আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবে কি যুদ্ধাপরাধী, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদীরাই চক্রান্ত করে সুরঞ্জিতের এপিএসের গাড়ীতে ৭০ লাখ টাকার কান্ড ঘটালো!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রেলমন্ত্রীর এপিএসের টাকার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবসহ (এপিএস) তিন ব্যক্তিকে সারা রাত আটক রেখে সকালে ছেড়ে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার রাতে হঠাত্ করে বিজিবির সদর দপ্তরে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে সেটি আটক করা হয়। ওই গাড়িতে এই তিনজন ছিলেন। তবে ওই গাড়ির চালককে এখনো আটক রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। রেলওয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব) জি এম ইউসুফ আলী মৃধার বিষয়ে তদন্ত করবেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিং। এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের বিষয়ে তদন্ত করবেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) আখতারুজ্জামান। দুটি কমিটিকেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গাড়িতে যে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে, তা সরকারি টাকা কি না, জানতে চাইলে সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকারি টাকা নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ’ ওমর ফারুকের কাছে এতাটাকা কীভাবে এল জানতে চাইতে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত টাকা। রাতে টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় ওমর ফারুককে ‘ব্ল্যাকমেইল ও হাইজ্যাক’ করার জন্য গাড়ির চালক বিজিবি সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েন। গাড়িতে ওই সময় ইউসুফ আলী মৃধাও ছিলেন। ’ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় আইনে নিজের টাকা নিয়ে চলার অধিকার সবারই আছে।

যদি তাঁদের আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অর্থ পাওয়া যায়, এনবিআর তা খতিয়ে দেখবে। এটা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। ’ Click This Link ************************* সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত গত বছর যখন শেয়ার বাজার কেলেংকারী নিয়ে বললেন "বিড়ালকে শুটকির গুদামের চৌকিদার করা হয়েছে...."। এই ধরণের পরোক্ষভাবে সমালোচনা করলেও হাসিনার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বললেন না। কারণ উনি বলে দিয়েছের "বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, কিন্তু হাসিনা ছাড়ে না"।

আগাচৌর কাছে উনি বলেছেন হাসিনাকে বেশী কিছু বলতে গেলে পরের বার আর নমিনেশন পাওয়া যাবে না। এই যখন কথা তখন বিভিন্ন মানুষ বলত উনি আর ওবায়দুল কাদের যেহেতু কোন মন্ত্রী নন তাই এক-আধটু চমকপ্রদ কথা বলেন। ঠিকই যে সুরঞ্জিত রেল ও ওবায়দুল যোগাযোগ মন্ত্রী হলেন তখন কিসের পরোক্ষ সমালোচনা বিরোধী দলকেই বিশেষ করে সুরঞ্জিত বাবু একচোট নিলেন। গত কয়েক সপ্তাহে কিছু বিচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় সুরঞ্জিত বাবু অতিরঞ্জিত করে বললেন যে দেশে নাকি আবার মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। উনি যতই আলীগ করেন উনি একজন শিক্ষিত, জ্ঞানী ও দক্ষ ব্যাক্তিত্ব।

উনার মুখে যখন এই ধরণের বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত কথা শোনা যায় তখন হতাশা ছাড়া জাতি আর কি পেতে পারে? কিন্তু এখন বাবু গুরুত্বপূর্ণ পদের ফুল মন্ত্রী হওয়াতে উনার আনন্দ কে ঠেকায়। তাই ইচ্ছাই হৌক আর অনিচ্ছাতেই হৌক উনি যা মুখে আসে সেটাই বলা শুরু করলেন। উনার এই আনন্দের পিছনে কি বৈ কি অবৈধ আয় বৃদ্ধিও যে একটা কারণ সেটা কম-বেশী সবাই বুঝে। গত সোমবার রাতে একটি গাড়ীতে ৭০ লক্ষ টাকা সহ সুরঞ্জিত বাবুর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার সহ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তা বিজিবির সদর দফতরে আটক হয়ে সারা রাত সেখানে থাকেন। সুরঞ্জিত বাবু এখন বলছেন যে এটা তার এপিএসের ব্যাক্তিগত টাকা।

মজার কথা হল বাবু বলছেন গাড়ীর ড্রাইভার নাকি টাকা লুটের জন্য বিজিবি সদর দফতরে ঢুকে পড়ে। যেখানে এত নিরাপত্তা সেখানে একজন ড্রাইভার কিভাবে এত ঝুকি নেয়? আর ড্রাইভারও জানে এরা মন্ত্রীর লোক সে সহজে কিভাবে পার পাবে? আমরা দেখেছি যে শাওন এমপির গাড়ীর ভিতর তারই পিস্তলের গুলিতে আলীগ কর্মী ইব্রাহিম নিহত হলে দোষ পড়ে সেই গাড়ীর ড্রাইভারের উপর। পদ্মা সেতু নিয়ে র্দূনীতির অভিযোগ উঠলে দুদক বলে তারা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোন আপত্তিকর কিছু পায়নি। এই যদি হয় অবস্থা তখন সুরঞ্জিতের এপিএসের কাছ হতে ৭০ লক্ষ টাকা বড় কিছু নয়। বরং দেখা যাবে সেই গাড়ীর ড্রাইভারই দোষী।

আরো তদন্ত করলে জানা যাবে এটা তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র, যারা সাধু সুরঞ্জিত বাবুকে ফাসানোর জন্য এই নাটকের আয়োজন করছে! সুরঞ্জিত বাবু এ ধরণের কোন র্দূনীতি করতেই পারেন না। ব্লগার ভাইরা কি বলেন!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।