আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাই ভাইকে মারছে, এ আর এমন কি!! অন্তত কাফেরদের হাতে তো আর মরে নাই!!!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ব্লগিং হজমের জন্য ক্ষতিকর। সৌদিতে আবারো কতল হল দুই বাংলাদেশি। দণ্ডিতদের নাম আমিন আব্দুল শরিফ ও আব্দুল মজিদ আবু বকর। জাজান শহরে মঙ্গলবার ওই দুজনের শিরোচ্ছেদ হয়। কট্টর ইসলামী দেশ সৌদি আরবে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সাধারণত প্রকাশ্যেই কার্যকর হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ - বাংলাদেশি শাহীন মোহাম্মদ কবীরকে হত্যার দায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়। অর্থ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার উদ্দেশ্যে কবীরকে হত্যা করা হয়েছিল। এর আগে গত অক্টোবরে এক মিসরীয়কে হত্যার দায়ে আট বাংলাদেশির শিরোচ্ছেদ হয়েছিল রিয়াদে। তা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বেগও জানিয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না তাদের।

বর্তমানে যেখানে পুরো বিশ্ব মধ্যযুগীয় বর্বরতার খবর পড়ে ইতিহাস ঘেঁটে, সেইখানে সৌদিআরব এখনো গৌরবের সাথেই বজায় রাখছে তাদের মনুষ্য গর্দান নেওয়া, পাথর ছুড়ে হত্যা, দোররা মারা সহ নানা মধ্যযুগীয় শাস্তিপ্রথা, তাও আবার এইসব শাস্তি প্রকাশ্য দিবালোকে কার্যকর করা হয় সাধারণ মানুষের সম্মুখে। সত্যিই প্রশংসনীয়! যেখানে আধুনিক বিশ্ব অপরাধীদের পুনর্বাসনের প্রতি অধিক আগ্রহী এবং বাধ্যতামূলক মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যাপক গোপনীয়তা অবলম্বন করে। যাতে ঐ মৃত্যুদণ্ড সাধারণের মনে বিরুপ প্রভাব ফেলতে না পারে। সেইখানে সৌদিআরবের এহেন শাস্তি ব্যবস্থা সত্যিই মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলে, এরা কি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ নাকি অন্যকিছু?? অপরাধীর শাস্তি আমরাও দাবি করি। সব অপরাধী তাদের কৃতকর্মের জন্য উপযুক্ত শাস্তি পাক তা আমরাও চায়।

তবে কিনা একটা পঙক্তি পড়েছিলাম, "দণ্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যখন, শ্রেষ্ট বিচার সম্ভব হয় তখন। " তাই অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের পূর্বে সবসময়ই অপরাধীকে সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া হয় যাতে সে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে পারে। সেই দৃষ্টিতে সৌদি আরবের পঠভুমি এরুপ - "মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বেশিরভাগ বিদেশিই সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের বেশির ভাগের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। তারা আরবিতে আদালতের কার্যক্রমও বুঝতে পারে না।

তাদের বিরুদ্ধে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও তাদের জানানো হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। খুব কম সময়ই তারা আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পান। " বড়ই বিচিত্র সে দেশ। এমন যদি হত যে প্রকাশ্য গর্দান কতল করার পর থেকে সেখানের অধিবাসীরা ভয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আর কোন অপরাধমূলক কাজে নিজেকে জড়িত করছে না, তবে আমি বিনাদ্বিধায় প্রকাশ্য শিরঃচ্ছেদের পক্ষে কথা বলতাম। কিন্তু কই?? সৌদিআরবে তো এখনো টেররিস্টরা ঘুরে বেড়ায়!! তবে আমাদের দেশীয়রা শান্তি পেতে পারেন এই ভেবে - ভাই ভাইকে মারছে, এ আর এমন কি!! অন্তত কাফেরদের হাতে তো আর মরে নাই!!! বাংলু (বাঙালি) মরল, তাতে কি? শরীয়া তো রক্ষে পেল! পাপী তো উচিত শিক্ষে পেল!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।