানুষের চেয়ে আকারে অনেক বড়। টে¤েপার খালি জায়গায় আটছেনা।

স্বাভাবিকের চেয়ে দুই হাত বেশি লম্¦া হবে। যাা হোক রাত ১টার দিকে লাশ নিয়ে আমরা বাশখালির দিকে রওয়ানা হলাম। রাস্Íায় কোনো লোকজন বাা গাড়ির দেখা পেলাম না। গাড়িতে আমরা দুইজন ছাাড়াও লাশের তিন ্আতœীয় উঠেছে। তাারা টেম্পোর সিটেট বসা।

দেড় মাইল যাাওয়া পর্যন্ত তিনবার গাাড়ির স্টাার্ট বন্ধ হয়েছে। প্রতিবাারই সবাই মিলে ধাক্কা মেরে স্টার্ট দিয়েছে। সারা দিনের মতো তখনো তুমুল বৃষ্টি চলছে। এভাবে মূল রাস্তা পার হওয়া মনে হলো কোথাা থেকে তাজা ইলিশ মাছ খাব বলে একটি গায়েবিব আওয়াজ আসছে। পিছিয়ে তাকিয়ে দেখলাম লাশের আত্মীয়রা কাানে কাানে ফিসফাস করছে।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হলো, তারা কিছু না বলে গাাড়ি জোরে টাানতে বলল। এভাাবে আরো আধ ঘন্টা চলার পর হঠাৎ লুকিয়ে গ্লাসে পিছনে দস্তাদস্তি হচ্ছে দেখলাম। এবাার বিষয়টি বাতেনও লক্ষ্য করেছে। বতেন ফিসফিস করে আমার কানে কানে বলল, ওস্তাদ লাশ মাথা ্্উঠিয়ে বসছে। বোধ হয় ভয়ংকর কিছু একটা হচ্ছে।

পিছনে ফিরে দেখলাম ঘটনাা সত্যি। লাশ উঠে বসতে চাচ্ছে আর তিন আত্মীয় তাদের সর্বশক্তি দিয়ে মাথা চেপে ধরে শুইয়ে দিতে চেষ্টা করছে। আমি বিষয়টি লক্ষ্য করেছি বুঝার পর তারা আমাকে পেছনের দিকে আর না তাকানের নির্দেশ দেয়। ্্এতে বাতেন ও আমর গায়ে কাপুনি ধরে। এভাারে আরো কয়েক কিমি যাওয়ার পর একটি ব্রিজে উঠতে যাব এমন সময় দেখলাম লাশ টেম্পো থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

তিন ব্যক্তি তাাাদের সর্বশক্তি দিয়ে আবার শুইয়ে দিয়ে রশি দিয়ে সিটের সঙ্গে বাাঁধল। ঠিক এ সময় আকাশে বড় একটি বাজ পড়লো। ্এ অবস্থা দেখে ভয়ে আমদের প্রাাণ যায় যায় অবস্থা। র্এই মধ্যে বাাতেন অজ্ঞান হয়ে গেলো। আমি কোাানোভাাবে তার মাথা আমার কাধে রেখে নিজের জানা সবগুলো সুরা পড়তে পড়তে কিভবে যে গাড়ি চাালাচ্্িছ নিজেরও জানাা নেই।

বৃষ্টি চলছেই। ্আমি পাগলের মতোা াগাড়ি টাানছি আর মনে মনে রাস্তায় যে কোানো একটি গাড়ি বা মানুষের দেখা পাাওয়ার আশা করছি। কিন্তু না কাউকে পাচ্ছিনাা। পেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের নামিয়ে দিতাম। এভবে আরো যাাওয়াার পর বৃষ্টির মাত্রা আরো বাড়ল।

আকাশে পাল্øা দিয়ে বাড়ছে মেঘের গর্জন, বর্জ্রপাত ও বাজ ও বর্জ্ররে ঝিলিক। এরি মঝে আবার গগণ বিদাারী সেই মাছ খাবো শব্দ ও গাড়ির ভেতর দস্তাদস্তি শুরু। আত্মীয়দের সেই একই কথা পিছনে তাাকিওনা ও জেরো চালাও, রাত তিন এখন। আর দেড় ঘন্টাা চালালে শশ্মানে পৌছা যাবে নির্দেশ। আমি কাঁপছি আর চালাচ্ছি।

