আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেয়ামত-পূর্ববর্তী পৃথিবী ও ইলুমিনাতি (ILLUMINATI) এজেন্ডা ৬

মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে। মানুষের জাগতিক/পার্থিব উচ্চাকাঙ্খা বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চোখ ধাঁধানো নানান আবিষ্কার তথা বস্তুগত উন্নতি ইত্যাদি সাধারণভাবে মানুষকে বৈষয়িক করে তুলবে ও পৃথিবীর প্রতি এক ধরণের মায়া ও আকর্ষণ তাদের গ্রাস করবে। ফলতঃ মানুষ পরকাল ভুলে যাবে। পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ীত্বের কথা ভুলে যাবে।

মানুষ পরোপকার করা ভুলে যাবে। বা অনিচ্ছুক হবে। সাধারণভাবে মানুষ অত্যধিক কৃপণ হয়ে পড়বে। (Sahih Bukhari , Sahih Muslim and Abu Dawud) ক্ষুধা ও দারিদ্র্য হাদীছে রয়েছে - দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিপুল পার্থিব সম্পদ ও ধনরাশি ধনীদের মধ্যে আবর্তিত হবে।

ঐ বিপুল সম্পদ গরীব মানুষের কোন উপকারে আসবে না। কাজে আসবে না। অর্থাৎ গরীব আরো গরীব হবে। ধনী আরো ধনী হবে। (Tirmidhi). (Amal al-Din al-Qazwini, Mufid al-`Uulum wa Mubid al-Humum) ইমাম মাহাদী আঃ আগমনের পূর্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বৃদ্ধিজনিত কারণে মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট বৃদ্ধি সংক্রান্ত অনেক হাদীছ রয়েছে।

আমরা জানি - ক্ষুধা ও দারিদ্র্য ব্যাপারটি ইতিহাসের আগাগোড়াই ছিল। তবে ইমাম মাহাদী আঃ আগমনকালীন পৃথিবীজুড়ে সংখ্যায়, মাত্রায় ও বিস্তারে অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই অবস্থা হযরত ঈসা আঃ আগমনের ইঙ্গিতবহ। আজকাল পৃথিবীতে অনেক মানুষ পর্যাপ্ত খাবার ও পানির অভাবে ভুগছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছ।

বেশীর ভাগ দরিদ্র মানুষ এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাস করলেও ইউরোপ ও আমেরিকার মতো ধনী দেশগুলোতেও প্রচুর দরিদ্র মানুষ বাস করে। অতি অল্প সংখ্যক মানুষ যেখানে পৃথিবীর বিপুল সম্পদের ছায়ায় অত্যধিকবিলাসিতায়, আরাম আয়েশ উপভোগ করছে সেখানে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থান করছে। এখানকার এ হিসেব ২০০০ সালের। বর্তমান অবস্থা আরো খারাপ। উল্লেখ্য, নতুন মিলেনিয়ামে প্রবেশ করা কালীন দারিদ্র্যজনিত কারণে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০০ শিশু মারা যাচ্ছে।

অর্থাৎ প্রতি ২.৫ সেকেন্ডে একটি শিশু দারিদ্র্যজনিত কারণে মারা যাচ্ছে। আমরা এখন (২০০০ সাল) এমন একটি পৃথিবীর মুখোমুখি যখন প্রতি বছর দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐ সংখ্যা চীনের জনসংখ্যার চাইতে বেশী। ইউরোপীয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট সংখ্যার ৪ গুণ। মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ কেয়ামত আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত দু’টি বৃহৎ ইসলামিক দল পরষ্পর যুদ্ধে না লিপ্ত হবে।

(Sahih Muslim), (Mukhtasar Tazkirah al-Qurtubi, p. 454, no. 831) যে সমস্ত মুসলিম দলাদলিতে লিপ্ত থাকবে, বিভক্ত থাকবে - তারা দাজ্জালের শিকার থেকে বাঁচতে পারবে না। (Al-Hakim, Mustadrak, vol. 4, pp. 529-30) ঐ হাদীছগুলোয় গত ১৪০০ হিজরি সালের শুরুতে ঘটে যাওয়া ইরাক-ইরান যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় - যে যুদ্ধে প্রচুর জানমাল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে ইরাক কুয়েত আক্রমন করে। পরিণতিতে উভয় পক্ষের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়। বড়বড় অভাবনীয় সব ঘটনা ঘটবে।

