আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

@লেখাটি একটু মন দিয়ে পড়ার অনুরধ রইলো @

জানতে চাই জানাতে চাই বিনা হিসাবে জান্নাত!! ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। আর তারা হলেন ঐ সমস্ত লোক যারা (তাদের অসুস্থতার সময় ) ঝাড়ফুঁক করে না বা কুলক্ষণে-শুভাশুভে বিশ্বাস করে না (রাস্তায় বের হয়ে খারাপ কিছু দেখে যাত্রা বিরতি দেয় এই মনে করে যে, আজ ভাগ্য খারাপ) এবং সর্বদা তাদের প্রভুর উপর ভরসা করে। বুখারি, হাদিস নং ৬৪৭২ হাদিস থেকে শিক্ষাঃ কারণ, তারা তাওয়াক্কুলের পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেছে। ঝাড়-ফুঁক দু ধরনের। শরিয়ত অনুমোদিত ঝাড়-ফুঁক আর শরিয়ত পরিপন্থী ঝাড়-ফুঁক।

যে সকল ঝাড়-ফুঁক কোরআন বা সহিহ হাদীস অনুযায়ী হবে তা জায়েয। আর যা এর বাহিরে হবে তা শিরক বলে বিবেচিত হবে। যারা জায়েয ঝাড়-ফুঁক-কেও পরিহার করে চলে এ হাদীসে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে । না জায়েয ঝাড়-ফুঁকতো শুধু তাওয়াক্কুলেরই খেলাফ নয়। তা তাওহীদেরও খেলাফ।

এ হাদীসে যে ঝাড়-ফুঁককে তাওয়াক্কুলের খেলাফ বলা হয়েছে তাহল জায়েয ঝাড়-ফুঁক। আর নাজায়েয ঝাড়-ফুঁক করলে তো তাওয়াক্কুল দূরের কথা ঈমানই থাকে কিনা সন্দেহ। যে সকল ঝাড়-ফুঁক বৈধ, তাহল, কোরআনের আয়াত, হাদীসে বর্ণিত কোনো দুআ দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা। কেউ এ রকম ঝাড়-ফুঁক করলে কোনো গুনাহ হবে না। যদি কেউ ঝাড় ফুঁকের জন্য আসে তখন তাকে বৈধ পন্থায় ঝাড়-ফুঁক না করে ফিরিয়ে দেয়াও ঠিক হবে না।

নিমক্ত হাদীস সুমুহ দেখার অনুরধ , "উন্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রাদ )বর্ণিত তিনি বলেন , রাসুল (স) যে অসুখে মারা গেলেন , সে অসুখে তিনি সুরা ফালাক ও নাস পড়ে নিজ শরীরে দম করতেন । যখন রাসুল (স) এর কষ্ট অতিরিক্ত বেড়ে যেত , তখন আমি তা পড়ে তার উপর দম করতাম এবং বরকতের জন্য তার হাতখানা গেয়ের উপর দিয়ে বুলিয়ে নিতাম । বর্ণনাকারী ,মা'মার বলেন , আমি যুহরীকে জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে তিনি দম করতেন । তিনি জবাবে বললেন , উন্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাদ) নবী করীম রাসুল (স) এর হাত দু'টির উপর দম করতেন । তারপর সেই হাত দু'খানা মুখের উপর মুছে দিতেন ।

( সহীহ বুখারী , চতুর্দশ অধ্যায় ) "হযরত আয়েশা (রাদ)হতে বর্ণিত বলেন , রাসুল (স) আমাকে বা অন্য কাউকে বদ নজর লাগলে ঝাড়ফুঁক করতে হুকুম দিয়েছেন "। (বুখারী) এই ছাড়াও বহু হাদীস বর্ণানা আছে যে , অসুখ হলে সুরা ফাতিহা , আল-মুবিয়াত সুরা সুমুহ পড়ে ঝাড়ফুকুর করতেন , "কালোঝিরা ও রাসুল (স) বর্ণিত মহা রোগের ওষুধ । কিন্তু আমরা অসুখ-বিসুখ হলে শরীরে তাবিজ ধারন করি এবং কুসংস্কার সম্পন্ন কবিরাজি চিকিৎসা (শরীরে ঝাড়ুপেটা) করি । যা কুরান-হাদীস পরিপন্থী কাজ । " আবু হোরায়রা কত্রিক বর্ণিত , রাসুল (স) বলেন বদ নজর লাগা এক বাস্তব সত্য এবং তিনি গায়ে উল্কি আঁকতে নিষেধ করেছেন , তোমরা ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বেঁচে থাক ।

আর তা হল আল্লাহ'র সাথে শিরক করা ও যাদু করা " ( বুখারী) উপরোক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় আমরা সেইভাবে ঝাড়ফুঁক করতে পারব যেইভাবে রাসুল (স) অনুমতি দিয়েছেন । অনেকে আছে শরীরে তাবিজ ধারন করেন এবং যাদু টোনা করেন যা শিরিক এবং আল্লাহ তা কোন অবস্থায় বরদাশত করবেন না । সবসময় আল্লাহ'র উপর ভরসা রাখা উচিত । আল্লাহ আমাদের বুঝার তওফিক দান করুন । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.