আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন গু খাইতায় রে বা সাদা গু না কালা গু

আজ একটা গল্প শুনাব। ঠিক যেন শেষ বিকাল এর মত বাবার চাকরির খাতিরে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৬ টা জেলায় ঘুরে বেরিয়েছি। হাজার রকম মানুষ দেখেছি। প্রতিটি জেলা নিজ নিজ বৈচিত্রে সমাদৃত। এই সব এলাকার আছে নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষা।

যেমন চট্রগ্রামের কথাই ভাবুন চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আপনাকে কেউ কিছু বললে বুঝতে আপনার ২ দিন সময় লাগবে আপনাকে আসলে কি বলা হয়েছে। কথা না ঘুরিয়ে মূল গল্পে আশা যাক। আমি তখন সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায়। নতুন এসেছি কিন্তু সেখানকার মানুষের মিশুক স্বভাবের জন্য বন্ধু তৈরি হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ঠিক সেই রকম একটা ছেলের সাথে আমার পরিচয় হল বয়সে আমার সমবয়সী একি সাথে একি স্কুলে একি ক্লাসে পড়তাম।

ওর সাথে আমার খাতির মনে হয় অন্য সবার চেয়ে একটু বেশিই ছিল। কারন টাও খুব জটিল না, ওর একটা প্লেস্টেশন ছিল আমার ও ছিল। এই সূত্র ধরে ওর বাসায় মাঝে মাঝেই আশা যাওয়া হত। গ্রীষ্মের ছুটিতে একদিন ওর বাসায় গেলাম। খেলার এক ফাকে দেখি চাচী মানে ঐ বন্ধুটির আম্মা রুমে খাবার ট্রে নিয়ে ঘরে আসলেন।

আমার কুশল জিজ্ঞাসের কিছুক্ষণ পর উনি আমার দিকে মিষ্টির বাটিটা এগিয়ে দিলেন। লোভাতুরা দৃষ্টিতে মিষ্টিগুলোর দিকে তাকালেও লজ্জার কারনে ওনার সামনে বললাম “চাচী কষ্ট করে এগুলো কেন আনতে গেলেন। আমি বাসা থেকে খেয়ে এসেছি। ” উনি এর জবাব এ বললেন-“কিতা কউ রে বা। ইতা অইত নি।

খাওরে বা খাও। আমি খাওায়া দিরাম। কউ কোন গু খাইতাই কালা গু না সাদা গু। ” শুনেই আমার মাথায় হাত। আমি কি কানে ভুল শুনলাম।

পরে আমি নিজের হাতে একটা মিষ্টি খেয়ে নিলাম। পরে অবশ্য জেনেছিলাম চাচীর কথার মানে হল “কোনটা খাবে সাদাটা না কালোটা। ” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।