হাদীছে রয়েছে - ইমাম মাহাদী আঃ আগমনকালীন বড়বড় এবং চমক সৃষ্টিকারী সব ঘটনা ঘটবে। (Imam Rabbani, Letters of Rabbani, vol. 2, p. 258) (Ibn Hajar Haythami, Al-Qawl al-Mukhtasar fi `Alamat al-Mahdi al-Muntazar, p. 27) ব্যাপক ভূমিকম্প, সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশা এবং বড়বড় ঘটনা যখন ঘটবে, তখন কেয়ামত ততটুকু দূরত্বে যতটুকু তোমার হাত থেকে মাথা পর্যন্ত। (Sunan Abu Dawud) আমরা জানি - হযরত মোহাম্মদ সাঃ-এর জন্মকালীন মূহুর্ত্বে খুবই বড়বড় কিছু ঘটনা ঘটে। যেমনঃ নতুন একটি নক্ষত্রের জন্মলাভ, ১৪ টি মিনারের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত পারস্য সম্রাটের বিশাল ইমারত ধসে পড়া, ১০০০ বছর ধরে প্রজ্জ্বলিত পারস্যের (ইরানের) অগ্নি উপাসক মাজুসিদের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ড নিভে যাওয়া, সেমাভি উপত্যকা (Semavi Valley) বন্যা প্লাবিত হওয়া এবং সেব লেক (Save Lake) শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ঠিক একইভাবে ইমাম মাহাদী আঃ এর আগমনকালীন পৃথিবীজুড়ে খুবই বড়বড় ঘটনা ঘটার কথা হাদীছে রয়েছে।

গত শতাব্দীতে সে রকম বেশ কিছু বড়বড় ঘটনার কথা নিচে দেয়া গেল। হাদীছ অনুসারে এসব বড়বড় ঘটনাসমূহ ইমাম মাহাদী আঃ এর শীঘ্র আগমনের ইঙ্গিতবহ। শিল্পীর তুলিতে বাংলাদেশের '৯১-এর মানববিধ্বংসী বন্যা। হাদীছে রয়েছে - এ সময় পৃথিবীজুড়ে সামাজিক নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ব্যাপক হবে। মানুষ হামলার শিকার হবে।

বয়োজৈষ্ঠ্যরা কনিষ্ঠ্যদের কোন স্নেহ মমতা দেখাবে না। কনিষ্ঠ্যরাও বয়োজৈষ্ঠ্যদের সম্মান সমীহ করবে না। নবী রাসুলের আগমন তো আর হবে না। তাই আল্লাহ তায়ালা মুজাদ্দিদ বা সংষ্কারক সৃষ্টি করবেন। যুগের প্রয়োজনে তাই-ই হবে।

তারা ঈমান, বিশ্বাস আকীদাগত ভ্রান্তি - এসব নিয়ে সংষ্কার করে যাবেন। খন্ডখন্ডভাবে, পৃথিবীজুড়ে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। (Al-Muttaqi al-Hindi, Al-Burhan fi `Alamat al-Mahdi Akhir az-Zaman, p. 12) রসুল সাঃ বলেছেন - এ সময় মারামারি হানাহানি ব্যাপক হবে। যুদ্ধ বিগ্রহ সন্ত্রাস ইত্যাদি ব্যাপক হারে দেখা দেবে। এক পর্যায়ে মনে হবে ঐ বুঝি শেষ হলো, কিন্তু না, ঐটি-ই শেষ নয়! অন্যদিক থেকে আরেকটি অশান্তি দেখা দেবে।

এবং ওগুলো ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বংশে জন্ম নেয়া ইমাম মাহাদী আঃ আত্মপ্রকাশ করবে। (Fera Idu Fevaidi'l Fiqr Fi'l Imam al-Mahdi al-Muntadhar, p. 147) ওপরের হাদীছে যেমনটা রয়েছে - নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। যুদ্ধ, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, মারামারি হানাহানি ইত্যাদিতে কোন কোন দেশ হয় সম্পূর্ণভাবে নতুবা আংশিকভাবে বিপর্যস্ত হবে। ইদানীং নতুন একটি শব্দ গুচ্ছ চালু হয়েছে। তা’ হচ্ছে - ব্যর্থ রাষ্ট্র বা Failed State।

