আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন বিদ্যায় পড়েও

গত ১৪ই এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাকের ১৭নম্বর পৃষ্ঠায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে । পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বন গবেষনা ইনস্টিটিউটের "জুনিয়র রিসার্চ অফিসার" পদে ১৮টি পোস্টে স্থায়ী লোক নিয়োগ দেয়া হবে । নিয়োগের জন্য বিষয়ভিত্তিক কোটার তালিকা দেয়া হয়েছে । পদার্থবিদ্যা-১,রসায়নবিদ্যা-৪,উদ্ভিতবিজ্ঞান-৯,কীটতত্ত্ব-১,রোগতত্ত্ব-১,গণিত-১,অর্থনীতি-১ । অথচ সেখানে বনবিদ্যার কোন কোটা নেই ।

বাংলাদেশের প্রায় তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বনবিদ্যায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা দেয়া হয় । প্রতিবছর বনবিদ্যা থেকে প্রায় ১৬০জন শিক্ষার্থী স্নাতক পাশ করেন । বনবিদ্যায় পড়েও বন মন্ত্রণালয়ে তাদের জন্য চাকরি নেই । চাকরির বাজার যেখানে সংকীর্ণ সেখানে নিজেদের মন্ত্রণালয়েই তারা অবহেলিত । আমার প্রশ্ন হচ্ছে ,বন মন্ত্রণালয়ে যেখানে বনবিদ্যায় উচ্চত্তর ডিগ্রীধারীদের চাকরি নেই সেখানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে কেন ?কেনইবা অর্থনীতি কিংবা গণিতের ছাত্ররা এসে তাদের চোখের সামনে বনমন্ত্রণালয়ের চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে ?চাকরির বাজারে একটি বিষয় যখন অবহেলিত তখন এ বিষয়ে পাঠ দেয়ার কোন দরকার নেই ।

হয় তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিন ,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিন নতুবা এই বিষয়টির পাঠদান বন্ধ করুন । আমরা বেকার যুবক দেখতে চাইনা । সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে বনবিদ্যায় ডিগ্রীধারীরা স্কুল কিংবা কলেজে শিক্ষক পদেও অযোগ্য । কারণ স্কুল,কলেজে বনবিদ্যা বিষয়টি নেই । বনমন্ত্রণালয়ের চাকরিতে যদি গনিত ,রসায়ন ,প্রাণীবিদ্যায় ডিগ্রীধারীরা চাকরির সুযোগ পায় তবে কেন স্কুল পর্যায়ে বনবিদ্যার ছাত্রদের শিক্ষকতা করার সুযোগ নেই ?? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।