আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক অজানার পথে পাড়ি (ভিডিও)

মহাকাশের রহস্যের জাল ভেদ করতে এত দিন সৌরজগতের অভ্যন্তরেই ছিল মহাকাশবিজ্ঞানীদের পদচারণ। তবে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সৌরজগতের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা। আর এ ক্ষেত্রে সফল হওয়ার পথে বলে দাবি করছেন তাঁরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে ৩৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার উেক্ষপণ করা নভোযান ভয়েজার ১।
গবেষকেরা বলছেন, যেকোনো দিন বা বড়জোর আরও কয়েক বছর লাগতে পারে।

এর পরই সৌরজগতের সীমা অতিক্রম করে যাবে মানুষের তৈরি কোনো মহাকাশযান।
ঠিক কবে নাগাদ ভয়েজার সৌরজগতের সীমা ছাড়াবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও গবেষক এড স্টোন জানিয়েছেন, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ খুব নিকটেই। এখন সৌরজগতের এক প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে ভয়েজার ১।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে সাড়ে ১৮ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এ নভোযানটি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌরজগতের বাইরে গিয়ে মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিকের উন্মোচন ঘটাতে দীর্ঘ অপেক্ষা শিগগিরই শেষ হবে।


এর আগে ২০১২ সালে এজ স্টোন জানিয়েছিলেন, মহাকাশযানটি সৌরজগতের শেষ সীমায় অবস্থান করছে। সে সময় চার্জিত কণার একটি বিশেষ অঞ্চলে ভয়েজার ১ অবস্থান করছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সূর্যনিঃসৃত কণিকার প্রবাহ বহির্মুখী না হয়ে বরং পার্শ্বমুখী হচ্ছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ভয়েজার ১ নক্ষত্ররাজির মধ্যকার মহাশূন্যের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করছে। সম্প্রতি গবেষক জানিয়েছেন, বিশেষ এ অঞ্চলটি পার হয়ে আরেকটি হালকা কণার বিশেষ স্তরে প্রবেশ করেছে ভয়েজার ১।

এ অঞ্চলটি বিশেষ চৌম্বক স্তরের। গবেষকেরা ধারণা করছেন, এ বিশেষ স্তরটিই হচ্ছে সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বাইরের স্তর। তবে এই অঞ্চলটির বিস্তৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাঁদের।
১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভয়েজার ১ পৃথিবী থেকে উেক্ষপণ করা হয়। ৩৫ বছর ধরে সৌরজগতের অজানা রহস্যের সন্ধান দিয়ে যাচ্ছে মহাকাশযানটি।

গবেষকেরা বলছেন, সৌরজগতের মায়া কাটিয়ে ভয়েজার মহাশূন্যের এমন জায়গায় পৌঁছেছে সেখান থেকে পাঠানো তথ্য পৃথিবীতে আসতে সময় লাগছে ১৭ ঘণ্টা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) নভোযান ভয়েজার ১ সৌরজগতের এমন একটি অংশে প্রবেশ করেছে, যা গবেষকেদের কাছে অজানা। এখানে নভোযানটির ওপর সূর্যের প্রভাবের চেয়ে মহাজাগতিক অন্য প্রভাব বেশি কাজ করছে।
বিজ্ঞানী এড স্টোন বলেন, ‘দিন, মাস, বছর পেরিয়ে ভয়েজার ১ অবশেষে কোনো একসময় পৌঁছে যাচ্ছে মহাশূন্যের নতুন কোনো স্থানে। পৃথিবীর কোনো বস্তুর সৌরজগতের সীমানা অতিক্রমের বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের নতুন এক মাইলফলক হতে হতে চলেছে।


গবেষকেরা ধারণা করছেন, এ নভোযানটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে সক্ষম হবে। এরপর অজানার পথে পাড়ি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এসি+৭৯৩৮৮ নামক নক্ষত্রের দিকে ছুটতে থাকবে এ নভোযানটি। কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া ৪০ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে দুই আলোকবর্ষ দূরের এ নক্ষত্রটির দিকে ছুটে যাবে মানুষের তৈরি এ নভোযান।
ভয়েজার ১-এ রয়েছে মানুষ ও পৃথিবী-সম্পর্কিত তথ্য।

কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী হয়তো একদিন এ তথ্য সংগ্রহ করতেও পারে!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।