হাদীছের বক্তব্যের সাথে অনেকটা মিলে। আর সাধারণভাবে মানুষ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণে দেশান্তরি হবে। মারামারি হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে নিহত হবে। যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে উদ্বাস্তু হবে - যা’ এখন এখন হরহামেশাই দৃষ্টিগোচর হয়। ইরাক ও দামাসকাস (সিরিয়া) এর উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ হবে।

রসুল সাঃ বলেছেন - এমন ঘটতে পারে যে ইরাক ও সিরিয়ার জনসাধারণ তাদের খাদ্যদ্রব্য টাকাপয়সা লেনদেন ও বিনিময়ে অসুবিধের সম্মুখীন হবে। সাহাবীরা রাঃ জিজ্ঞেস করলেন - “কারা এটি করবে?”। জবাবে তিনি সাঃ বললেন ‘অনাররবা’ অর্থাৎ আরবের বাইরের লোকেরাই তাদের বাধা দেবে। অন্য হাদীছে এসেছে - এ কাজে বাধা দেবে ‘রোমানরা’ অর্থাৎ ইউরোপীয়রা। (Sahih Muslim) আবু হোরাইরা রাঃ বর্ণিত - রসুল সাঃ বলেছেন - এমন এক সময় আসবে যখন ইরাককে (ইরাকবাসীকে) খাদ্যদ্রব্য (কাফজি) এবং টাকাপয়সা (দিরহাম) কোন কিছুই দেয়া হবে না।

সিরিয়ার প্রতিও অনুরূপ আচরণ করা হবে। তোমরা ইসলামের একেবারে শুরুর-দিকের অবস্থায় ফিরে যাবে। অর্থাৎ দূর্বল ও নিঃস্ব হবে। (Sahih Muslim, Sunan Abu Dawud) আমরা এখন জানি ইরাকরে উপর ঐরূপ অবরোধ ইতোপূর্বেই আরোপিত হয়েছে। প্রায় এক দশক ইরাক ইউরোপ-আমেরিকার বানিজ্য অবরোধ সহ্য করেছে।

সিরিয়ার প্রতিও ঐরূপ করা হয়েছে। (২০১২) সিরিয়া ও মিশরের শাসন কর্তাকে হত্যা করা হব। ইমাম মাহাদী আঃ আগমনের পূর্বে সিরিয়া ও মিশরবাসীরা তাদের শাসন কর্তাকে হত্যা করবে। ((Ibn Hajar al-Haythami, Al-Qawl al-Mukhtasar fi `Alamat al-Mahdi al-Muntazar, p. 49) আমরা জানি - ১৯৮১ সালে মিশরে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সা’দাত-কে (১৯৭০-৮১) হত্যা করা হয়। অন্যদিকে যে সমস্ত মিশরিয় নেতা নিহত হন তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বুট্রোস ঘালি (Boutros Ghali) (১৯১০) ও মাহমুদ নুকরাশি পাশা (Mahmoud Nukrashy Pasha) (১৯৪৮)।

সিরিয়া, ইরাক ও আরব উপদ্বীপে দুঃখ কষ্ট ছড়িয়ে পড়বে। নবী করিম সাঃ বলেছেন সেখানে (সিরিয়া) এমন দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা দেখা দেবে যে কেউই আশ্রয়ের জন্য এতটুকু জায়গাও পাবে না। ঐসব দুঃখ কষ্ট সিরিয়া হয়ে ইরাকে ছড়িয়ে পড়বে। এবং তা’ আরব উপদ্বীপের নানান জায়গায় ষ্পর্শ করবে। মুসলমানরা যুদ্ধ করবে।

কিন্তু তাদের জন্য কেউই দুঃখ প্রকাশ করবে না। সহানুভূতি দেখাবে না। তারা একটা শেষ হতে-না-হতেই আরেকটা দুঃখ কষ্টে জড়িয়ে পড়বে। (Muntakhab Kanz al-`Ummal, vol. 5, pp. 38-39) ইরাক তিন ভাগে বিভক্ত হবে। নবী করীম সাঃ এর মতে - ইরাক বা ইরাকের জনগণ তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে।

