আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইরানী মহিলা নিনজাদের নিয়ে খবরের আড়ালের খবর ! কি ঘটছে !

ইরান ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের মহিলা ক্রীড়াবিদদের সম্পর্কে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে দেশটির সংস্কৃতি ও ইসলামি দিকনির্দেশনা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মন্ত্রণালয়ের বিদেশি গণমাধ্যম বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাওয়াদ অগাজারি সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানিয়েছেন। যে প্রশ্নটি এখানে মুখ্য আর তা হচ্ছে রয়টার্স যে দাবী করেছে ইরানী মহিলা নিনজারা গুপ্ত ঘাতক হিসেবে কাজ করছে - এ দাবীর সত্যতা বা ভিত্তি কতটুকু। একে কি তাহলে হলুদ সাংবাদিকতা বলা যায়।

তিনি বলেছেন, রয়টার্স ইরানের মার্শাল আর্টিস্টদের বিষয়ে যে ভিডিও ক্লিপ তৈরি করেছে তাতে ওই সব ক্রীড়াবিদকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘাতক হিসেবে হাজার হাজার নিনজা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, এই শিরোনাম দিয়ে ভিডিও ক্লিপটি সরবরাহ করা হয়েছে। বিদেশি মিডিয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইসলামি বিধিবিধান মেনে ইরানি নারীরা ক্রীড়াঙ্গনে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে ইরানের একদল মহিলা, বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে রয়টার্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার করার হুমকি দিয়েছিলেন।

গত মাসে রয়টার্স ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কয়েকজন ইরানি মহিলা ক্রীড়াবিদের প্রশিক্ষণের ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করেছিল যে, ইরান সম্ভাব্য বিদেশী হামলাকারীদের হত্যার জন্য তিন হাজারেরও বেশি মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ব্রিটেনের আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন প্রচার করে। ইরানের সংবাদ মাধ্যম ওই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানালে রয়টার্স প্রতিবেদনটির কিছু অংশে পরিবর্তন আনে, কিন্তু মানহানির জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে। ইরানের মার্শাল আর্টিস্ট ওই মহিলারা বলছেন, ইতোমধ্যে তাদের সম্মান হানি হয়েছে, তাই তারা মানহানির জন্য মামলা দায়ের করছেন। তারা বলছেন, রয়টার্সের সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করেছিলেন যে ইরান হামলার সম্মুখীন হলে তারা কি করবেন?-এর উত্তরে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন রয়টার্স তাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে তাদের গুপ্ত ঘাতক বা সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে।

খাতের জালিলজাদেহ নামের একজন ইরানী মহিলা ক্রীড়াবিদ আমাদের প্রতিনিধিকে বলেছেন, "রয়টার্সের একজন মহিলা সাংবাদিক আমাদেরকে মাত্র একটি প্রশ্ন করেছিলেন যার উত্তর ছিল খুবই স্পষ্ট। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের যে কোনো স্থানে যে কোনো ব্যক্তি হামলার মুখে নিজ দেশের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবেন, কিন্তু ওই মহিলা আমাদের বক্তব্যকে বিকৃত করে আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরে খবরের শিরোনাম করেছেন। " তিনি আরও বলেন, "আমরা যারা নিনজুৎসু শিখছি তারা এটাকে খেলা বা ক্রীড়া হিসেবেই উপভোগ করছি, এটা শরীরকে ফিট রাখার চর্চা মাত্র। কিন্তু রয়টার্স আমাদের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছে। "# ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.