আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্মস্পর্শী ঘটনা : হেফাজতে ইসলামের হামলায় আহত সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি

একুশে টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার নাদিয়া শারমিনকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ৩১২ কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে তার মাথায় সিটিস্ক্যান এবং এক্সরে সম্পন্ন হয়েছে। উন্নত চিকি‍ৎসার জন্য তাকে এখানে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ৮টা ৩০মিনিটের দিকে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার মাথার ও শরীরের বিভিন্নস্থান কেটে গেছে বলে তিনি জানান। তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নাদিয়া বাংলানিউজকে জানান, শনিবার বিকেল ৩টা ৩০মিনিটের দিকে পুরানা পল্টন মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠা‍ৎ হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী এসে তাকে ধমকের স্বরে বলেন, “পুরুষদের মধ্যে কেন এসেছেন।

” উত্তরে নাদিয়া বলেন, আমি একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক, দায়িত্ব পালন করতে এখানে এসেছি। একথা বলতে বলতে হেফাজত কর্মী তাকে পেটাতে শুরু করে। পরবর্তীতে আরো ১০ থেকে ১২জন হেফাজতে ইসলামের কর্মী এসে তাকে পেটাতে থাকে। পুরানা পল্টন থেকে দিগন্ত টেলিভিশনের কার্যালয় পর্যন্ত মধ্যবর্তীস্থানে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা তাকে ৫ থেকে ৬ বার মাটিতে ফেলে দেয় এবং বেধড়ক পেটাতে থাকে। পরবর্তীতে নাদিয়া উঠে বিজয়নগরের দিকে চলে যান।

একপর্যায়ে ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি আশপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চাইলে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানান নাদিয়া। পরে তিনি সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তার সহকর্মীরা সাহায্যের জন্য ছুঁটে আসেন। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।

সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ একুশে টেলিভিশন সহকর্মীরা উপস্থিত হন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)উপাচার্য আ আ ম স আরোফিন সিদ্দিকি তাকে দেখতে যান। এছাড়া ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও তাকে দেখতে যান। মূল নিউজ এখানে : Click This Link বাংলাদেশের নারী সমাজ, এই নিরপরাধ নারীটির জায়গায় আপনিও থাকতে পারেন।

থাকতে পারত আপনার কোন বোন। থাকতে পারত আপনার কোন কন্যা। তারা এমন করে নারীদের উপর আক্রমণ করছে যেন তারা কোন নারীর গর্ভে জন্ম নেয়নি। কেবল নারী হওয়াটাই তাদের দৃষ্টিতে অপরাধ। অথচ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী খাত গার্মেন্টস খাতের চালিকা শক্তি নারী।

আপনার উপার্জনের টাকায় খেয়ে আপনারই উপর কোন কারণ ছাড়াই অত্যাচার করবে, এটা কি মেনে নেয়া যায় ? তাই, এখন ঘরে থাকার সময় নয়, প্রতিবাদে বেরিয়ে আসেন রাজপথে। এই বর্বর অসভ্য শয়তানি শক্তিকে ঠেকান। সকল প্রকার লিল্লাহ বোর্ডিং এবং মাদ্রাসায় দান সদকা দেয়া সরাসরি বন্ধ করে দিন। আপনার দান সদকা খেয়ে ওরা আপনার উপরেই হামলে পড়বে বার বার, এটা হতে দেয়া যায় না। একবার সুযোগ পেলে মধ্যযুগীয় তালিবান শাসনের মতো আপনাকে পশুর মতো বেঁধে রাখবে এই মোল্লারা।

আপনাদের পরিণতি কেমন হবে তা পাবেন এখানে : Click This Link)_GoGo(ExtraTorrent) বাংলাদেশকে কোনক্রমেই তালিবান আফগান বানাতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ কোন কাঠমোল্লার দেশ না, এই দেশ নারী পুরুষ সবার।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।