হঠ্যাৎ ্আকাশে এতোা বড় একটা বাজ পড়লো যে মনে হলো সারা পৃথিবী বুঝি ভেঙ্গে পড়লো। আমি জ্ঞান হাারাবো হারাবো অবস্থা। হঠাাৎ সামনে দেখি একটা অনেক ্্উচু ব্রিজ। আমি গিয়ারে আরো শক্তি নিয়ে উঠতে যাাবে তার মধ্যেই গাড়ি থামানোর নির্দেশ। আতংকে পেছনে ফিরে দেখি গাড়িতে লাশ নেই।

লাশ গাড়ি থেকে নেমে পেছনের দিকে হেটে চলছে। এ দৃশ্য দেখে হতবিহ্বল আমি গাড়ি থাামালাম তিন ব্যক্ত্ ি দৌড়ে গিয়ে লাশটিকে ধরে ্এনে গাড়িতে তুলল। আমার মনে হলো আমি মরে যাচ্্িছ । এর মধ্যে লাশকে ধরে ্্এনে গাড়ি শোয়নো হলো, তাদের কড়া নির্দেশে আমি গাড়ি এগিয়ে নিলাম। এভাবে আরো ২০ মিনিট চলার পর চিকন একটি রোডে ঢুকলাম।

চারদিকে কুচকুচে অন্ধকার । একটু পর দেখলাম উঠে বসতে চাওয়া লাশটির পায়ে ঐ তিন ব্যক্তি অনবরত লাঠি মারছে যাতে উঠতে না পাারে। বৃষ্টির মাত্রা আরো বাড়লো দস্তাদস্তি চলছে। দিশেহারা আমি গাড়ি টানছি। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম পেছনে লাশের সঙ্গে তিন ব্যক্তির তুমুল হাতাহাতি চলছে, রাস্তাার দুইপাশ কেন জানি পরিচিত মনে হচেছ।

ঘটনা আঁচ করার জন্য ডানে-বাামে তাকিয়ে দেখি গাড়ি সামনের দিকে নয় তুমুল বেগে পিছনের দিকে ছুটে চলছে। লাশ গাাড়ি থেকে আবাার নেমে হেটে চলে যাচ্ছে, তিন ব্যক্ত্ ি তাকে ধরতে লাফ দিয়ে নামছে। এ দৃশ্য দেখে আমি আর জ্ঞান ধরে রাখতে পারিনি। তিন দিন পরে জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি রাস্তার পাশের একটি মাজারের মেঝেতে শুয়ে আছি। খাদের এসে বললো মূল রাস্তা থেকে ১৪ ফুট নিচে ধান ক্ষেত থেকে তারা ্আমাকে উদ্ধাার করে এনে এখানে নিয়ে আসে।

মুখে পাানি দিয়ে উঠে দাড়াাই। ঘটনাস্থল হতে ৩০০ গজ দূরে ধান ক্ষেতে এখনো টেম্পোটি পড়ে আছে। খোাঁজ নিয়ে জেনেছি কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে গত এক সপ্তাহে কোনো মড়াা দাহ করা হয়নি। ঘটনার কেনো কূল কিনারা করতে না পেরে আমি গ্যারেজের ্উদ্দেশ্যে রওনাা হলাম। টেম্পো সেখান্ইে থাকলো।

গ্যাারেজে ্এসে শুনলাম বাতেনকে দুই দিন আগে ্উদ্ধাার করে হাসপাতাালে পাঠানো হলেও এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি। এ ঘটনার পর আর কোনোাদিন লাশ বহন করিনাা বলে ফারুক ঘটনার ্ইতি টানলেন। তাার বলাা শেষ হলেও আমাদের ভীত সন্ত্রস্ত্ভাব কিন্তু কাটটলোনা। ভয় পাওয়া আমি কিন্তু ঘটনা বিশ্¦াস করলাম না। আপনি কি বলেন? টেম্পোচলক বন্ধুর মুখে শোনা ‘লাশের হেটে চলা!’ সত্যি অবিশ্বাস্য!! কাস ২ থেকে সিক্স পর্যন্ত ফারুকের সঙ্গে একত্রে পড়েছি।

