আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার রাজপথে ভরদুপুরে বাসের মাঝে ঝুলন্ত প্রেম পিরিতি কেন?

সোমবার সকাল ১১টা। বাসে উঠেছি, উদ্দেশ্য মিরপুর রোড ধরে সায়েন্স ল্যাবের দিকে যাবো। কিন্তু গাড়ি কলেজ গেটের কাছাকাছি গিয়েই হোচট খাওয়া শুরু করলো, মিরপুর রোডের সেই বিখ্যাত পাইপ বসানোর ফাঁদে। একসময় একেবারেই থেমে গেল। অসহ্য গরম।

আমি বসেছি বাসের ল্যাঞ্জার দিকে। কানে হেডফোন লাগিয়ে রেডিও শুনছি। সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। সামনে বসা সবার মাথা দেখা যাচ্ছে কিন্তু একদম সামনে একটা মেয়ের মুখ দেখা যাচ্ছে। মেয়েটি বাস ড্রাইভারের পিছনে টুলবক্সের উপর বসেছিলো অন্য সব যাত্রীর মুখোমুখি হয়ে।

গাড়ি দাড়িয়ে আছে, গরমে ঘামছি। সাথে আছে অনবরত মাইকিং রেসিডেনসিয়াল স্কুলের দুই পাশ থেকে। সমুদ্র বিজয় উপলক্ষে সমুদ্র কন্যাকে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সবাই সপরিবারে আমন্ত্রিত। সাথে একটা বিজয়ের গান।

গরমে তিতি বিরক্ত বাসের সকল মানুষ, এর মাঝে আরো বিরক্তিকর মাইকিং। যাত্রীদের অনেকেই কয়েক রাউন্ড হাসিনাকে গালাগালি দিয়ে ফেলল। ঘটনা কিন্তু শেষ হয় নাই। বাদুড় ঝোলা হয়ে রাজধানী বাসে অতিরিক্ত প্রায় ৩০-৩৫ জন ঝুলছে। মোটামোটি সবার নজর ঐ সামনে বসা মেয়েটার দিকে।

কারণ, মেয়েটা একটু পর পর মুচকী হাসি দিচ্ছিলো, ভেঙচি দিচ্ছিলো, ঘাড় বাকা করে এদিক ওদিক দেখা, একটু পর পর মোবাইলে কুট্টুস কুট্টুস কথা বলছিল। চোখে সানগ্লাস দিচ্ছিলো, আবার সেটা কপালে তুলছিল, আবার চোখে, আবার কপালে, আবার ভেংচি, আবার মুচকী হাসি, আবার জিহবা বের করে ........। নানা ভাবে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা। বুঝার চেষ্টা করছিলাম মেয়েটা কেন এমন করছে। বাসে বসা এবং দাড়ানো মানুষগুলো এতো বিরক্তির পরও মজা খুজে পাচ্ছিলো মেয়েটার অঙ্গভঙ্গির জন্য।

শেষ পর্যন্ত খুজে পেলাম, বাসের মাঝামাঝিতে দাড়ানো একটা ছেলের সাথে তার এমন ভাব বিনিময় হচ্ছিলো। চোখের ইশারায় কথা, ফ্লাইং কিস হাবিঝাবি আরো কত কি!!!! একটু পর পর ফোনে কথা বলা। সারাদিন কি তারা প্রেম করার সুযোগ পায় না? আরে বাবা, প্রেম করার আর জায়গা পাস না? কথা হচ্ছে, প্রেমের মরা জলে ডুবে না, আর এতো ঢাকার জ্যাম। বাসে শ খানেক মানুষের সামনে এতো লদকা লদকি করার কি আছে বুঝলাম না। লোকাল বাস ভ্রমণ নিয়ে আমার আগের পোস্ট।

লোকাল বাসে সামুর ২ ওজনদার ব্লগারের কথোপকথন  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।