এক ভাগ লুটতরাজে লিপ্ত থাকবে। একটি গ্রুপ পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে যাবে। এবং আরকেটি গ্রুপ যুদ্ধ করবে এবং যুদ্ধ করতে করতে নিহত হবে। এই সব অবস্থা যখন স্বচক্ষে দেখতে পাবে, তখন কেয়ামতের জন্য প্রস্তুত থেকো। (Fera Idu Fevaidi'l Fiqr Fi'l Imam al-Mahdi al-Muntadhar) ।

সাম্প্রতিক উপসাগরীয় যুদ্ধে আমরা এর সত্যতা অনেকটা দেখেছি। সামাজিক অবক্ষয় .... যখন মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টে গুমড়ে গুমড়ে মরবে এবং ব্যাপক আর্থসামাজিক নৈরাজ্য ও অশান্তি ছেয়ে যাবে ........... (Ahmad Diya'al-Din al-Kamushkhanawi, Ramuz al-Ahadith, vol.7, p. 7) আমরা জানি - ইদানীংকার একটা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হচ্ছে সামাজিক অখন্ডতা ও বুনন। এটি এখন হুমকির সম্মুখীন। ক্রমবর্ধমান বিবাহ বিচ্ছেদ, ভগ্ন পরিবার (Broken Family), বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সন্তান ইত্যাদি নানান সমস্যাগুলো সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিপন্থি। এগুলো পরিবার নামক মূল্যবান প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে।

রক্তাক্ত করে। মানসিক উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, দুঃচিন্তা ও মানসিক চাপ এখন মানুষের নিত্য সঙ্গী। মানুষ এখন একধরণের আধ্যাত্মিক শূন্যতায় বসবাস করছে। কোন কিছুরই যেন হিসেব মিলে না। উদ্বেগ-উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ এলকোহল বা নানা ধরণের মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।

কেউ কেউ আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। সামাজিক অবক্ষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে ‘সামাজিক অপরাধের সংখ্যা/হার বেড়ে যাওয়া। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম প্রিভেনশান সেন্টার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ইউনিভার্সেল ক্রাইম এন্ড জাষ্টিস’ এর বিশ্বব্যাপী পরিচালিত প্রতিবেদন (Report) অনুযায়ী - ১৯৮০ দশকের মতো ১৯৯০ দশকেও সামাজিক অপরাধের হার উর্ধ্বমূখী। নগরজীবনে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তি কোন-না-কোন সামাজিক অপরাধের শিকার হয়েছে। ডাকাতি, যৌন হয়রানি, চাঁদাবাজি এখন নিত্যনৈমিত্তিক।

মাদক ব্যবসা ও এর ব্যবহার এখন আর লুকিয়ে চুরিয়ে করতে হয় না। মানুষ হীন স্বার্থ দ্বারা তাড়িত হবে। হাদীছে রয়েছে - কেয়ামতের আগে একটা সময় আসবে যখন মানুষ শুধু জীবিকার চিন্তা ছাড়া আর কিছুই করবে না। সম্মান মর্ঝাদা রক্ষার একমাত্র চাবিকাঠিই হবে তখন টাকাপয়সা। অর্থাৎ মানুষের সম্মান হবে টাকাপয়সা , তাদের কিবলা হবে স্ত্রীলোক।

তাদের ধর্ম হবে "টাকাপয়সা"। ঐ সমস্ত লোকেরা আল্লাহর কাছে কিছুই পাবে না। (al-Sulami) হজ্জ করতে যাবে আল্লাহর নির্দেশ পালন ও সন্তুষ্টির জন্য নয়, বরঞ্চ ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য। কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে একটা সময় আসবে যখন ধনী লোকরো হজ্জ করতে যাবে চিত্ত বিনোদনের জন্য, সাধারণ মানুষ যাবে ব্যবসার জন্য, বিত্তহীনরা যাবে ভিক্ষে করার জন্য। (Ahmad Diya'al-Din al-Kamushkhanawi, Ramuz al-Ahadith, p. 503, no. 8) মানুষ তাকদিরের উপর বিশ্বাস না-করে রাশিচক্রের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে।

হাদীছে রয়েছে - এ সময় কিছু মানুষ তাকদির নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেবে আর কিছু মানুষ দেখা দেবে যারা বলবে ‘আকাশের নক্ষত্রের অবস্থানই ভবিষ্যত বলে দেবে। এটি কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ের একটি নিদর্শন। এ সংক্রান্ত হাদীছের বক্তব্য রয়েছে এ রকম - এ সময় মানুষ তাকদিরে বিশ্বাস ত্যাগ করবে। তারা নক্ষত্রের অবস্থানে বিশ্বাস করবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতের অবস্থা নির্ণয়ে মানুষ ‘তাকদিরে বিশ্বাস’ এর স্থলে ‘নক্ষত্রে বিশ্বাস’ স্থাপন করবে।

