আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র’ এর খাঁচায় আ. লীগের ১০০ কমান্ডো: গুম-খুন-অপহরণে প্রশিক্ষণ লাভ

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১০০ ক্যাডারকে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে ছয়মাস মেয়াদি কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। গত জুন থেকে দেরাদুনের ট্রেনিং নেওয়া এসব (ছাত্রলীগ বা যুবলীগ) ক্যাডারদের গুপ্তহত্যা ও অপহরণের কৌশল শেখানো হয়েছে। ‘ক্রুসেডার-১০০’ ছদ্ম নামে পরিচিত এসব ক্যাডার রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের হত্যা ও গুম করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এসব ক্যাডার ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে থেকে ২০১০ সালের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতের সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয়।

বিস্তৃত পরিসরে আওয়ামী ক্যাডারদের দেওয়া এ প্রশিক্ষণটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু তরুণ সদস্যকে’ দেওয়া কমান্ডো ট্রেনিং হিসেবে চালিয়ে দেয়। ক্রুসেডার-১০০ নামের পুরো প্রকল্পটি ‘র’ এর পরিকল্পনার ফসল এবং বাংলাদেশ সরকারের অতি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে। ভারতের ‘র’ ও যুক্তরাজ্যের এম আই-৬ এর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষাকারী অবসরপ্রাপ্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা পুরো প্রকল্পটি দেখভাল করছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃস্থানীয় পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কই এসব যোগাযোগ রক্ষা করতে তাকে সাহায্য করেছে। ক্রুসেডার-১০০ এর পুরো দলটি ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে নেওয়া হয়।

দলটি ওই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও তার বিশ্বস্ত কিছু সহকর্মীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদ, মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি তালিকা দেওয়া হয়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাদের ক্রুসেডার-১০০ ‘সাফ’ করবে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ১০০ ক্রুসেডারকে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা এলাকার কিছু ভবনে রাখা হয়েছে। বারিধারার ক্রুসেডাররা সেই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাঁটিতে অবস্থান করছে।

এসব ঘাঁটি স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি ও নজরদারির নানা সাজ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত। সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। বিএনপির সদ্য নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর নামও ক্রুসেডার-১০০ এর তালিকায় ছিল। শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানের নয়াদিল্লি সূত্র আরও কিছু নাম জানিয়েছে। এর মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল আলম প্রধান, আসম আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী ও মাওলানা ফজলুল করিম।

আওয়ামী লীগ ও ‘র’ এসব লোককে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খতম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ব্যক্তির অস্তিত্ব আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রুসেডার-১০০ স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার সাইলেন্সর যুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট,গ্যাস বোমা ও যানবাহনে সজ্জিত। দেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এদের অনেকেই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে থাকে। এদের প্রত্যেক সদস্য নানা রকম সুবিধাসহ উচ্চ পারিতোষিক লাভ করে থাকে।

সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় ফ্যাট দেওয়া হয়। এদের দিনের বেলায় প্রকাশ্যে আসতে অনুমতি দেওয়া হয় না এবং সাধারণত নিজ নিজ ঘাঁটিতেই রাখা হয়। জরুরি অবস্থা তৈরি হলে বা রাস্তায় নেমে আসা প্রয়োজন হলে তাদের কালো হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। পর্যায়ক্রমে এ বাহিনীর সদস্যেরা ৭ থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ভারত যায় আমোদপ্রমোদের জন্য। এসব ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের কোনও নথি প্রদর্শন করতে হয় না।

সুত্রঃ এইখানে গুতা মারেন The Bengal Tigers in the R&AW cage R&AW trained Crusader 100 in action in Bangladesh | by Jessica Fox ( April 23, 2012, Dhaka, Sri Lanka Guardian) Strictly scrutinized 100 armed cadres of the ruling Awami League in Bangladesh, who received 6-month long extensive commando training at Dehradun in India under the direct supervision of Indian espionage agency the Research and Analysis Wing are continuing various types of activities, including secret killing, abduction etcetera since June of 2010 with the mission of “clearing” a large number of politicians, media personnel and members of the civil society in Bangladesh. The team codenamed “Crusader-100” went to India during end September 2009 and stayed there till mid June 2010, where brilliant commando trainers of Indian Army gave extensive training to these people under the disguise of “training few young commandos of Bangladesh Army”. The entire project of “Crusader-100” was originally conceived by Indian Research and Analysis Wing (RAW) and the project was coordinated directly by the Bangladeshi Prime Minister and her defense advisor Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui...........................।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।