আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজলী(১৮+)

"আমার রঙ্গীন পাল নীল সাগরে, ভেসে যায় তরী আমার ঢেউ এর তরে, চলো স্বপ্ন বুনি নীল দরিয়ায়, অসীম নীলে তরী আমার যায় উড়ে যায়!" আজ অনেক ব্রিস্টি! আকাশ থেকে যেনো বিজলী আর নামতেই চাইছেনা! এমনি বিজলী মুখর দিনটাতে সেই জানোয়ার গুলো ওর সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছিলো! মনের ভেতরের বিজলী টা দমন করার জন্য মানুষ যে এতো জানোয়ার হয় তা আমার মেঘমুক্ত হৃদয় টা প্রথম অবলোকন করেছিলো! কখনো ভাবতেই পারিনি সেই বিজলীর প্রভাব টা পড়বে আমার সবচেয়ে প্রিয়োজন টার জীবনে! যেই বিজলি দেখে একসময় আমি আনন্দে লাফালাফি করতাম সেই বিজলীর শব্দ শুনে আমার বুকের ভিতর টা এখন আর্তনাদ করে! সেদিন ও অনেক বৃস্টি হচ্ছিলো,আর বিজলী চমকাচ্ছিলো! কলেজ থেকে আমরা কেউ ই বের হতে পারছিলাম না!ও বার বার আমার কাছে এসে বলছিলে,চল আজ বৃস্টিতে ভিজি! কিন্তু আমি ছিলাম বরাবর ই এসবের প্রতি উদাসীন! একটু বৃস্টির গতি কমলেই কলেজ থেকে বের হয়ে সে গেলো তার বাড়িতে আর আমি আমার বাড়িতে! কিন্তু বৃস্টি-বাদলের দিন-পথ,ঘাট ছিলো পুরাই ফাকা! চেয়ারম্যানের ছেলেটা সে সুযোগ হাতছাড়া করেনি! ওর তিন জন বন্ধু নিয়ে পশুর মত ওরা ঝাপিয়ে পড়েছিলো! আর আমি সেই বরাবরের মত গান গাইতে বাড়ি চলে গেলাম! তুমি বার বার বলেছিলে তোমাকে এগিয়ে দিতে! আমি কোনো পাত্তাই দেইনি! আর এইজন্য ই আমি নিজেকে কোনদিনো ক্ষমা করতে পারবোনা! দেখো,আমি কখনই বুঝিনি যে একটা মেয়ে মানুষকে একা পেলে পুরুষেরা কতটুকু পশু হতে পারে! আমি কখনই জীবন টাকে ওভাবে জটিল করে চিন্তা করিনি! আর সে জন্যই আমার তোমাকে বিসর্জন দিতে হলো! সবচেয়ে বড় আক্ষেপ টা হলো-ও কোনো বিচার পেলোনা! চেয়ারম্যানের ছেলের বিচার হওয়ার বদলে ওর নিজের বিচার পেতে হলো! সমজপতিরা যারা কিনা যৌবনে ওই টাইপের ছিলো –তারা তোমাকে দিলো শুধ তিরস্কার! বিচারের দিন ও আমার দিকে একটু তাকায়নি,শুধু কাদছিলো! তারপর বিচারে চেয়ারম্যানের ছেলেকে কিছুই বলা হলোনা,উল্টে তোমাকে বোরোকা পরে চলতে বলা হলো! এই যদি হয় সমাজের আইন-তাহোলে বেচে থকে কি লাভ? ও তাই বাচেনি,গলায় দড়ি দিয়ে সমাজ আর আমার প্রতি এক রাশ অভিমান নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলো! আর সমাজের সবচেয়ে বাজে রুপটা দেখলাম সেদিন! যেই বিচারে অপরাধির কোনো সাজা হলোনা-সেই বিচারের সময় পাড়ার হুজুরেরা সবাই পালিয়েছিলো! আর এখন এসেছে তার হাদীস কোরান নিয়ে-“এই মেয়ের জানাযা পড়ানো যাবেনা”! যেই সমাজ একটা মেয়ে মানুষের একলা হাটার নিরাপত্তা দিতে পারেনা-সেই সমাজের কি দরকার? কি দরকার স্কুল জীবনের ইসলাম ধর্ম বই এর? কি দরকার মন্দির মসজিদের? যে সমাজে একটা ন্যয়-বিচার নাই,আমার মনে হয়না সেই সমাজের কারো লোকের নামাজ কবুল হয়! নাহ-ওর আক্ষেপ ভরা মরা মুখটা আমি দেখতে পারলাম না! সোজা গেলাম নেতার কাছে! যে সমাজে আইন নাই,সেই সমাজে আইন নিজের কাছে! নেতাকে বললাম,অস্ত্র ম্যানেজ করেন! সবকিছু রেডি করে গেলাম পাড়ার ওই দোকান টাই যেখানে চেয়ারম্যানের ছেলে সহ বাকি দুই জন বসা! এক রাঊন্ড গুলি খরচ করলাম! জীবনে প্রথম বারের মত মনে হলো যে একটা অবলা মেয়ের জন্য কিছু করতে পেরেছি,দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি! আর এখন আমি চার দেওয়ালের মাঝে! এখান থেকে বৃস্টি দেখা যায়না,শুধু শোনা যায়! আমি বিজলীর শব্দ শুনতে লাগলাম!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।