আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজত না শাহবাগঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বা সরকারের ভবিষ্যৎ

বিক্ষিপ্ত ভাবনা শুরুতেই বলে রাখি, আমি একে (বর্তমান দ্বন্ধ) যুদ্ধ বলছিনা বরং সংগ্রাম বলছি। স্বাধীনতা অর্জনের পর বংগবন্ধু ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দেশকে মোটামুটি মিশ্র ভাবেই চালিয়ে ছিলেন। ধর্ম, শাসন ব্যবস্হা এর মিশ্রন ছিল সব ক্ষেত্রেই যদিও সংবিধান ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু ১৯৭৪ সালে সামগ্রিক বিশৃংখলা থেকে রেহাই পেতে, অনেকটা দলীয় লুটপাট এবং দূর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামীলীগ বাম রাজনীতিতে ডুকে পড়ে। সে সময়ে বাংলাদেশে বামদের একটা অবস্হান ছিল রাশিয়া বা চীনের অনুকম্পায় এবং কেজিবির আর্থিক প্রনোধনায়।

ধীরে ধীরে বামরা আওয়ামীলিগকে গিলে ফেলেছে। বাংলাদেশে যদিও বামরা এখন ডুগডুগি সর্বস্ব দল, কিন্তু চুপা বামের সংখ্যা নেয়াহেত কম নয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বা এমপিদের ৪০% বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা। এদের একমাত্র সম্বল আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মূল বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি, কখনই ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা।

বংগবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের মূল বিষয় ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্যে স্বাধিকারের সংগ্রাম, স্বাধিনতার সংগ্রাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে বামদের মিশন শুরু হয় ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রনয়নের সময় থেকেই। জনবিচ্ছিন্ন বামরা যদিও স্বতন্ত্র রাজনীতিতে শুকিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আওয়ামীলীগে এরা দিনে দিনে মোটা হচ্ছে, বাড়ছে এদের ক্ষমতার পরিধি। এদের প্ররোচনাতেই নির্বাচিত সরকার ধর্মকে খোঁচাচ্ছে। সর্বশেষ হেফাজতের লংমার্চ বলে দিচ্ছে, এই বামদের থেকে আওয়ামীলীগ মুক্ত হতে না পারলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি কঠিন হয়ে যাবে।

মিডিয়া দখলে থাকা বামরা যে গনমানুষকে প্রতিনিধিত্ব করেন না তা গত কয়েকদিনে ভালই বুঝা গেছে। বাংলাদেশ যখন পুড়ছে তখনও এই বামু গুলো মিডিয়ায় মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করছে সরকারকে এবং শহুরে জনগোষ্টির একটি অংশকে। দেশের জনগনের সাথে, নাড়ির সাথে যাদের যোগাযোগ আছে তারা বুঝে গেছেন, শাহবাগ একটি বিকলাংগ মুমুর্ষ সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছে। এই বিকলাংগ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে মায়ের জীবন বিপন্ন হবে। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে একে এখনই অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে, যাতে অন্তত মায়ের জীবণটা বাঁচে।

সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি অতি আদরের এই শাহবাগ তথা বাম ডুগডুগির রাজনীতি দ্বারা পরিচালিত হবেন এবং নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে ধাবিত হবেন, না গণমানুষের সাথে থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শোধরানোর শেষ সময় এখনই। বামদেরকে সরকার থেকে বিচ্ছন্ন করলে আওয়ামীলিগের জনপ্রিয়তা বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। আর ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা আওয়ামী নেতৃত্বকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে আওয়ামীলিগেরই লাভ হবে। সম্ভবত ছাত্রলীগও বখে যাওয়া থেকে ফিরে আসতে পারে।

ভবিষ্যত বিহীন অন্ধকারে নিমর্জিত এই বামদের প্রতি আর কোন সহানুভূতি নয়। আশা করব বাম রাজনীতির গডফাদার প্রথমালু কর্তক নেত্রী বিপথে পরিচালিত হবেননা। মনে রাখবেন বামদের নেক্সাস মিডিয়া পর্যন্তই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে টিভি বা নিউজপেপারের দুনাম্বারী গনমানুষ সহজেই ধরে ফেলে। অন্তত বিগত দুমাসের রাজনীতি তাই বলে।

প্রথমালু জাতীয় বামুপন্হি মিডিয়ার দালালীর আবালগীরির দিন শেষ। আশা করব নেত্রী বলদদের হাত থেকে আওয়ামীলীগকে মুক্ত করবেন। আর যদি জননেত্রী ব্যার্থ হন তবে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগের জন্যে অপেক্ষা করবেনা। আওয়ামীলীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের আদর্শ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.