আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ মুজিব জাতির জনক, আর শেখ হাসিনা জাতির রক্ত চোষক

রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, শেখ মুজিব ভাল মন্দে একটা দেশপ্রেমিক বাঙ্গালিদের তালিকার প্রথম দিকে। তাকে আমার বিনীত শ্রদ্ধা, সব কালিমাটুকু বাদ দিয়ে। তিনি কিংবা জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে আমার ধারনা, আজকে আমরা এতটা বিভৎস্য সময় কাটাতাম না। আজকে বেড রুমে ঢুকে খুন করা হচ্ছে, আজকে অফিসে ঢুকে খুন করা হচ্ছে, ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে ফায়ার করা হচ্ছে, RAB বা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা নিজেরাই চাঁদাবাজি-খুন করছে।

কেন হচ্ছে সবাই জানে, কারা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাও সাধারণ মানুষ জানে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রক্ত পানি করে যে উপার্জন, দিনে শেষে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। ছিনিয়ে নেয়া খারাপ শোনায়, আসলে নায্য কর আরোপ করছে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। আজকে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না।

চাকরি শেষে পেনশনের ফাইল টেবিল পার হয়না। অন্যদিকে দেশের টাকা বিদেশে পাঠায়, নিজেদের অ্যাকাউন্টে ভরে ভবিষ্যতের জন্যে। কিংবা বস্তায় ভরে উপহার হিসেবে নেয়া হয়। আজ সংসদে বিল পাশ করতে নতুন আইন তৈরী করা হয়। নতুন আইন মানে নিজেদের মত নতুন করে সুবিধা আদায়।

নতুন নতুন পরিকল্পনা করে নতুন নতুন খাত তৈরি করা। নতুন খাত মানে কারি কারি টাকা। কেউ টাকার উপর শুয়ে থাকে, আর কেউ টাকার অভাবে কাফনের কাপড় কিনতে পারে না। ৭৫ জন দেশরত্ন সেনাসদস্য কে সরিয়ে ফেলা হল। নিজেদের লোকদের জায়গা মত অসীন করা হল।

আজ বর্ডারে শত শত তাজা জীবনের রক্ত স্রোতে জাতি চিন্তিত থাকে না। (জয় কে এক রাত বিএসএফ ক্যাম্পে আটকে রাখলেই বোঝা যেত) আজ দেশের মা বোনেরা বিদেশে পতিতাপল্লিতে বিক্রি হলে কিছু যায় আসে না। কারন তারও দেশে টাকা পাঠায়। দেশের ভেতরের পেট্রল, খাবার তেল, চামড়া, ভারি সামরিক অস্ত্র পাচার হলে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু দাদাদের ওপাশ থেকে গরু আসলেই সমস্যা। ওরা গরু আনতে যায় কেন, সেটাই তখন বড় অপরাধ।

যাই হোক কথার পিঠে কথা আসতে থাকবে। আমাদের মরা কান্না গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনার কানে যায় না। শেয়ার বাজারে শেষ রক্ত বিন্দুটুকু ঢেলে দিয়েও তার তৃষ্ণা মেটেনা। প্রতি মুহূর্তে তার রক্ত পিপাসা। রাস্তায় রাস্তায়, মেঘনায় বুকে কত এক্সিডেন্ট, কত লাল টকটকে রক্ত, তবুও পিপাসা মেটেনা।

সড়ক উন্নয়ন হয় না। দুইলেনের রাস্তা চার লেন হয়না। রেলখাত উন্নত হয় না। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন হয়। শান্তির মা মারা গেছে, দেশের মানুষের ইজ্জত গেছে, নদীমাতা হত্যা করা হয়ে গেছে, ভেজাল ওষুধে ডিসপ্নেসারী ভরে দেয়া গেছে, গ্যাস ব্লগ তুলে দেয়া হচ্ছে, নিজেদের কুকৃত্তি ঢাকতে বড় বড় ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়ে গেছে, আর কত ? আজ যদি শেখ মুজিব বেঁচে থাকত, এটা ভেবে সুখ পাই, উনি হয়ত বলেতেন, আহ! সে রাতে ওষুধের ডিসপেন্সারীটা কেন যে বন্ধ ছিল, নইলে একটা বার্থকন্ট্রলের ব্যবস্থা নিতে পারতাম... মুক্তি চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।