আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার একটি কম দামী ক্যামেরা ক্রয় এবং প্রথম ফটো পবিত্র কাবা শরীফের।

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম) ***নাস্তিকদের মন্তব্য মুছেফেলা হবে। *** পোস্টের ২ নং ভিডিও টি গোপন ভাবে হযরত মুহাম্মদ (সঃ)এর রওজা মুবারক থেকে নেওয়া হয়েছে। শুরু করছি পৃথিবীর একমাত্র মালিক পরম করুণাময়য় ও অসিম দয়ালু সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্‌র নামে। গত ১৮ই এপ্রিল দাম্মাম থেকে ওমরা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রতি বছর ই একবার মক্কা- মদিনার উদ্দেশ্যে সফর করি।

এতে মনটা অনেক ভাল হয়ে যায়। এ বারের সফরটার সকল আয়োজন করেছেন দাম্মাম ইসলামিক দাওয়া সেন্টার। প্রায় প্রতি মাসেই ইসলামী দাওয়া সেন্টার থেকে এই ধরনের আয়োজন করা হয়, যারা সৌদি আরবে আছেন তারা হয়ত অনেকই জানেন। এদের সাথে সফরে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ওমরার সকল নিয়ম কানুন সহ সব কিছুই ওনারা শিখিয়ে দেন।

নতুনদের জন্য অনেক উপকারী এই সফরটা। আমি যখন প্রথম ওমরা হজ্জ পালনে যাই সাহায্য করার মত কেউই ছিল না বই দেখে দেখে যে খানে যে দু-আ পড়তে বলা হয়েছিল তাই করেছিলাম। তবে এখন আর ভুল হবার সম্ভবনা নাই সাথে ছিলেন ইসলামী দাওয়া সেন্টারের বড় ভাই যিনি দাম্মামের উত্তর সাইডের সমস্ত বাংলাদেশীদের তালিম দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। আসলেই ওনি একজন অমায়িক লোক। ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষার আছে।

নাম শেখ আহমেদ উল্লাহ্‌। কুরআন হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া কথা বলেন না। আর এর জন্যই ওনাকে আমার এত ভাল লাগে। যাই হোক অনেক প্যাঁচাল পাড়লাম এর জন্য ক্ষমা পার্থি। আর ও সামান্য কিছু কথা বলতেই হয়, তা না হলে এই পোস্ট টাই মাঠি।

মক্কা গিয়ে যখন দেখি সবাই ছবি তুলছে তখন আমার শুধু আপনাদের কথাই মনে পড়েছে। আর আফসোস করতে লাগলাম সাথে যদি একটা ক্যামেরা থাকত তা হলে ত আমার সামুর ব্লগার বন্ধুদের জন্য কিছু ফটো নিতে পারতাম। হটাৎ পকেটে হাত দিলাম দেখি ক্যামেরা ক্রয়ের পয়সা আছে কি না। এর মধ্যে একটা কথা মনে পরে গেল আহমেদ ভাই গাড়িতে বলেছিলেন, বিনা কারনে ফটো তোলা জায়েজ নাই। পরে আবার চিন্তা করলাম, আমি ত আর বিনা কারনে ফটো তুলতে যাচ্ছি না।

সব পকেট চেক করে পেলাম ৬৯৫ রিয়াল বাংলা টাকায় চৌদ্দ হাজার আর কি। মনে করলাম নরমাল একটা ক্যামেরা কিনতে ৫০০ রিয়াল এনাফ। খুঁজতে থাকলাম ক্যামেরার দোকান। হারাম শরীফের ভিথর থেকে বাহিরে আসলাম। অনেক খানি বাহিরে আসিয়া পচ্চিম পাশে অনেক গুলা ছোট ছোট বাঙালী দোকান পেলাম সাধারণ ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী সাজিয়ে রাখা আছে দোকান গুলাতে সাথে ক্যামেরা ও আছে।

ক্যামেরার মধ্যে ক্যানন, সামসাং, সনি, পেনাসনিক, কোডাক এই চার পাঁচ কোম্পানির কমদামী ক্যামেরা গুলাই আছে এইখানে। যাই হোক দুই তিনটা দোকান দেখার পরে বুঝলাম এতো দেখি অনেক সস্তা। মনে মনে চিন্তা করলাম ভুগি ছুগি না তো আবার। ? এক বাঙালী ভাই কে বল্লাম এই স্যামসাং টা কত রাখতে পারবেন। ? ওনি বল্লেন ৩৮০ রিয়াল।

