আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশেষ বিবাহ আইনঃ সন্তানের কোন ধর্ম পরিচয় থাকব না; বিয়ে-শাদী থেকে ধর্ম বাদ

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি নিজ ধর্ম বিশ্বাস বাদ দিয়ে যে সকল নারী-পুরুষ বিবাহ করতে আগ্রহী তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে গত ১৮ এপ্রিল আইনমন্ত্রীর এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) আকছির এম চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতদিন এই বিবাহ পড়ানোর একমাত্র স্থান হিসেবে নির্ধারিত ছিল পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলী শরৎচন্দ্র ব্রাক্ষম প্রচারক নিবাস। এখানের প্রাণেশ সমাদ্দার ছিলেন সরকার নিযুক্ত একমাত্র রেজিস্ট্রার। এখন উভয়ে এই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারবেন। এখানে সবাই স্বাধীন ভাবে যে কোন ধর্মের (হিন্দু-বৌ্দ্ধ, খ্রিষ্ট্রান-মুসলমান) নারী-পুরুষ যে কোন ধর্মের (হিন্দু-বৌ্দ্ধ, খ্রিষ্ট্রান-মুসলমান) নারী-পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।

এই আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদী কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিবাহ করতে পারবে। এজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মন্তরিত হতে হবে না। ধর্ম পরিবর্তন ছাড়াই তারা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করতে পারবে। ইচ্ছে করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অথবা যে কোন একজন নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিতে পারে। এ ধরেণের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তানদের কোন ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না।

বড় হয়ে (১৮ বছর) তারা যেকোন ধর্ম বেছে নিতে পপরবে অথবা ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারবে। তবে এ ব্যাপারে দেশের একজন প্রবীণ আলেম কাজী মওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ম বিশ্বাস বাদ দিয়ে বিবাহ ইসলাম ধর্মে বৈধ নয়। দুই ধর্মের মানুষের মধ্যেও পরস্পর বিয়ে জায়েজ নেই। ধর্মীয় নিয়মে বিবাহ না হলে সেই বিবাহ বৈধ হয় না। এ ক্ষেত্রে সন্তানের জন্মও বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।

এ ধরনের বিয়ে আইনের ক্ষেত্রে বৈধ হলেও শরীয়তে বৈধ নয়। " হিন্দু ধর্ম মতেও এ ভাবে বিয়ে বৈধ নয়। পত্রিকার পাতায় এ ধরণের সংবাদ পড়ে মানুষ বিস্মিত! তাদের মতে এই আইন ধর্ম পরিচয়হীন একটি উচ্ছৃঙ্খল ও অসামাজিক প্রজন্ম গড়ে উঠবে যা আমাদের শান্তিময় দেশটিতে পাশ্চাত্যের মত অসুন্দর ও অসুখী অবস্থার জন্ম দিবে। মুসলমানেরা তাদের জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, উত্তারাধিকার ইত্যাদি ধর্মীয় আইনের পবিবর্তন মেন নিতে পারেনা। বাংলাদেশ কখনো ধর্মহীন প্রজন্মের জন্য নয়।

এখানে কুমারী মাতা, জারজ সন্তান বা পরিত্যাক্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার কালচার অচল। সুতরাং এই ধরণের আইন সংশোধনের দাবী বিজ্ঞ জনের।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.