কাসে বয়সে ও গায় গতরে আমাদের সবার চেয়ে বড় ছিল ও। কাসে পড়া পারতে তাকে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়েনা। কাস ফাইভে ওঠার পর আমরা তাকে ভয় পাওয়া শুরু করেছি। কারণ সে নিয়মিতভাবেই ক্উাকে না কাউকে মারত। সিক্সের ফাইনাল পরীক্ষার ছয় সাবজেক্টে ফেল করার পর তার দিনমজুর বাবা তার পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়।

এর কিছুদিন পর থেকে সে টেম্পোর হেলপারি শুরু করেছে বলে আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, অবশ্য আমি কখনো দেখিনি। বছর তিনেক পর সে টেম্পোর ড্রাইভার হয়েছে বলে শুনেছি। যাহোক আমাদের এসএসসি পরীক্ষার পর সে কিভাবে যেন আমার নিকট বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে পড়ে। সে সূত্র ধরে কিছুদিনের মধ্যে আমারও সে খুব কাছের একজনে পরিণত হয়। সপ্তাহের শনিবার সে গাড়ি চালানে না।

তার ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে শনিবার আমরা সব বন্ধুরা একত্রে আড্ডা দিতাম। অবিশ্¦¦াস্য, অতিমানবীয়, অশরীরি, বৈচিত্র্যময় ও কল্পনাতীত বিভিন্ন্ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে প্রায়ই আমাদের আড্ডার মধ্যমনি হতো সে। কারণ ফারুক একাই এ আড্ডাকে জমিয়ে রাখত। তার সে সব অভিজ্ঞতা ছিল রোমহর্ষক ও অবিশ্বাস্য। তার অবিশ্বাস্য প্রতিটি অভিজ্ঞতাই কোনো না কোনো ভাবে মোটর লাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ফারুকের মুখ থেকে শোনা এমন একটি গল্প ব্লগার ও পড়িয়েদের জন্য এখানে তার জবানিতে তুলে ধরা হলো........সময়টা ২০০৩ সাালের মাঝামাঝি। ঘোর বর্ষাকাল। বারটি ছিল শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা। সাারাদিন টেম্পো চালিয়ে কান্ত আমি ও আমার হেলপার বাতেন গাড়ি জমা দেয়ার জন্য গ্যাারেজে এসেছি। সাারাদিনভর ধুম বৃষ্টি ছিল।

গাড়ির জমা টাাকা বুঝিয়ে দিয়ে আমরা যখন বেরুবো ঠিক তখন দ্ইুজন হিন্দু লোক এসে সকালে মারা যাওয়া এক হিন্দু মহিলার লাশ দাহ করার জন্য কালুরঘাাট থেকে ১৬ কিমি দূূরে বাশখাঁলি (চট্টগ্রাাম) নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া চাাইল। গ্যাারেজে আর কোনো ড্রাইভার উপস্থিত না থাাকায় ম্যানেজার ্আমাকে ট্রিপটি মারার জন্য অনুরোধ করলো। সারাদিনের কান্ত আমি সঙ্গে সঙ্গে পাারবনা বলে জাানিয়ে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ঐ দুই ব্যক্তি আমার পায়ে পড়ে বলল, দাদা ভোরে মারা বৃষ্টির কাারণে কোানো গাড়ি যেতে চায়নি। তাই গাড়ি ভাড়া করতে পারিনি।

তাই লাশ নিয়ে দাহ করতে পাারিনি। সন্ধ্যার দিকে দেখলাম লাশের চোখ পিপড়া খেয়ে ফেলেছে এবং সারা শরীল ও পেট ফুলে বিশাল আকার ধাারণ করেছে। বাাড়ির সবই খুব ভয় পাাচ্ছে। সকাল পর্যন্ত্ কোনোভাবেই লাশ রাখা যাবেনা, ্এরই মধ্যে পচন ধরেছে। দয়া করে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশটি বহন করুন।

এ কথা বলা তারা হ্উা ম্উা করে কান্না জুড়ে দিল। কিন্তু লাশ বহনের অতীত অভিজ্ঞতাার কথা চিন্তা করে আমি সিদ্ধান্তে অনড় রইলাম। কিন্তু লোক দুটি পা ছাড়ছেনা। এ অবস্থা চলল ঘন্টা খাানেক। পরে গতি না দেখে ম্যানেজার স্¦াভাবিক ভাাড়ার চেয়ে চারগুন ভাড়া দাবি করলো তাদের কাাছে।

