আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছি: নারী হারাম!

খুব জানতে ইচ্ছে করে...তুমি কি সেই আগের মতনই আছো নাকি অনেকখানি বদলে গেছো... ধনরঞ্জন দত্তের খুব মন খারাপ। সাধারনত মন খারাপ হলে মন্দিরে পুরোহিতের কাছে যায়। ইদানিং তার ব্যবসা বাণিজ্য খুব খারাপ যাচ্ছে। সে যা ধরে সেটাতেই মার খাচ্ছে। একজন বললো শনির দশার জন্যই হচ্ছেনা।

এবার ধনরঞ্জন মন্দিরের পুরোহিতের কাছে গেলে পুরোহিত গোপনে বললো শোন ধনরঞ্জন তোমার কি সাবালিকা মেয়ে আছে। ধনরঞ্জন আঙ্ঘে মহাশয় আছে তো। যাও ওকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে এসো । কিন্তু ক্যান। কোন প্রশ্ন নয় ।

যা বলি তাই কর। ধনরঞ্জন মনে মনে ভাবে না ষার্টোর্ধ্ব পুরোহিত তার কি আর কুমতলব থাকবে। কিন্তু পুরোহিত সাহেব যেভাবে মন্দিরে মেয়ে মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দিল। এখন যদি মেয়েটারে রাতের অন্ধকারে মন্দিরে নিয়ে গেলে কারো চোখে পড়ে তাইলে মহা ক্যালেঙ্কারি বেধে যাবে নে। শেষে পুরোহিতের জাত যায় কিনা।

ধনরঞ্জন বহুত চিন্তাভাবনা করে বাড়ি ফিরে তার মেয়েকে নিগুমে ডেকে বললে "মেয়ে সানন্দে রাজি হয়ে গেল"। ধনরঞ্জন এবার তার বউয়ের কাছে গোপন রেখে মেয়েকে নিয়ে রাতে মন্দিরের দিকে রওনা দিলো। ওমা মন্দিরে গিয়ে দেখে ধনরঞ্জনের মেয়ের মতো অনেকেই মন্দিরে পুজো দিতে গেছে। ধনরঞ্জনেরতো মাথায় হাত। সর্বনাশ।

এইবার কি হইবে। ধনরঞ্জনের বেগতিক দেখে পুরোহিত বললো যাও মেয়েকে নিয়ে পুজো দিয়ে আসো। আমি নারি বিদ্বেষি তাই বলে এই না যে মেয়েরা রাতের বেলায়ও মন্দিরে পুজো দিতে পারবেনা। । পুণশ্চ: একধরেনের নারি বিদ্বেষি মানুষ আছে যারা নারিদের সাথে মিটিং করে এসে বলে না রাজপথে নারীদের বেহায়াল্লাপনা মেনে নেয়া যায়না।

নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু নারীকে মহাশয়ার চেয়ারে বসে মিটিং করতে তাদের বিবেকে বাঁধেনা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।