আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইন আয় সম্পর্কে আমার মজার অভিজ্ঞতা এবং ধোকাবাজীর নমুনা!!!

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত। আমি একজন লেখক হিসেবে অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে কোনোই আগ্রহ নেই আমার, কারণ আমি এমনিতেই ছড়া-কবিতা গল্প লিখে ভালোই সম্মানী বিশেষত প্রতি প্রবন্ধেই পাই ২/৩ হাজার টাকা করে। যেটা অনেক কম পরিশ্রমের এবং অনলাইনের আয় থেকে অনেক বেশী বলেই আমার কাছে মনে হয়।

তবে অনেকেই এর থেকেও বেশী অনলাইন থেকে আয় করে থাকেন বলেও আমার ধারণা। আমার চাকরী তথ্য্ ক্যাডারভুক্ত হওয়ায় এমনিতেই আমাকে অনলাইনেও কিছু কাজ করতে হয়। ফলে এভাবেই কাজের অজুহাতে আমি বহু ব্লগিং সাইটেরও সদস্য হিসেবে মাঝে মাঝে বা সুযোগ পেলেই অনলাইনে ঢুকে পড়ি। এমনকি মনের আনন্দে বা সখ হিসেবে জনপ্রিয় অনেক সাইটও বানিয়েছি (যেমন দেখতে পারেন-এখানে ক্লিক )। অনলাইন আয় সত্য না মিথ্যা এমন প্রশ্নের কবলে পড়ে আমি সখের বশে বিভিন্ন আরনিং সাইটেও নিবন্ধন করে এক সময় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকি এবং এখনো করছি।

তবে এ আয় সত্য এবং সম্ভবপর হলেও এতে রয়েছে যথেষ্ট প্রতারণাও, এটা নিশ্চিত হয়েছি। এ বিষয়ে সম্পর্কে আমার মজার অভিজ্ঞতা এবং ধোকাবাজীর কিছু চিত্র তুলে ধরছি--- আমার মতে প্রধানত কয়েক ধরনের আয়ের সাইট আছে-- ১। পিটিসি বা ক্লিক সাইট যেখানে ক্লিক করে আয় করা যায় সামান্য কয়েক সেন্টমাত্র--যা সর্বাধিক ১ ডলার পরযন্ত হতে পারে। এর বেশী দেয় বলে দাবীকারীরা ভূয়া ধোকাবাজ বলেই আমার মনে হয়। তবে পিটিসি সাইটের ৯০% ভূয়া বলেও আমার মনে হয়েছে--।

। বিজ্ঞাপনে ক্লিক বা ইমেইল চেকিং করেও আয় হতে পারে। ২। চাটিং করেও আয় হয়, যা পিটিসি'র চাইতে হাজার গুণ ভালো আয় দেয়। এর মধ্যেও ভুয়ামী আছে-।

আমি নিজেই অবশ্য মজা করে একটা চাটিং রুম খুলেছি চাটিং করার শর্ত অনুযায়ী-যা বিশ্বস্ত ও সঠিক বলেই মনে হয়, বিভিন্ন দেশের .যারা টাকা তুলেছে বলে দাবী করছে-- তাদের কথা অনুযায়ী দেখতে পারেন---এখানে ক্লিক করুন । ৩। গেম খেলেও আয়ের সাইট আছে---এখানেও ভুয়া সাইটের ছড়াছড়ি আছে। ৪। আর্টিকেল লিখে, অনুবাদ করে, রেফারেল প্রচার.ইত্যাদির দ্বারাও আয় করা যায়।

৫। এর বাইরেও সঠিক আয়ের সাইট থাকতে পারে, যা আমার জানা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো---টাকা উত্তোলন নিয়ে, যেখানে ধোকাবাজীর শেষ নেই। (ক) ব্লগিং সাইটগুলোতে বাংলাদেশের অনেকেই পেপল একাউন্টের কথা প্রচার করে যে, বাংলাদেশে তাদের এই একাউন্ট আছে এবং তারা টাকাও তুলেছে--যা ১০০% ভুয়া বলেই আমি মানি। তারা কেনো এতোবড় ধোকাবাজী করে--আমি বুঝিনা।

কারণ বাংলাদেশ সরকার পেপলের সাথে চুক্তিবদ্ধও যেমন হয়নি তেমনই এদেশে এই একাউন্ট খোলার সুযোগও নেই সেই সিস্টেমে। যেমন--পরিচিতি নাম-ঠিকানা দেবার পর দেশ নির্বাচনের সিস্টেম আসে যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্বই নেই, তাহলে?? প্যান অপশনে নির্দিষ্ট দেশের কাস্টম সারটিফিকেট দিতে হয়--তাহলে?? আবার ভিসা বা মাস্টার কার্ডের তথ্য দিতে হয়, যা দেয়া সম্ভব নয়--তাহলে?? আপনার মোবাইল নম্বরও দিতে হবে--যা দেয়া সম্ভব নয় অটো সিস্টেমের কারনে--তাহলে??? এলারটপে বা মানি বুকারস একাউন্টের মাধ্যমে অনেকেই টাকা উঠাতে পারে---এটা ঠিক আছে। আন্তজাতিক ভিসা বা মাস্টার কার্ডের দ্বারাও টাকা তোলা বা লেনদেন করা যায় কিন্তু পেপলের নামে কেনো এই ধোকাবাজী!! যাহোক, আমার ভুলও হতে পারে তা সংশোধনযোগ্য; যারা সঠিক তথ্য জানেন বিশেষ করে নিজ্ ব্যাঙ্ক একাউন্ট, ক্রেডিট কাড, এলারটপেতে বা.মানিবুকারসের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা আনার বিষয়ে---তারা শেয়ার করবেন এখানে। আমিও সত্য জানতে চাই যে, আসলেই আমাদের অনেক লোক অনলাইনে টাকা কামানোর পর ভুতের বেগার খাঁটা নয় আসলেই. অনলাইনের টাকা আনছে এদেশে--যা গরবের বিষয় বটে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।