তারা তাতে রাজি হওয়ায় ম্যানেজাার আমাকে অনুরোধ করে লাশটি নেয়ার ব্যবস্থা করল। যা হোক বাাতেনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে মূল রাস্তা থেকে সাড়ে তিন কিমি গ্রামের ভেতরে গিয়ে লাশটি তুললাম। লাশটি তোলারা সময় আমি ড্রাাইভিং সিট থেকে লক্ষ্য করলাম লাশটির সাইজ স্¦াভাবিক মানুষের চেয়ে আকারে অনেক বড়। টে¤েপার খালি জায়গায় আটছেনা। স্বাভাবিকের চেয়ে দুই হাত বেশি লম্¦া হবে।

যাা হোক রাত ১টার দিকে লাশ নিয়ে আমরা বাশখালির দিকে রওয়ানা হলাম। রাস্Íায় কোনো লোকজন বাা গাড়ির দেখা পেলাম না। গাড়িতে আমরা দুইজন ছাাড়াও লাশের তিন ্আতœীয় উঠেছে। তাারা টেম্পোর সিটেট বসা। দেড় মাইল যাাওয়া পর্যন্ত তিনবার গাাড়ির স্টাার্ট বন্ধ হয়েছে।

প্রতিবাারই সবাই মিলে ধাক্কা মেরে স্টার্ট দিয়েছে। সারা দিনের মতো তখনো তুমুল বৃষ্টি চলছে। এভাবে মূল রাস্তা পার হওয়া মনে হলো কোথাা থেকে তাজা ইলিশ মাছ খাব বলে একটি গায়েবিব আওয়াজ আসছে। পিছিয়ে তাকিয়ে দেখলাম লাশের আত্মীয়রা কাানে কাানে ফিসফাস করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হলো, তারা কিছু না বলে গাাড়ি জোরে টাানতে বলল।

এভাাবে আরো আধ ঘন্টা চলার পর হঠাৎ লুকিয়ে গ্লাসে পিছনে দস্তাদস্তি হচ্ছে দেখলাম। এবাার বিষয়টি বাতেনও লক্ষ্য করেছে। বতেন ফিসফিস করে আমার কানে কানে বলল, ওস্তাদ লাশ মাথা ্্উঠিয়ে বসছে। বোধ হয় ভয়ংকর কিছু একটা হচ্ছে। পিছনে ফিরে দেখলাম ঘটনাা সত্যি।

লাশ উঠে বসতে চাচ্ছে আর তিন আত্মীয় তাদের সর্বশক্তি দিয়ে মাথা চেপে ধরে শুইয়ে দিতে চেষ্টা করছে। আমি বিষয়টি লক্ষ্য করেছি বুঝার পর তারা আমাকে পেছনের দিকে আর না তাকানের নির্দেশ দেয়। ্্এতে বাতেন ও আমর গায়ে কাপুনি ধরে। এভাারে আরো কয়েক কিমি যাওয়ার পর একটি ব্রিজে উঠতে যাব এমন সময় দেখলাম লাশ টেম্পো থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিন ব্যক্তি তাাাদের সর্বশক্তি দিয়ে আবার শুইয়ে দিয়ে রশি দিয়ে সিটের সঙ্গে বাাঁধল।

ঠিক এ সময় আকাশে বড় একটি বাজ পড়লো। ্এ অবস্থা দেখে ভয়ে আমদের প্রাাণ যায় যায় অবস্থা। র্এই মধ্যে বাাতেন অজ্ঞান হয়ে গেলো। আমি কোাানোভাাবে তার মাথা আমার কাধে রেখে নিজের জানা সবগুলো সুরা পড়তে পড়তে কিভবে যে গাড়ি চাালাচ্্িছ নিজেরও জানাা নেই। বৃষ্টি চলছেই।

্আমি পাগলের মতোা াগাড়ি টাানছি আর মনে মনে রাস্তায় যে কোানো একটি গাড়ি বা মানুষের দেখা পাাওয়ার আশা করছি। কিন্তু না কাউকে পাচ্ছিনাা। পেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের নামিয়ে দিতাম। এভবে আরো যাাওয়াার পর বৃষ্টির মাত্রা আরো বাড়ল। আকাশে পাল্øা দিয়ে বাড়ছে মেঘের গর্জন, বর্জ্রপাত ও বাজ ও বর্জ্ররে ঝিলিক।