(Al-Haythami, Kitab al-Fitan) এমন মানুষের আবির্ভাব হবে যারা কোরআন তেলাওয়াত করবে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য কেয়ামত পূর্ববর্তী কোন এক সময়ে মানুষ টাকা পয়সা তথা পার্থিব লাভের জন্যেই কোরআন তেলাওয়াত করবে। তা’ দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন পরোয়া করবে না। (Tirmidhi) অন্য বর্ণনায় রয়েছে - যখন তোমাদের পন্ডিতেরা জ্ঞান অর্জন করবে শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য এবং তোমরা পবিত্র কোরআনকে পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করবে, তখন জেনে নাও কেয়ামত অতি নিকটে। (Muhammad ibn 'Abd ar-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 141) অন্য বর্ণনায় রয়েছে - কোরআনের তেলাওয়াতের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভুলে গিয়ে মানুষ যখন কোরআন তেলাওয়াত করবে, জেনে নাও কেয়ামত সন্নিকটে। আরেক বর্ণনায় রয়েছে - কোরআন যখন সুললিত কন্ঠে সংগীতের অনুকরণে তেলাওয়াত করা হবে এবং ঐরূপ তেলাওয়াতের জন্য তেলাওয়াতকারীকে বিশেষ সম্মান দেয়া হবে যদিও সে কোরআনের জ্ঞানে জ্ঞানী নয়, তখন কেয়ামত অতি নিকটে।

(Al-Tabarani) আত্মীয়স্বজন বা পরিবারের সদস্যরাই ব্যক্তি মানুষকে পাপ ও মন্দ কাজে জড়িত করবে। একজন মানুষের ধ্বংস তার মাতাপিতার হাতেই হবে। মাতাপিতার হাতে না-হলে স্ত্রীর হাতে, তা’ না-হলে অন্য আত্মীয় স্বজনের হাতে। কিভাবে? তাদের পছন্দসই পর্যাপ্ত জীবিকা অর্জনে ব্যর্থ হলে তারা তাকে দায়ী করবে। তাকে এমন কাজ করতে বলবে/বাধ্য করবে যা’ তার পছন্দনীয় নয়।

এবং শেষ পর্যন্ত তাকে পাপ ও মন্দ কাজে লিপ্ত করিয়ে ছাড়বে। বিপজ্জনক কাজে জড়িয়ে ফেলবে। এবং এভাবেই তারা তাকে ধ্বংস করবে। (Abu Naim) গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের অংশ ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ পরিত্যাগ করবে। কেয়ামত নিকটবর্তী হবে তখন যখন সৎ ও ভাল কাজ কেউ করবে না, করতে বলাও হবে না এবং মন্দ ও খারাপ কাজ করা হবে, কিন্তু তা’ করতে নিষেধ করা হবে না।

(Mukhtasar Tazkirah al-Qurtubi, p. 480)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে - ভাল ও সৎ কাজ করার কেউ থাকবে না, তখন বুঝে নিতে হবে যে কিয়ামত নিকটবর্তী। (Muhammad ibn ‘Abd al-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 264) কোরআনের একটি আয়াত - "আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। [Surah Al `Imran, 3:104]"। এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায় - আল্লাহ মানুষের জন্য সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ বাধ্যতামূলক করেছে।

এ নির্দেশ পালন করার কেউ না-থাকা মানে কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়া। আন্তরিকতার সাথে কোরান পাঠ না-করা ও তা বোঝার চেষ্টা না-করা। নবী করিম সাঃ বলেছেন - মানুষ কোরান পাঠ করবে ঠিকই কিন্তু কোরানের অন্তর্নিহিত জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও শিক্ষার পরোয়া করবে না। তখন বুঝে নাও যে কেয়ামত নিকটবর্তী। কেয়ামত নিকটবর্তী সময়ে জ্ঞান তুলে নেয়া হবে।

