আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুয়েটের ভিসির Result Engineering এর কলংকিত নমুনা দেখুন। ভিসির পদত্যাগ নয় কেন?

এই ভিসি কেন তার পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন, সেটা নিচে দেওয়া হলো। প্রথমে ২টা আবেদন পত্র দেখুন। এই আবেদনে একজন অসুস্হতার কারণে একটা পরীক্ষা দিতে পারে নাই। সে বিভাগীয় প্রধানেরর সুপারিশ সহ ভিসি বরাবর আবেদন করে। উল্ল্যেখ, একটা বিষয়ের পরীক্ষাতে অনুপস্হিত থাকলে ঐ বিষয়ের গ্রেড F আসবে।

এবং পরবর্তীতে পরীক্ষা দিলে ঐ বিষয়ে B কিংবা B+ এর বেশি পাওয়া যাবে না, তাই কোনো ভালো ছাত্রছাত্রী যদি পরীক্ষা দিতে না পারে কিংবা F পেলে তাদের রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বুয়েটের নিয়মে শুধু একটা সাবজেক্ট withdraw করা যায় না, করলে পুরো সেমিস্টার করতে হয়। এই ব্যাপারে মাননীয় ভিসি মহোদয় লিখেছেন (১৭/০৮/২০১১) তারিখে, single course withdraw করা যায় কি? বিধি দেখুন। এইবার আসি ২য় আবেদনপত্রে। এটি ছাত্রলীগ দলীয় এক ক্যাডারের আবেদন, কোর্স withdraw এর আবেদন।

সাধারণত রেজিস্ট্রার কিংবা ভিসি বরাবার আবেদন করতে হয়ে যে কোনো চিঠি বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ সহকারে করতে হয়। এবং বিভাগীয় প্রধান ঐ চিঠি রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠান, সেখান থেকে ভিসি অফিসে যায়। এই পদ্ধতি মানা না হলে সে চিঠিগুলো ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এই ছাত্র সুপারভাইজার কিংবা বিভাগীয় প্রধানের অজ্ঞাতসারেই ভিসি বরাবর সরাসরি একটা আবেদন করে, এবং ভিসি মহোদয় সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় তার আবেদন মঞ্জুর করে, ছাত্রটি ৩০/০৭/২০১১ তারিখে আবেদন করে, এবং তৎক্ষণাৎ সেই দিনেই ভিসি ব্যবস্হা নিন বলে অনুমতি দিয়ে দেয়। এবং ঐ ছাত্রের কোর্সটি তার অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন থেকে বাতিল করা হয়।

তখন পর্যন্ত ব্যাপারটা বিভাগীয় প্রধান, সুপারভাইজার কেউ জানতো না। ঘটনাটা ধরা পড়ে পরের সেমিস্টারে রেজিঃ করার সময়। গত সেমিস্টারে অফার করা কোর্সটা ঐ ছাত্র আবার নিতে চাইলে সুপারভাইজার পুর্বের রেজিষ্ট্রেশন এর কার্ড এবং রেজাল্টের গরমিল দেখতে পেয়ে ব্যাপারটা সনাক্ত করে। ব্যাপারটা ধরা পড়ার পর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ভিসির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কেন এমনটা করলেন? তখন ভিসির জবাব, তিনি এই নিয়মটা জানতেন না। ( , এই ভিসি আগে পূর্ণ অধ্যাপক ছিলেন অনেক দিন, বিভাগীয় প্রধান ছিলেন, ফ্যাকাল্টির ডিন ছিলেন, আর তিনি নিয়ম জানবেন না, এতা কি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়?) তাহলে আর একজন ছাত্রীর আবেদন বাতিল করলেন কেন? তখন ভিসি নিরুত্তর।

বুয়েটের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো হয় নাই। বুয়েটের ঐতিহ্যে এই ভিসি কালিমা লেপে দিয়েছে। যে ভিসির কারণে বুয়েটের মান সম্মান কমছে, তাকে আর দরকার নাই। দলীয় বিবেচনায় ভিসি বুয়েটকে নিচু করছে দিন দিন। এই ভিসির কারণে কলংকিত হচ্ছে বুয়েট।

আর কয়দিন পর ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কোনো কর্মী/নেতা হয়ত ভিসিকে গিয়ে বলবে, আমি দলীয় কাজে পরীক্ষা দিতে পারি নাই, আমাকে পাস করিয়ে দেওয়া হোক, তিনটা এ প্লাস দেওয়া হোক, ভিসি তাই করবে। নিচে দেখুন ঐ ছাত্রের রেজিঃ কার্ড এবং গ্রেড শিটের গরমিল। ছবিগুলো বড়করে দেখতে চাইলে নিচের ফেসবুক লিংকে দেখুন। Click This Link ভিসির আরো কীর্তিকলাপ নিয়ে জানতে চাইলে আমার আগের এই পোস্ট পড়ুন। বুয়েটে আবারো শিক্ষক ধর্মঘট: দলীয় ভিসি, প্রোভিসি এবং একজন কামাল আহম্মদ এর কারণে বুয়েট যেভাবে ধ্বংস হচ্ছে।

বুয়েটের সর্বস্তরের শিক্ষকরা যখন ভিসির এমন দূর্নীতির প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তখন একটা নাম না জানা পত্রিকায় (দৈনিক জনতা) শিক্ষক সমিতির একজন নেতাকে হিজবুত তাহরীর ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভিসি। এবং ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে ঐ শিক্ষকের নামে বুয়েটে পোস্টার লাগানো হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা এখন স্যারদের মোবাইলে ফোন করে হুমকী দিচ্ছে, ধর্মঘট প্রত্যাহার করার জন্য। বুয়েটে ভিসির এই কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সাধারণ শিক্ষকদের নামে জঙ্গী, হিজবুত আর জামাতী ট্যাগ দেওয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভিসি। এতো কিছুর পরও বুয়েটের ভিসি আজকে প্রথম আলোতে বলেছে, শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে বুয়েটের উপাচার্য এস এম নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি।

তাহলে পদত্যাগ করব কেন? আর উপাচার্য, সহ-উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার। সরকার না চাইলে থাকব না। ’ আর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বুয়েট প্রশাসনের মিথ্যাচার দেখুন নিচের লিংকে। ভিসির Result Engineering এবং বুয়েট প্রসাশনের মিথ্যাচার বুয়েটের ফলাফল জালিয়াতি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশিত। -নিজের চোখে দেখে নিন গোপন রিপোর্ট।

B:-) B:-) B:-)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।