এরি মঝে আবার গগণ বিদাারী সেই মাছ খাবো শব্দ ও গাড়ির ভেতর দস্তাদস্তি শুরু। আত্মীয়দের সেই একই কথা পিছনে তাাকিওনা ও জেরো চালাও, রাত তিন এখন। আর দেড় ঘন্টাা চালালে শশ্মানে পৌছা যাবে নির্দেশ। আমি কাঁপছি আর চালাচ্ছি। হঠ্যাৎ ্আকাশে এতোা বড় একটা বাজ পড়লো যে মনে হলো সারা পৃথিবী বুঝি ভেঙ্গে পড়লো।

আমি জ্ঞান হাারাবো হারাবো অবস্থা। হঠাাৎ সামনে দেখি একটা অনেক ্্উচু ব্রিজ। আমি গিয়ারে আরো শক্তি নিয়ে উঠতে যাাবে তার মধ্যেই গাড়ি থামানোর নির্দেশ। আতংকে পেছনে ফিরে দেখি গাড়িতে লাশ নেই। লাশ গাড়ি থেকে নেমে পেছনের দিকে হেটে চলছে।

এ দৃশ্য দেখে হতবিহ্বল আমি গাড়ি থাামালাম তিন ব্যক্ত্ ি দৌড়ে গিয়ে লাশটিকে ধরে ্এনে গাড়িতে তুলল। আমার মনে হলো আমি মরে যাচ্্িছ । এর মধ্যে লাশকে ধরে ্্এনে গাড়ি শোয়নো হলো, তাদের কড়া নির্দেশে আমি গাড়ি এগিয়ে নিলাম। এভাবে আরো ২০ মিনিট চলার পর চিকন একটি রোডে ঢুকলাম। চারদিকে কুচকুচে অন্ধকার ।

একটু পর দেখলাম উঠে বসতে চাওয়া লাশটির পায়ে ঐ তিন ব্যক্তি অনবরত লাঠি মারছে যাতে উঠতে না পাারে। বৃষ্টির মাত্রা আরো বাড়লো দস্তাদস্তি চলছে। দিশেহারা আমি গাড়ি টানছি। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম পেছনে লাশের সঙ্গে তিন ব্যক্তির তুমুল হাতাহাতি চলছে, রাস্তাার দুইপাশ কেন জানি পরিচিত মনে হচেছ। ঘটনা আঁচ করার জন্য ডানে-বাামে তাকিয়ে দেখি গাড়ি সামনের দিকে নয় তুমুল বেগে পিছনের দিকে ছুটে চলছে।

লাশ গাাড়ি থেকে আবাার নেমে হেটে চলে যাচ্ছে, তিন ব্যক্ত্ ি তাকে ধরতে লাফ দিয়ে নামছে। এ দৃশ্য দেখে আমি আর জ্ঞান ধরে রাখতে পারিনি। তিন দিন পরে জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি রাস্তার পাশের একটি মাজারের মেঝেতে শুয়ে আছি। খাদের এসে বললো মূল রাস্তা থেকে ১৪ ফুট নিচে ধান ক্ষেত থেকে তারা ্আমাকে উদ্ধাার করে এনে এখানে নিয়ে আসে। মুখে পাানি দিয়ে উঠে দাড়াাই।

ঘটনাস্থল হতে ৩০০ গজ দূরে ধান ক্ষেতে এখনো টেম্পোটি পড়ে আছে। খোাঁজ নিয়ে জেনেছি কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে গত এক সপ্তাহে কোনো মড়াা দাহ করা হয়নি। ঘটনার কেনো কূল কিনারা করতে না পেরে আমি গ্যারেজের ্উদ্দেশ্যে রওনাা হলাম। টেম্পো সেখান্ইে থাকলো। গ্যাারেজে ্এসে শুনলাম বাতেনকে দুই দিন আগে ্উদ্ধাার করে হাসপাতাালে পাঠানো হলেও এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি।

এ ঘটনার পর আর কোনোাদিন লাশ বহন করিনাা বলে ফারুক ঘটনার ্ইতি টানলেন। তাার বলাা শেষ হলেও আমাদের ভীত সন্ত্রস্ত্ভাব কিন্তু কাটটলোনা। ভয় পাওয়া আমি কিন্তু ঘটনা বিশ্¦াস করলাম না। আপনি কি বলেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।