আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যত গুণ মাশরুম, মাশরুমের যত গুন !

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মাশরুম তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও তেমন পরিচিতি পায়নি। তবে আশার কথা হলো পুষ্টিগুণে ভরা উপাদেয় মাশরুমকে জনপ্রিয় করার জন্য সরকারিভাবে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাশরুম পুষ্টিগুনে অনন্য। রোগেই দাওয়াই হিসেবে মাশরুমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখলে রোগ-বালাই থেকে দূরে থাকা যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক মাশরুমের পুষ্টিগুনের কথা। মাশরুম শরীরের জমাকৃত কোলেস্টরাল মুক্ত করে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, টিউমার, মেদভূড়ি, জন্ডিস, রক্তসল্পতা, ডেঙ্গু জ্বর প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধক ও নিরাময় করে। মাশরুমের খাবার : মাশরুম ফ্রাই, মাশরুম মাংস, মাশরুম মাছ, মাশরুম সবজি, মাশরুম স্যুপ, মাশরুম নুডুল্স, মাশরুম ওমলেট, মাশরুম ভর্তাসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড মাশরুমের জনপ্রিয় সু-স্বাদু খাবার তৈরি করা যায়।

মাশরুমের পুষ্টিগুন : মাশরুমে আমিষ আছে ২৫-৩০%, চর্বি ৫-৬%, ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ ৫৭-৬০%, শর্করা ৪-৬%। মাশরুমের ঔষধিগুণ : পুষ্টিগুনের পাশাপাশি মাশরুমের রয়েছে ঔষধিগুণও। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল, এমন সমন্বয় আছে যা শরীরে ‘ইমিউনি সিস্টেম’কে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আশঁ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।

মাশরুমের আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন এবং এনটাডেনিন। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি, যা শিশুদের দাত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত উপকারি। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড ও লৌহ তাই মাশরুম খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। এছাড়া লিংকজাই-৮ পদার্থ থাকায় হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

মাশরুমে আছে বি-ডি গ্লুকেন, ল্যাম্পাট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন, যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে। ট্রাইটারপিন থাকাতে এটি বর্তমান বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এডিনোসিন থাকায় এটি ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধক। স্ফিঙ্গলিপিড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ রাখে। মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন দূর হয় এবং মেরুদন্ড- দৃঢ় রাখে।

মাশরুমে আছে প্রচুর এনজাইম, যা হজম শক্তি ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে নিউক্লিক এসিড এবং এন্টি-এলার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি প্রতিরোধক। সালফার সরবরাহকারী এমাইনো এসিড, এটি নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে। বিদেশে মাশরুম ‘ঔষধ, টনিক ও খাদ্য ’ একের ভিতরে তিন হিসেবে পরিচিত। একটি মাত্র খাদ্য থেকে আমরা এতো উপকার পেতে পারি, তাই মাশরুমকে অবহেলা না করে আসুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখার অভ্যাস গড়ে তুলি।

View this link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।