আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আবার ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মারকান্ডে কাতজু। হায়দ্রাবাদে ‘রিপোর্টিং টেরর: হাউ সেন্সেটিভ ইজ মিডিয়া’ শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামের প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন কাতজু।
পাকিস্তানকে “ভুয়া দেশ” হিসেবে উল্লেখ করে বিচারপতি মারকান্ডে কাতজু দাবি করেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একদিন ভারতের সঙ্গে এক হয়ে মিশে যাবে। এ জন্য ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগতে পারে। তিনি আরো দাবি করেন, যারা ভারতকে ভাগ করেছিল তারা সহজে এ দু’দেশকে ভারতের সঙ্গে এক হতে দেবে না।
ভারতকে যারা ভাগ করেছিল তারা এখন এ সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিচারপতি মারকান্ডে কাতজু বলেন, ভারত যেন শক্তিশালী শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হতে না পারে যে জন্য হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে রেখেছে ব্রিটিশরা।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের তিক্ত বাস্তবতা হলো- ভারতের শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু এবং ৮০ ভাগ মুসলমান সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে নানা পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত কেউ সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ছিল না।
Click This Link
*************************
যারা বাংলাদেশে সেক্যুলারিজম তথা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অস্থির তাদেরকে প্রায়ই দেখি এটা বলতে "১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ ভুল ছিল তথা অখন্ড ভারতই ঠিক"! এরাই আবার ১৯৭১ নিয়ে লম্ফজম্ফ বেশী করে।
আমার কাছে ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ = বাংলাদেশ। তাই আমাদের ৯০% জনগণ যতদিন নিজেদের মুসলমান দাবী করবে ততদিন ভারতকে আলাদা মনে করবে। সংবিধানে "সর্ব শক্তিমান আল্লাহর উপর বিশ্বাস" কথাটি ফিরিয়ে আনা পূর্বক তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে দেওয়া জরুরী। সংবিধানে একসাথে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম কথা থাকা অযৌক্তিক। কিন্তু ভারতের তাবেদার আলীগ ভন্ডামি করে এই কাজ করছে।
আলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে ভারতের শাসক ও এলিটরা বাংলাদেশকে আলাদা রাষ্ট্র মনে করে না। আলীগ যতদিন না তার ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি ও ভারতের তাবেদারী মনোভাব না বদলাবে ততদিন বাংলাদেশের পুনরায় ভারতে বিলীন হওয়ার সুযোগ থাকবে। ভারতের এই সকল এলিটদের কথাগুলো সেটাই নির্দেশ করে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।