আমি (জনৈক সাহাবী) জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লার রসুল সাঃ, তা কিভাবে? আমরা তো কোরান পাঠ করি, সন্তানদের শিখাই এবং কেয়ামত পযর্ন্ত পরবর্তী বংশধরদের আমরা শিক্ষাদান করি। আমাদের পরবর্তী বংশধররা তাদের সন্তানদের শিক্ষাদান করে। এমতাবস্থায় জ্ঞান কিভাবে তুলে নেয়া হবে? তখন তিনি সাঃ বললেন - ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাওরাত ও বাইবেল পাঠ করে না? ঐ সব ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে, তা আমল না-করেও তারা ওগুলো পাঠ করে থাকে। (Sunan Ibn Majah) মুসলিম উম্মাহ্ এমন এক দিন দেখতে পাবে যখন মানুষ কোরান পাঠ করবে ঠিক কিন্তু তা হবে গলা বা কন্ঠ পযর্ন্ত। এর নিচে যাবে না।

অর্থাৎ ঐ কোরান পাঠ হৃদয় স্পর্শ করবে না। তা হবে অনেকটা যান্ত্রিক। তোতা পাখীর মতো উচ্চারণ করে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। (Sahih Bukhari) বজ্রবিদ্যুতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। বজ্রবিদ্যুতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

বজ্রপাতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বাজারে বা জনসমাগমস্থলে মানুষ যখন একে অপরের সাথে দেখা হবে, তখন তারা পরষ্পরকে জিজ্ঞেস করবে - তোমাদের এলাকায় কে কে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে? জবাবে তারা বলবে - অমুক অমুক লোক, ঐ ঐ গ্রামের / এলাকার অমুক অমুক লোক। (Ibn Ahmad Hanbal) ভূমিকম্প তোমাদের বাড়ী ঘর ধ্বংস করবে। বজ্রবিদ্যুৎ তোমাদের মেষপাল দগ্ধ করবে। কয়লায় পরিণত করবে।

. (Nu`aym ibn Hammad) উক্ত হাদীছসমূহ বলে দেয় - বেশী বেশী বজ্রবিদ্যুৎ হওয়া কেয়ামত পূর্ববর্তী অবস্থার এক নিদর্শন। আবহাওয়া পরিসংখ্যান আমাদের বলে - সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রবিদ্যুৎজনিত মৃত্যু ও সম্পদহানী (মূল্যবান গবাদি পশু) বর্তমান সময়ে বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ ১৯৯৮ সালে কঙ্গোতে ১১ জন ফুটবল প্লেয়ার মারা যায় বজ্রবিদ্যুতের কারণে। ২০০১ সালে মেক্সিকোয় ৬ জন ফুটবল খেলোয়ার মারা যায়। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুৎ এর কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশেও এর ফলে মানুষের মৃত্যুর খবর প্রায়ই সংবাদপত্রে আসে। অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হবে। কেয়ামতের আগে আগে এমন বৃষ্টিপাত হবে যা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত করবে। (Ibn Ahmad Hanbal) আরও রয়েছে - এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে অথচ মাটিতে ঘাস কম জন্মাবে। এ অবস্থা যখন হবে তখন ধরে নিতে হবে কেয়ামত নিকটবর্তী ।

(Muhammad ibn `Abd ar-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 137) আরও রয়েছে - কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে মৃত্তিকা নির্মিত বাড়ীঘর ও স্থাপনা ধ্বসে পড়বে কিন্তু প্রস্তর (Stone) নির্মিত বাড়ীঘর টিকে থাকবে। ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যা হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমূহের মধ্যে অন্যতম যা' প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। বিশেষতঃ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে পৃথিবীজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত জনিত ব্যাপক প্রাণহানি ও বস্তুগত সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি লক্ষলক্ষ মানুষকে সবর্শান্ত করেছে। কিছুদিন আগেও ইউরোপের বন্যার কথা আমাদের মনে আছে। অঝোর ধারার বৃষ্টি প্রায় সমগ্র ইউরোপকে গ্রাস করে ফেলেছিলো।

ইউরোপের বড় বড় সব শহর তলিয়ে গিয়েছিলো। ২০০২ সালে মৌসুমি বৃষ্টিপাতজনিত বন্যায় ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ লোক মৃত্যুবরণ করে। একই বছর চীনে বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভূমিধসেও প্রায় ১০০০ জনেরও বেশী প্রাণহানী হয়। ঝড়ো বাতাস, টনের্ডো কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে ১০টি অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর ঘটনা অবলোকন করবে মানুষ। ওগুলোর মধ্যে দশমটি হবে এমন এক টনের্ডো যেটি মানুষকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।

