আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ ভ্রাতা যদি একজন নারীর পরিবর্তে একটি গরু বাজিতে জিতে আনতো তবে কি আদেশ রক্ষার্থে /মাতৃভক্তির জন্য গরু খাওয়া সিদ্ধ হয়ে যেত?

পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! বিখ্যাত পঞ্চ পান্ডব অর্থাৎ যুধিষ্টির, অর্জুন, নকুল, সহদেব, ভীম প্রভৃতি পাঁচ ভ্রাতার পত্নী। একজন নারী পাঁচ ভ্রাতার স্ত্রী হবে কেন? তাও আবার একই ঔরসজাত ভ্রাতার। সে সময় কি নারীর অভাব ছিল? না সব প্রসূতিরা কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন? হিন্দু সমাজে বহু বিবাহ নেই। আবার বিধবা বিবাহও সে সময়ে সিদ্ধ ছিল না (বিধবা বিবাহের আইন চালু হয় রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগরের সময়কাল থেকে)। তাহলে পঞ্চ পান্ডবের সাথে দ্রৌপদির বিবাহ কোন অর্থ বহন করে? (সুত্রঃ কাশীদাসী মহাভারত- মহামুনি বেদব্যাস প্রণীত মূল সংস্কৃত থেকে পন্ডিত কাশীরাম দাস কর্তৃক বাংলায় অনূদিত, বেণীমাধব শীল ও প্রমথনাথ চট্টোপাধ্যায় কাব্যরত্ন কর্তৃক সম্পাদিত, মহাভারতের কাহিনী- বিধায়ক ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা নং- ১২১৩ এবং মহাভরতের চরিতাবলী- সূর্যদাস গুপ্ত, অবলম্বনে) পঞ্চালরাজার রাজ্যসভায় স্বর্ণ মৎসের চক্ষু ভেদ বাজিতে জিতে অর্জুন দৌপদ্রীকে লাভ করেছিল।

দৌপদ্রীকে বাড়ী এনে পুত্ররা মাতা কুন্তিকে আহ্বান করে বলল- এসো দেখ যাও কি এনেছি। মাতা কুন্তি না দেখেই উত্তর করল- যা এনেছ, তা পাঁচ ভ্রাতা মিলে ভাগ করে নাও। মাতার আদেশ রক্ষার্থে পাঁচ ভ্রাতা দৌপদ্রীকে বিবাহ করল। আর নারদ মুনি নিয়ম বেঁধে দিলেন যে, যখন পাঁচ ভ্রাতার একজন দৌপদ্রীর সাথে নিভৃতবাসে যাবে তখন অপর চার ভ্রাতার যে কেউ উক্ত কক্ষে অনুপ্রবেশ করলে তাকে শাস্তিস্বরুপ ১২ বছরের বনবাসে যেতে হবে। (আচ্ছা, মাতৃভক্তি কি এভাবেই করতে হয়; ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু থাকবে না; বাচ-বিচার বলে কিছু মানবে না।

বলুন তো, পাঁচ ভাত্রা যদি একজন নারীর পরিবর্তে একটি গরু বা কিছু অখাদ্য বস্তু বাজিতে জিতে আনতো তবে কি মাতৃভক্তির জন্য গরু খাওয়া সিদ্ধ হয়ে যেত? আর, সন্তানরা বরাবরের মত যদি শিকারে গিয়ে কোন পাখি শিকার করে আনতো আর মাও বরাবরের মত সেটাকে হত্যা করার আদেশ দিত, যাতে করে তড়িঘড়ি পাকের কাজটা সেড়ে উক্ত পাখির মাংস পরিবেশন করা যায়। কোন একদনি যদি সন্তানরা কাউকে হিংস্র প্রাণীর মুখ থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসত তবে কি মাতার আদেশে তারা সেই ব্যক্তিকে হত্যা করে ফেলতো? আপন আবেগ আর বিবেক কি মাতার ন্যায়-অন্যায় আদেশের উপেক্ষা করতে পারে না -তা তো নয়? এটা কল্প-কাহিনীতে স্বীকৃত হলেও ; কোন ধর্মে স্বীকৃত নয় যে, মাতার সকল আদেশ (ভাল-মন্দ) শিরধার্য্য!!!!) সূত্রঃ "ভ তে ভগবান ল তে লীলা" লেখকঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান http://www.oneallah.org/ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।