আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হনু এবং খনু পাগলী। - শুধুমাত্র বুদ্ধিমানরা প্রবেশ করুন

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত কথা বলা এবং প্রাকৃতিক বড় কর্ম সাধনের মধ্যে বিশেষ কিছু মিল আছে। কোষ্টকাঠিন্য হলে আপনি চাইলেও কর্ম সম্পাদন করিতে পারবেন না। কথা বলাও তদ্রুপ। মোদ্দা কথা আপনার পেট ক্লিয়ার থাকতে হবে। সে অর্থে আমরা একজন গ্যাসবিহীন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি।

বলুন হক মাওলা। সমবেত স্বরে বলতে হবে কিন্তু। কথাতো অনেকেই বলে ক'জনের কথা নিয়ে গবেষনা বা আলোচনা হয়? আমাদের গ্রামের হনু পাগলী ছিল সাথে ছিল আরেক পাগলী খনু পাগলী। হনু পাগলী কিছুটা শিক্ষিত। পাগলী হবার আগেই পাঁচ কেলাস পড়েছে।

অন্যদিকে খনু পাগলী স্কুলে যাবার আগেই পাগল হয়েছে। তারাও কথা বলে, কিন্তু আলোচনাতো আর হয় না। ছেলেপেলে অবশ্যই এসব পাগলীর কথার পর বলতো "পাগলা কামড়ে দে"। এই দুই পাগলীর মধ্যে আবার তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। যাই হোক পাগলীরে কথা ডিটেইলসে পরে আসছি।

আগে কিছু কথার কথা বলি। সে অনেকদিন আগের কথা। বাংলার বুকে জন্মনিয়েছিলেন এক কথা শিল্পী। কে জানত ইনি একদিন দেশের শ্রেষ্ট কথা শিল্পী হবেন। এইযে পাঠক আপনাকেই বলছি "কথা শিল্পী বলতে কি বুঝতে পারছেন? না না লেখক জাতীয় কিছুই না।

কথা শিল্পীর সংজ্ঞাটা তাই দেয়া প্রয়োজন "যে ব্যাক্তি (নারীও কি ব্যাক্তি হয়!), জানিয়া শুনিয়া-বুঝিয়া, সাজিয়া, আরও হাজার "ইয়ে" যোগ করিয়া তাহার জিহবা তলোয়ারের মত চালান তিনিই কথা শিল্পী"। এই কথা শিল্পীর কারনেই পত্রিকাগুলো খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। নইলে কবেই সাংবাদিকরা সং সেজে দিক-বেদিক ঘুরতো। যাই হোক উনি সাংবাদিক নিয়েও কথা বলেছেন। তার দুটি উক্তি এখানে হুবুহু তুলে দিচ্ছি (উনার কথা হুবুহু না তুললে পাঠকরা কথার অর্থ ধরতে পারবেন না)।

উনি বলেছেন "পত্রিকা টিভি গুলো সত্য মিথ্যা মিশিয়ে যা ইচ্ছা বলে"। আধুনিক সাংবাদিকতায় সত্য এবং মিথ্যের যে সাংঘর্ষিক সম্পর্ক তাতে উনার এই উক্তি বিশেষ দরজা খুলে দিয়েছে। দরজা বলতে আবার কেবল বেডরুমের দরজা ভাববেন না। ও হ্যাঁ, বেডরুম নিয়েও উনি কথা বলেছেন, উনি বলেছেন "সরকারের পক্ষে বেডরুম পাহারা দিয়া সম্ভব নয়"। উনার এই উক্তিতে বুঝা যায় উনি কতটা সত্যবাদী।

বেডরুমের মত এত ছোট একটা জিনিস সরকার পাহারা দিবে কেন? সরকার পাহারা দিবে স্টেডিয়াম। ও হ্যাঁ উনি কিন্তু স্টেডিয়ামেও যান। বাংলাদেশের খেলা দেখেন। খেলা কেবল দেখেননি বাংলাদেশের হারের পোষ্টমর্টেম তৈরি করে উনি জানিয়েছেন "হারের কারন খালেদা জিয়া"। শ্রীলংকা যখন দক্ষিন আফ্রিকায় হারে তখন সে দেশের বোর্ড হারের কারন খুজতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

অথচ আমাদের দেশ প্রধান চিন্তা করেই বের করে ফেলেছেন সব। হালা বলদ লংকান। উনি বলেন নাই পৃথীবির এমন কোন বিষয় আপাতত নাই। উনি কি বলেছেন এটা না খুজে বলা উচিত উনি কি বলেন নাই? সারাদেশের মানুষ লোডশেডিং নিয়ে অনেক কথা বলেন। গোপনে বা প্রকাশ্যে সরকারকে গালি দেয়।

আসলে এই জাতি বেয়াদব জাতি। তাদের কিচ্ছু মনে থাকে না। তাই তিনি হয়ে গেলেন বিদ্রোহী, বললেন "লোডশেডিং-এর দরকার আছে, মানুষ যাতে ভুলে না যায় লোডশেডিং নামে কিছু একটা ছিল” "যারা বিদ্যুতের উৎপাদন দেখে না তাদের সমালোচনার কারণে মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে, আমরা যে তিন হাজার ৩০০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তা বন্ধ করে দিই। তারপর দেখি কী হয়?" তিনি যোগ করেন। তবে এটা মনে মনে।

(শব্দ ভান্ডারের কমতির কারনে পুরো লাইনটা ঠিকভাবে আসেনি)লাইনটা হবে এমন "বাছারা বুঝছোনাতো লাইট অফ কইরা দিলে মামা বুঝবা ঠ্যালা ভুল জায়গায় হস্তক্ষপের(?) জ্বালা" আচ্ছা যাই হোক উনার সর্বশেষ ডেলেভারী মানে কথার ডেলিভারী আরকি "সু'চিকেও আমার মতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। " কতটা মহান হলে সূচীর সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারেন। শ্রদ্ধায় আমার মাথা নুইয়ে যাচ্ছে। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এইজন্য লেখাটা ভাল হচ্ছে না।

বারবার মাথাটা উপরে তুলছি। যাবার আগে এলাকার দুই পাগলীর ছোট্ট একটা ঘটনা- দুই পাগলী পছন্দ করতো এলাকার সবচে হ্যান্ডসাম যুবককে। যুবক দেখতে চিরসবুজ নায়কের মত। সহজ সরল যুবক দুই পাগলীর পাগলামি বুঝত না। পাগলীদ্বয় যতটা না পাগল তারচে বেশী যুবকের জন্য মাতাল।

সুযোগ বুঝে খনু পাগলী যুবকের মাথার ক্যাপ খুললো, হনু পাগলী নিজের সুযোগ মত শার্টটা খুলে ফেল। এবার আবার খনু পাগলীর পালা। এবার সে যুবকের বেল্ট খুলে প্যান্ট এর অবস্থান নড়বড়ে করে দিল। সুযোগ বুঝে হনু পাগলী প্যান্টটা টেনে খুলে পাশের গ্রামের মনা পাগলাকে পড়তে দিলো। প্যান্টবিহীন যুবকের কান্না করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

এত অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খনু পাগলী। (পরের পর্বে দুই পাগলীর প্রতিদন্ধিতার গল্প বলবো) পোষ্ট কৃতজ্ঞতাঃ নোমান নমি ভাই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।