.... (Muhammad ibn `Abd ar-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 288) অন্য বর্ণনায় আছে - দশমটি হবে এমন ঝড়ো বাতাস যা মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। ... (Muhammad ibn `Abd ar-Rasul Barzanji, Al-Isha`ah li Ashrat as-Sa`ah, p. 288) প্রাকৃতিক দুর্যোগ বড় বড় সব শহর নগর ধ্বংস করে। পরিসংখ্যানে প্রকাশ - সাম্প্রতিক কালে আমাদের সময়ে সংখ্যায় ও মাত্রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন (Climatic Changes) পৃথিবীতে আলোচিত এক বিষয় (Talk of the Era)। বতর্মান শিল্পযুগের শিল্প উৎপাদন ও এর ক্রমবর্ধমান বিস্তৃতির নেগেটিভ বা খারাপ এবং বিপজ্জনক দিক হচ্ছে বিশ্বের উঞ্চতা বৃদ্ধি।

বায়ুমন্ডলের উঞ্চতা বৃদ্ধি। শিল্প উৎপাদনের ফলে নির্গত গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে বায়ু মন্ডলের ভারসাম্য ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন হচ্ছে। আমেরিকার জাতীয় বায়ুমন্ডল তথ্য কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে - প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ১৯৯৮ সালে পৃথিবীর নানান জায়গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ হারিকেন মিচ্ (Hurricane Mitch) হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সবচাইতে ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমূহের অন্যতম।

গত ১৯৯৮ সালের ২৬শে অক্টোবর হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ায় ঐ হারিকেন যে আঘাত হানে তাতে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয় আবহাওয়া পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উঞ্চতাজনিত ফলাফল মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়া ও সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি। বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হয় - তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো - ১৭০৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত সময়ে যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হয় তার মধ্যে ভয়ংকরতম হচ্ছে ঐটি যেটি ইংল্যন্ডের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে আঘাত হানে। এতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন গাছ উৎপাটিত হয়। ১৯৮৭ সালে আঘাত হানা ঐ হারিকেনে বনভূমির বিশাল এলাকা অদৃশ্য হয়ে যায়। ১৬ জনের প্রাণহানিসহ প্রচুর পাকা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জাহাজসমূহ স্রোতের তোড়ে সমুদ্রের কিনারায় ভেসে চলে আসে।

১৯০২ সালে শুধুমাত্র গালফ্ অব মেক্সিকোতে (Gulf of Mexico) হারিকেন এনড্রু আঘাত হেনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বাহামা-তে ক্ষতি করেছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এবং এর ফলে আমেরিকার পূর্ব উপকূলে বসবাসরত ২০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। একইভাবে ১৬ই মে ১৯৯৬-তে বাংলাদেশের পশ্চিম উপকূলে প্রচন্ড ঝড় আঘাত হানায় প্রায় ১০০০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রায় ১ লাখ লোক গৃহহারা হয়। প্রায় ৩০ হাজার আহত হয়।

এছাড়াও ২৭শে মে ১৯৯৭-এ আমেরিকার টেক্সাস নগরীতে টর্নেডোর আঘাতে ২৭ জন লোক নিহত হয় । ২০শে মে ১৯৯৮-এ আমেরিকার জর্জিয়ায় টর্নেডোর আঘাতে ১২ জন লোক প্রাণ হারায়। অগাষ্ট ২০০২-তে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের বন্যায় ১১৪ জন প্রাণ হারায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০০৩ সালের পূর্ববর্তী ৪০ বছরের হিসেব মতে ঐ অঞ্চলের প্রচন্ড হারিকেনে মাত্র ২ দিনে ২০০ জন লোক নিহত হয়। গত কয়েক বছর ধরে হারিকেন, টাইফুন, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বিভিন্ন অঞ্চলের নানান নামের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তান্ডবে পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।

উপরন্তু বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক অঞ্চলে ভূমিধসের মতো ঘটনায় অনেক গ্রাম ও শহর হারিয়ে গেছে। ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরি ও ঘূর্ণিঝড়ও অনেক অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ঐ সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞগুলো কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার প্রকৃষ্ট আলামত। চলবে ................  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।