আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি যে টুথব্রাশ টি ব্যবহার করছেন, আপনি কি জানেন এর মজার ইতিহাস??

মন্দটাই মনে রাখে মানুষ। ভালোটা হাড়গোড়ের সঙ্গে মাটিতে মিশে যায় ২০০৩ সালে আমেরিকানরা তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন টুথব্রাশকেই তাহলে বু্ঝেন টুথব্রাশ কোন সহজ আবিষ্কার ছিলনা এই মানব সভ্যতার জন্য এখন যদি আমি আপনাকে বলতে বলি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো টুথব্রাশ কোনটা ছিল বলুন তো??যদি আপনার না মনে থাকে তাহলে উত্তরটা আমি বলব লেখার একদম শেষে। টুথব্রাশ প্রথম আবিষ্কার হয় চীনে। ১২ শতকের দিকে চিনে এক ধরনের টুথব্রাশ ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ব্রাশগুলো আবার খুবই মজার।

ঘোড়ার লেজের পশম হাড়ের সঙ্গে গেঁথে এই ব্রাশগুলো বানানো হতো! এগুলোকে বলে ব্রিসল টুথব্রাশ। আসলে, টুথব্রাশের সামনের দিকে যে পশমের মতো জিনিসগুলি লাগানো থাকে, সেগুলোকে বলে ব্রিসল। আর এই ব্রাশেই প্রথম ব্রিসল ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই এই টুথব্রাশের নাম ব্রিসল টুথব্রাশ। এই ব্রিসল টুথব্রাশই কিন্তু আজকের টুথব্রাশের জনক। এই টুথব্রাশগুলো চিন থেকে কোনো একভাবে ইউরোপে যায়, আর সেখানে গিয়েই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কিন্তু টুথব্রাশগুলো আজকের মতো কিভাবে হলো জানেন? সে এক মজার গল্প। ইংল্যান্ডে উইলিয়াম এডিস নামে এক লোক থাকতো। ১৭৭০ সালের দিকে রায়ট করার অপরাধে তাকে জেলে পাঠানো হলো। ওখানে তো তার কোনো কাজই নেই। বসে থাকতে থাকতে তার মাথায় ব্রিসল টুথব্রাশকে আরো উন্নত করার বুদ্ধি আসলো।

সে একটা হাড় জোগাড় করে তাতে অনেকগুলো ফুঁটো করলো। এবার জেলখানার প্রহরীদের কাছ থেকে কয়েকটা ব্রিসল টুথব্রাশ জোগাড় করলো। তারপর সেই ফুঁটোগুলো দিয়ে ব্রিসলগুলো ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে আঠা দিয়ে আটকে দিলো। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো একটা সুন্দর টুথব্রাশ। আর জেল থেকে বের হওয়ার পর, ১৭৮০ সালে সে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে এই টুথব্রাশগুলো বাজারে ছাড়লো।

আর মানুষও সেটা এতোই পছন্দ করলো, টুথব্রাশ বিক্রি করেই সে বড়লোক হয়ে গেলো! তার সেই টুথব্রাশ কোম্পানিটা এখনো আছে, নাম- উইজডম টুথব্রাশেস। তবে কোনোকিছু আবিষ্কার করে বসে থাকলে কিন্তু সেটা নিজের আবিষ্কার বলে পরে কেউ স্বীকারই করবে না। তা্ই আবিষ্কার করে পেটেন্ট করিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বড়ো কথা, নিজরে নামে পেটেন্ট করিয়ে নিলে দুষ্টুলোক আর আপনার আবিষ্কার নিয়ে দুই নম্বরী ব্যবসা করতে পারবে না। তো, টুথব্রাশের প্রথম পেটেন্ট কে করান, জানেন? আমেরিকার এইচ এন ওয়াডসওয়ার্থ, ১৮৫৭ সালে।

তিনি অবশ্য টুথব্রাশে ব্রিসল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বরাহের পশম। তবে আমেরিকাতে বাণিজ্যিকভাবে টুথব্রাশ বিক্রি করা শুরু হয় আরো অনেক পরে, ১৮৮৫ সালে। তবে আমরা যে টুথব্রাশগুলো ব্যবহার করি, তাতে কিন্তু কোন পশুর পশমই ব্যবহার করা হয় না। তার বদলে ব্যবহার করা হয় সিনথেটিক ব্রিসল, যেমন ধরো নাইলনের ব্রিসল। এই সিনথেটিক ব্রিসলের টুথব্রাশ কে আবিষ্কার করেন জানো? দ্যুপন্ট দ্য নেমোয়াঁ, ১৯৩৮ সালে।

প্রথমে আপনাদের কে একটা প্রশ্ন কারা হয়েছিল সেইটার উত্তর হল: হ্যাঁ, দাঁতন। নিম গাছের ডাল বা এইরকম অন্য কোন গাছের ডাল ভেঙ্গে আগাটা কামড়িয়ে বা চেছে টুথব্রাশ হিসেবে ব্যবহার করলে সেটাকে বলে দাঁতন। পৃথিবীতে এই দাঁতন ব্যবহারের প্রচলন কবে শুরু হয়েছিল বললে বিশ্বাস করবে না, খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে, মানে যিশুখিষ্টের জন্মেরও প্রায় ৩০০০ বছর আগে! তথ্য : কিডজ, গুগুল।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।