আমি বল্লাম লাস্ট কত রাখতে পারবেন। ? ওনি বল্লেন ভাই এখানে বাঙালীদের থেকে বাঙালীরা বেশী লাভ করে না। একদাম আপনার জন্য ৩০০ SR . দাম শুনে আমি মনে মনে জিজ্ঞাস করলাম অরজিনাল কি না। আবার ও ঐ একই কথা এই খানে বাঙালীরা.............ঠকায় না। তার পর আবার জিজ্ঞাসিলাম চার্জ না ব্যাটারি ওনি বল্ল ব্যাটারি।

চিন্তা করলাম ব্যাটারি হলেই ভাল, ব্যাটারি শেষ হলে নতুন ব্যাটারি সব জায়গাতে পাওয়া যাবে। আর চার্জ হলে বুঝেন ই তো মোবাইলের মত অবস্থা। ঠিক আছে সামসাং টাই দেন। নিলাম সামসাং Es 30 মডেলের এই কমদামি সেট টা। সেট টা হাতে নিয়া পাওয়ার অন করলাম ওয়েলকাম স্কিনে লিখা আসল Insert Your Card. এই লিখা দেখে আমি চিন্তা করলাম এমন ৫-১০ টা কার্ড আমার টেবিলের ডয়ারে খুজলেই পাওয়া যাবে যা কি না বিনা প্রয়জনে পরে আছে।

দোকানদার কে বল্লাম কার্ড আছে আপনার কাছে। ? দোকানদার বল্ল ২ জি,বি ৩৫ রিয়াল। কি আর করা নিলাম। ৩০ রিয়াল দিলাম। এসেগেলাম ফটো তুলতে।

তখন এশার আযান এর সময়ে অনুমানিক রাত ৭ টা। জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলাম কাবাতে। নামাজ শেষে শুরু করলাম জীবনের প্রথম ফটোগ্রাফি। এর আগে একটা এনালগ ঠিক এমন ক্যামেরা ইউজ করেছিলাম। আজকের এই সামসাং Es30 দিয়ে ধারণ কৃত প্রথম ভিডি ও এই টি।

না বুঝেই শুরু করলাম ভিডিও রেকর্ডিং। দেখন তো ভিডিও টি কেমন হল। =========================================== এই ক্যামেরায় ধারণকৃত হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর রওজা মোবারক এই ভিডিও ফুটেজ টি গোপন ভাবে খুব সাবধানে রেকর্ড করে ছিলাম। কারণ এইখানে ভিডিও করা নিষেধ। ========================================= এই ফটোটা হচ্ছে আমার হাতে তোলা প্রথম ডিজিটাল ফটো।

===========================================আর এই দুই নং ফটোটা দেখে নিজের বাবা মায়ের কথা ই মনে পড়ে গিয়াছিল। ছবিতে যে চাচা চাচি কে দেখছেন সম্ভবত পাকিস্তানের নাগরিক হবে। =========================================== এক মহিলা কাবার ফটো নিচ্ছেন নিজের মোবাইলে। =========================================== সাফা- মারওয়া পাহাড়ে রানিং এর একাংশ। =========================================== সাফা- মারওয়া রানিং ২ =========================================== বাহির থেকে রাত নয় টায় =========================================== গাড়িতে উঠার আগে রাত ১০ টায় তোলা ফটো সৌদি পোস্ট অফিসের সামনে থেকে।

=========================================== এই ছবিতে যে মুরুব্বী কে দেখছেন ওনি আমাদের গ্রুপের ই একজন ফটো টি আমি নেই নি কে নিয়েছেন জানি না। মক্কা থেকে মদিনায় এসে এইটাই প্রথম ফটো। =========== =============================== মদিনায় এই সফরের সবচেয়ে ছোট্ট ভাতিজা ভাতিজির সাথে আমি। =========================================== ইসলামি দাওয়া সেন্টার দাম্মাম অফিসে জমা দেওয়ার জন্য মোবাইলে ফটো নিচ্ছি আমি। =========================================== মদিনার কবুতর।

=========================================== কবুতর গুলা এ ভাবেই উড়াল দিয়েছিল। =========================================== মনের সুখে খেয়ে যাচ্ছে। ================================ ========== ভাতিজার দুইদিন ধরেই ঘুম নাই। মদিনা তে সকাল বেলা রেস্টের সময়। =========================================== জুম্মার নামাযের একটু আগে ফারুক ভাই এর কোলে ভাতিজা।

=========================================== সব শেষে ভাতিজা সহ আমি জুমার নামাজ এর আগে। =========================================== পরিশেষে একটাই কথা আর তা হল, লাখ লাখ শুক্রিয়া আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের দরবারে। যিনি এত সুন্দর একটা নিয়ামত পুর্ন সফরের সঙ্গী হওয়ার মত তৌফিক আমাকে দান করেছেন। সবাই ভাল থাকেন এই দোয়া করি আল্লাহ্‌ হাফিজ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।