আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হট পট রেষ্টুরেন্ট- দেশ বিদেশে।

নারী ও শিশু আমার ভাল লাগার বিষয়। এদের নিয়ে কাজ করতে ভাললাগে। কিন্তু এখন আমার কর্মক্ষেত্র সকল জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। খাবারের কথা শুনলে ও দেখলে অনেকের জীভে পানি চলে আসে। আমি কিন্তু খুব একটা খাওয়া রসিক না।

তবে পয়সা দিলে উসুল করার জন্য চেষ্টায় থাকি খাওয়া চালিয়ে যেতে। অনেকে আছে দেশে কিংবা বিদেশে খাবার এষ্কপেরিমেন্ট করে । বিভিন্ন স্বাদের খাবার খায়। আমি কখনই এরকম চেষ্টা করি না। মুলত একটি কারনে আর তা হলো পয়সা দিয়ে খাবার কিনব আর খেতে যদি না পারি ! না খেয়ে থাকতে রাজী আছি কিন্তু পয়সা নষ্ট করতে রাজী না।

কিন্তু আমার স্বামী এবং আমার ছোট মেয়ে দুজনেই আমার ঠিক উল্টা হয়েছে। বিভিন্ন রকমের খাবার দেখেই তারা হাইপার হয়ে যায় …বাকীটা ঘড়ের কথা নাইবা বললাম। আমি বেশ কিছুদিন থেকে দেশের বাহিরে আছি অফিসের কাজে। এখন তাইওয়ানে আছি। এক ছুটির দিনে তাইনান সিটিতে গেলাম বেড়াতে।

আমার সাথে আমেরিকান ম্যাস্কিকান। উদ্দেশ্য টুক টাক শপিং আর তাইওয়ানের ট্রাডিশনাল খাবার খাওয়া। “নিহাঊ” ছাড়া কোন শব্দ জানি না । নিহাঊ মানে হচ্ছে হ্যালো। যেখানেই যাচ্ছিলাম হয় কোনো দোকান বন্ধ ( ওদের কোনো কারনে ৪ এবং ৫ই এপ্রিল সরকারী ছুটি এবং ৬ ও ৭ তারিখ স্বাভাবিক উইকেন্ডস ছিল) কিংবা যেগুলো খোলা ছিল সেখানে অনেক লাইন।

যাইহোক আমরা রাস্তার পাসে এক বিশাল বড় খাবার দোকানে ডুকলাম। এবং যা জানলাম তা হলো এখানে হরেক রকম খাবার আছে কিন্তু আমারদেরকে রান্না করে খেতে হবে। মাছ , মাংস, সব্জী থেকে শুরু করে যে কোনো খাবার। আইস্ক্রিম থেকে শুরু করে কত রকমের যে জুস ও স্যাঙ্কস বলে শেষ করা যাবে না। খাবারের নিয়ম হলো একটি টেবিলে চারজন করে বসতে পারে এবং সেইজন্য ৪টি বাটি রাখার ব্যবস্থা আছে।

যা অটোমেটিক চুলার মতন । সুইচ দেওয়া থাকে খাবার গরম কররার জন্য। তাপ বাড়ানো বা কমানোর জন্য। ওয়েটার শুধু সুপ ভর্তি স্টিলের বাটি দিয়ে যায় বাকী খাবার পছন্দ করে প্লেটে নিয়ে এসে সুপের পানিতে সিদ্ধ করে খেতে হয়। কত রকম যে সস কিন্তু আমি গন্ধ শুকে শুকে কয়েকটা নিতে পেরেছিলাম।

সবগুলো নামের আগে চাইনীজ লেখা। আমি পড়তেও পারছিলাম না আর ওরা ইংরেজীতে ভাল হলে আমার অনেক সুবিধা হতো খেতে । কাচাঁ সামুদ্রিক মাছে ঠাসা রেক গুলো। রেষ্টূরেন্ট এর ভিতরে লোকজনদের খাওয়া দেখে মনে হচ্চিল ওরা সাতদিনের খাবার এক সংগে খেয়ে নিচ্ছে। চিংড়ী চিনি বলে প্লেটে কয়েকটা চিংড়ি নিয়ে এলাম খেতে।

নিজে সব পরিষ্কার করে তারপড় গরম পানিতে ঢেলে সিদ্ধ করে খেলাম । লোকজনদেরকে দেখলাম আস্ত চিংড়ী বাটিতে ( মাথার ময়লা/গু সহ) ঢেলে দিল আর তুলে নিয়ে খাচ্ছে………… । এত বড় রেস্টুরেণ্টে লবন খুঁজে পেলাম না। হয়ত ছিল কোনো খানে। কাউকে বোঝাতে পারিনি আমি লবন চাচ্ছি।

একজন বুঝতে পারলো বলল সয়া সস নাও, লবনের কাজ দিবে। অগ্যতা সয়া সস ঢেলে বাকী খাবার গুলো খেলাম। কথা না বাড়িয়ে ছবি গুলো শেয়ার করছি। এখানে ১ ডলারে ২৯ তাইওয়ান ডলার পাওয়া যায়। এরকম এক জনের খবার খেতে প্রায় ৪০০ তাইওয়ান ডলার লাগে।

সময় অবশ্য শুধু ৩ ঘণ্টা। তিন ঘণ্টার মধ্যে যা ইচ্ছা যত খুশী ইচ্ছা খাওয়া দাওয়া করা যেতে পারে। ঝুড়ির ভিতর সব মজার মজার পিঠা। সাইজ এবং দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এই সেকশনে আসতে আসতে পেট ভরে যায়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।